বিখ্যাতদের সম্পর্কে কিছু বলার আগে তো একটা ভুমিকা দরকার। ভূমিকাটা না হয় অটিজম থেকেই শুরু করা যাক।
অটিজম সম্পর্কে আমরা কম বেশী সবাই ই জানি। তাই এটি নিয়ে বেশি আলোচনা করে পোস্টকে দীর্ঘায়িত করার কোন ইচ্ছা আমার নেই। সংক্ষেপে অটিজম সম্পর্কে একটু ধারনা দেওয়া যায় অবশ্য।
অটিজম কি ?
অটিজম এক ধরনের মস্তিষ্ক বিকাশের প্রতিবন্ধকতা যা শিশুর সামাজিক সম্পর্ক,ব্যবহার ও যোগাযোগ প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে।
জন্মের কত বছরের মধ্যে অটিজম প্রকাশ পায়?
জন্মের ৩ বছরের মধ্যেই অটিস্টিক শিশু অটিজমের বৈশিষ্ট্য সমুহ প্রকাশ করে।
কিভাবে বুঝবো এটা অটিজম ?
সাধারণত ৩ টা জিনিস দেখে ধারনা করা হয়ে থাকে এটি অটিজম। সেগুলো হচ্ছে–
•সামাজিক সম্পর্ক এবং পরিবেশের সাথে খাপ না খাওয়াতে পারা।
•যোগাযোগ কিংবা ভাষা আদান প্রদানে অসামঞ্জস্যতা।
•স্থবিরতা এবং একই কাজ বারবার করার প্রবনতা।
অটিস্টিক শিশুদের মধ্যে এই সবগুলো বৈশিষ্ট্য প্রায় একই সাথে বিদ্যমান।
অটিজম এক ধরনের অক্ষমতা হলেও পৃথিবীর কিছু কিছু বিখ্যাত মানুষ অটিজমের বৈশিষ্ট্য সমুহ প্রকাশ করে গেছেন। এজন্য অনেকেই ধারনা করেন তারা ছিলেন অটিস্টিক। অনেকে আবার সেটা মানতে নারাজও বটে। তবে সত্য যাই হোক না কেন, এই বিখ্যাত ব্যক্তিদের মস্তিস্ক যে একটু আলাদা রকম তাতে কারোই সন্দেহ থাকার কথা না। আসুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক সেই সব বিখ্যাত ব্যক্তিদের –
হেনরি ক্যাভেন্ডিসঃ ব্রিটিশ বৈজ্ঞানিক, হাইড্রোজেনের আবিষ্কারক।
হেনরি ক্যাভেন্ডিস
উইলিয়াম বাটলার ইটসঃ আইরিশ কবি এবং লেখক।
বাটলার ইটস
জোনাথান সুইফটঃ বিখ্যাত লেখক।
জোনাথান সুইফট
নিকোলা টেসলাঃ আবিষ্কারক ও বৈজ্ঞানিক।
টেসলা
শ্রীনিবাস রামানুজেনঃ গনিতবিদ।
রামানুজেন
চার্লস ফ্রান্সিস রিখটারঃ সিসমোগ্রাফ এর আবিষ্কারক।
রিখটার
অলফগ্যান অ্যামাডিউস মোজার্টঃ বিখ্যাত সুরস্রষ্টা।
মোজার্ট
লুইস ক্যারোলঃ প্রখ্যাত লেখক , যুক্তিবিদ , গনিতবিদ।
ক্যারোল
চার্লস রবার্ট ডারউইনঃ বিবর্তনবাদের জনক।
ডারউইন
হ্যান্স ক্রিস্টিয়ান অ্যান্ডারসনঃ লেখক।
অ্যান্ডারসন
এমিলি ডিকেনসনঃ মার্কিন কবি।
এমিলি
মাইকেল অ্যাঞ্জেলোঃ ইতালীয় চিত্রশিল্পী , ভাস্কর , স্থপতি এবং প্রকৌশলী।
মাইকেল অ্যাঞ্জেলো
এবং
আলবার্ট আইনস্টাইন
আলবার্ট আইনস্টাইনের শৈশব নিয়ে একটা মজার ঘটনা আছে।
আলবার্ট আইনস্টাইন ছোটবেলায় কথা বলতেন না। তার মৌনতা নিয়ে তার বাবা মা দুজনেই খুব চিন্তিত ছিলেন।
৪ বছর বয়সে একদিন খাবার টেবিলে খেতে বসে গম্ভীর মুখে স্যুপের বাটি একদিকে ঠেলে দিয়ে আলবার্ট বলল- স্যুপটা ঠাণ্ডা।
বাবা মা বিস্মিত হয়ে বললেন- তুমি কথা বলতে পারো?
হ্যা।
তো এতদিন বলনি কেন?
কারন এতদিন পর্যন্ত স্যুপটা গরমই ছিল। কথা বলার প্রয়োজন ছিল না।
ছবিঃ ইন্টারনেট।
তথ্যসুত্রঃ ইন্টারনেট ।