ফেইসবুক ব্যবহারকারী ৭৫ লাখই শিশু, যাদের বয়স ১৩ বছরের কম। শুধু তাই নয়, ১০ বছরের কম বয়সী এমন শিশু রয়েছে অন্তত ৫০ লাখ।
বুধবার টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর ১৮ বছরের কম বয়সী ফেইসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিলো দুই কোটি। এদের মধ্যে প্রায় এক তৃতীয়াংশ অর্থাৎ ৭৫ লাখ ব্যবহারকারীর বয়স ১৩ বছরের কম। আর এসব কমবয়সী ব্যবহারকারীদের মধ্যে অন্তত ৫০ লাখের বয়স ১০ বছর বা তার চেয়েও কম।
অথচ ফেইসবুকে ১৩ বছরের কম বয়সীদের ব্যক্তিগত পাতা তৈরির কোনো অনুমতি নেই।
শিশুদের ফেইসবুক ব্যবহারের ওপর এই জরিপটি পরিচালনা করে যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তা স্বার্থ সংরক্ষণ বিষয়ে সচেতনতা তৈরির কাজে যুক্ত 'কনজ্যুমার রিপোর্টস'।
প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, এসব শিশু ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত পাতা এবং তাদের অন্যান্য অনলাইন কার্যক্রম তাদের বাবা-মা তত্ত্বাবধান করেন না। এ কারণে গত বছর প্রায় ১০ লাখ শিশু ইন্টারনেটে বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকার হয়েছে।
কনজ্যুমার রিপোর্টসের প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক জেফ ফক্স বলেন, ফেইসবুকে ব্যবহারকারীদের জন্য বয়সের নিুসীমা দেওয়া থাকলেও, মিথ্যা বয়স দিয়ে ছোট শিশুরা ব্যক্তিগত পাতা তৈরি করছে। তার চেয়েও বেশি উদ্বেগের বিষয় হলো সন্তানরা অনলাইনে কী করছে- বাবা-মায়েরা এর কোনো খোঁজ রাখেন না।
জরিপে দেখা যায়, মাত্র ১৮ শতাংশ বাবা-মা নিজের সন্তানের সঙ্গে সংযুক্ত আছেন ফেইসবুক তালিকায়। এটা সন্তানের অনলাইন কার্যক্রমের ওপর নজর রাখার সবচেয়ে ভালো উপায়। মাত্র ১০ শতাংশ বাবা-মা তাদের সন্তানদের সঙ্গে অনলাইন অভিজ্ঞতা বিষয়ে আলাপ করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, বেশির ভাগ বাবা-মা মনে করেন বয়সের কারণে তাদের ১০ বছরের কম বয়সী সন্তানরা পর্নোগ্রাফি বা অন্য কোনো ক্ষতিকর বিষয়ে আগ্রহ জন্মাবে না। তবে ইন্টারনেটে কম্পিউটার ভাইরাস থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের মানসিক রোগের শিকার হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
এ ধরনের ঝুঁকি থেকে মুক্ত থাকতে বাবা-মাকে কম্পিউটার ও ইন্টারনেট বিষয়ে জানাশোনার পরিধি বাড়াতে হবে বলে মনে করেন তারা।
এরই মধ্যে অপ্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীদের সংখ্যা কমিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ। গত এপ্রিল থেকে হয়রানি, ভুয়া পাতা ও অন্যান্য আপত্তিকর বিষয়বস্তু এই সাইটের পাতা থেকে অপসারণের জন্য নতুন নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু হয়েছে।
সূত্রঃ বিডি নিউজ ২৪.কম