somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সবুজ চত্ত্বর রায় পবার গ্রীল নির্মাণ উদ্বোধন এবং পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচী

১০ ই মে, ২০১১ সকাল ১১:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
সবুজ চত্ত্বর রায় পবার গ্রীল নির্মাণ উদ্বোধন এবং পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচী

মিরপুর ২ নং সেকশনে অবস্থিত সবুজ চত্ত্বরটি অত্র এলাকার পরিবেশগত এবং সামাজিক বিনোদনের অন্যতম একটি স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। কিন্তু কতিপয় ভূমিদস্যু এটি ধ্বংস করে অপ্রয়োজনীয় মার্কেট নির্মাণের পায়তারা চালাচ্ছে। সবুজ চত্ত্বর রায় সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করে যেতে হবে। আজ ০৯ মে ২০১১, সকাল ১০:৩০ টায় পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) ও সবুজ চত্ত্বর রা ও পার্ক বাস্তবায়ন কমিটি এর যৌথ উদ্যোগে সবুজ চত্ত্বর রায় পবার গ্রীল নির্মাণ উদ্বোধন এবং পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচীতে বক্তারা একথা বলেন।

গ্রীল নির্মাণ এবং পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচী উদ্বোধন করেন বিশিষ্ঠ স্থপতি অধ্যাপক সামসুল ওয়ারেস ও বাংলাদেশ সরকারের সাবেক প্রধান স্থপতি এম এ রশিদ। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, পার্ক ও সবুজ চত্ত্বর বাস্তবায়ন পরিষদের সভাপতি ইয়াকুব আলী, ৭ নং ওয়ার্ড কমিশনার বজলুল বাসিদ আঞ্জু, এলাকাবাসী এ কে এম মোরশেদ, জাহেদা খাতুন, হাজী ওয়াহিদ মিয়া, মো: আমীর হোসেন প্রমুখ।

আবু নাসের খান বলেন, মহানগরীর পরিবেশ ও নাগরিক জীবনে সবুজ চত্ত্বর, খেলার মাঠ, খোলা জায়গা, গাছপালার গুরুত্ব অপরিসীম। শহরাঞ্চলে এলাকাভিত্তিক অনেকটুকু জায়গা জুড়ে গাছপালা থাকলে তা বাতাসের দূষিত গ্যাস শোষণ করে নির্মল বাতাস দেয়। বাতাসে ধুলিকণা কমায়, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। শিশুসহ অন্যান্যদের শারীরিক বিকাশে খেলাধুলা, হেঁটে বেড়ানোর বা বিশ্রামের সুযোগ সৃষ্টি করে। অথচ কখনো কখনো ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করতে পরিবেশ ও জীবনের এ অমূল্য উপাদানগুলো ধ্বংস করতে মরিয়া হয়ে উঠে এক শ্রেণীর স্বার্থান্বেষী মহল। তেমনি নির্বিচার আগ্রাসনের খপ্পরে পড়েছে মিরপুর ২ নং সেকশনে অবস্থিত সবুজ চত্ত্বরটি। জীবন ও পরিবেশের এ শত্র“দেরকে কঠোর হস্তে দমন করতে হবে।

বক্তারা জানান, ২০০৭ সালে ১৬ এপ্রিল কতিপয় ভূমিদস্যু কর্তৃক মিরপুর ২ নং সেকশনে অবস্থিত সবুজ চত্ত্বরের শত শত গাছ হত্যা করে বাণিজ্যিক মার্কেট নির্মাণের চেষ্টা করে। কিছু অসাধু সরকারী কর্মকর্তার যোগসাজসে এবং পুলিশ বাহিনীর সহায়তায় তারা বুলড্রোজার দিয়ে বৃ নিধনযজ্ঞ চালায়। এলাকাবাসী প্রতিবাদ করতে গেলে পুলিশ বেধড়ক লাঠি চার্জ শুরু করে এবং কয়েকজনকে গাছের সাথে বেঁধে রাখে। এ সংবাদ জানতে পেরে পবিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) এর টিম উক্ত স্থানে উপস্থিত হয় এবং এলাকাবাসীদের সাথে নিয়ে এ বর্বর তান্ডবতার তিব্র প্রতিবাদ জানানোর ফলে সাময়িকভাবে গাছ হত্যা বন্ধ হয়। সবুজ চত্ত্বর রায় ধারাবাহিক আন্দোলনের ফলে তৎকালীন তত্বাবধায়ক সরকারের দুইজন উপদেষ্টা সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে সবুজ চত্ত্বরের স্থলে বাণিজ্যিক মার্কেট নির্মাণের সকল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে এবং পরবর্তি সময়ে উচ্চতর আদালত ‘মিরপুর সবুজ চত্ত্বরটি ধ্বংস করা যাবেনা’ মর্মে আদেশ জারি করে। এ আন্দোলনের সমর্থনে সে সময় মিডিয়ার ভুমিকা ছিল অত্যন্ত উজ্জলতর। কিন্তু দীর্ঘ সময় নিরব থাকার পর আবার পূনরায় স্বার্থান্বেষী মহল সবুজ চত্ত্বরটি বিনাশ করে মার্কেট নির্মাণের পায়তারা চালাচ্ছে। আবারো শত শত গাছ হত্যা করা হবে। নির্মাণ করা হবে অপ্রয়োজনীয় মার্কেট। আইনগতভাবে এবং আন্দোলনের মাধ্যমে এ পরিবেশ বিধ্বংসী অপতৎপরতা প্রতিহত করতে হবে।

এলাকাবাসীরা দাবী জানান, বাচ্চাদের খেলা ধুলার সরঞ্জামাদি সহ বয়স্কদের হেঁটে বেড়ানোর বা বিশ্রামের ব্যবস্থা ছিল এই সবুজ চত্ত্বরে। অত্র এলাকার মানুষের বিনোদনের এবং মানসিক প্রশান্তির এই উদ্যান রাস্তা নির্মাণের ফলে অনেকটা সংকুচিত হয়ে গেছে বাকিটুকুও ধ্বংস করতে একটি মহল উঠে পড়ে লেগেছে। সবুজ চত্ত্বর রায় সরকারের যথাযথ হস্তপে জরুরী।



মিরপুর ২ নং সেকশনে অবস্থিত সবুজ চত্ত্বরটি অত্র এলাকার পরিবেশগত এবং সামাজিক বিনোদনের অন্যতম একটি স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। কিন্তু কতিপয় ভূমিদস্যু এটি ধ্বংস করে অপ্রয়োজনীয় মার্কেট নির্মাণের পায়তারা চালাচ্ছে। সবুজ চত্ত্বর রায় সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করে যেতে হবে। আজ ০৯ মে ২০১১, সকাল ১০:৩০ টায় পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) ও সবুজ চত্ত্বর রা ও পার্ক বাস্তবায়ন কমিটি এর যৌথ উদ্যোগে সবুজ চত্ত্বর রায় পবার গ্রীল নির্মাণ উদ্বোধন এবং পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচীতে বক্তারা একথা বলেন।

গ্রীল নির্মাণ এবং পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচী উদ্বোধন করেন বিশিষ্ঠ স্থপতি অধ্যাপক সামসুল ওয়ারেস ও বাংলাদেশ সরকারের সাবেক প্রধান স্থপতি এম এ রশিদ। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, পার্ক ও সবুজ চত্ত্বর বাস্তবায়ন পরিষদের সভাপতি ইয়াকুব আলী, ৭ নং ওয়ার্ড কমিশনার বজলুল বাসিদ আঞ্জু, এলাকাবাসী এ কে এম মোরশেদ, জাহেদা খাতুন, হাজী ওয়াহিদ মিয়া, মো: আমীর হোসেন প্রমুখ।

আবু নাসের খান বলেন, মহানগরীর পরিবেশ ও নাগরিক জীবনে সবুজ চত্ত্বর, খেলার মাঠ, খোলা জায়গা, গাছপালার গুরুত্ব অপরিসীম। শহরাঞ্চলে এলাকাভিত্তিক অনেকটুকু জায়গা জুড়ে গাছপালা থাকলে তা বাতাসের দূষিত গ্যাস শোষণ করে নির্মল বাতাস দেয়। বাতাসে ধুলিকণা কমায়, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। শিশুসহ অন্যান্যদের শারীরিক বিকাশে খেলাধুলা, হেঁটে বেড়ানোর বা বিশ্রামের সুযোগ সৃষ্টি করে। অথচ কখনো কখনো ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করতে পরিবেশ ও জীবনের এ অমূল্য উপাদানগুলো ধ্বংস করতে মরিয়া হয়ে উঠে এক শ্রেণীর স্বার্থান্বেষী মহল। তেমনি নির্বিচার আগ্রাসনের খপ্পরে পড়েছে মিরপুর ২ নং সেকশনে অবস্থিত সবুজ চত্ত্বরটি। জীবন ও পরিবেশের এ শত্র“দেরকে কঠোর হস্তে দমন করতে হবে।

বক্তারা জানান, ২০০৭ সালে ১৬ এপ্রিল কতিপয় ভূমিদস্যু কর্তৃক মিরপুর ২ নং সেকশনে অবস্থিত সবুজ চত্ত্বরের শত শত গাছ হত্যা করে বাণিজ্যিক মার্কেট নির্মাণের চেষ্টা করে। কিছু অসাধু সরকারী কর্মকর্তার যোগসাজসে এবং পুলিশ বাহিনীর সহায়তায় তারা বুলড্রোজার দিয়ে বৃ নিধনযজ্ঞ চালায়। এলাকাবাসী প্রতিবাদ করতে গেলে পুলিশ বেধড়ক লাঠি চার্জ শুরু করে এবং কয়েকজনকে গাছের সাথে বেঁধে রাখে। এ সংবাদ জানতে পেরে পবিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) এর টিম উক্ত স্থানে উপস্থিত হয় এবং এলাকাবাসীদের সাথে নিয়ে এ বর্বর তান্ডবতার তিব্র প্রতিবাদ জানানোর ফলে সাময়িকভাবে গাছ হত্যা বন্ধ হয়। সবুজ চত্ত্বর রায় ধারাবাহিক আন্দোলনের ফলে তৎকালীন তত্বাবধায়ক সরকারের দুইজন উপদেষ্টা সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে সবুজ চত্ত্বরের স্থলে বাণিজ্যিক মার্কেট নির্মাণের সকল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে এবং পরবর্তি সময়ে উচ্চতর আদালত ‘মিরপুর সবুজ চত্ত্বরটি ধ্বংস করা যাবেনা’ মর্মে আদেশ জারি করে। এ আন্দোলনের সমর্থনে সে সময় মিডিয়ার ভুমিকা ছিল অত্যন্ত উজ্জলতর। কিন্তু দীর্ঘ সময় নিরব থাকার পর আবার পূনরায় স্বার্থান্বেষী মহল সবুজ চত্ত্বরটি বিনাশ করে মার্কেট নির্মাণের পায়তারা চালাচ্ছে। আবারো শত শত গাছ হত্যা করা হবে। নির্মাণ করা হবে অপ্রয়োজনীয় মার্কেট। আইনগতভাবে এবং আন্দোলনের মাধ্যমে এ পরিবেশ বিধ্বংসী অপতৎপরতা প্রতিহত করতে হবে।

এলাকাবাসীরা দাবী জানান, বাচ্চাদের খেলা ধুলার সরঞ্জামাদি সহ বয়স্কদের হেঁটে বেড়ানোর বা বিশ্রামের ব্যবস্থা ছিল এই সবুজ চত্ত্বরে। অত্র এলাকার মানুষের বিনোদনের এবং মানসিক প্রশান্তির এই উদ্যান রাস্তা নির্মাণের ফলে অনেকটা সংকুচিত হয়ে গেছে বাকিটুকুও ধ্বংস করতে একটি মহল উঠে পড়ে লেগেছে। সবুজ চত্ত্বর রায় সরকারের যথাযথ হস্তপে জরুরী।

১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×