কুশীলব-১
সিগারেটের ফিল্টারটা কামড়ে ধরে যেভাবে টেনে যান একের পর এক সিগারেট,বোঝাই যায় ৫৬ বছরের সেলিম সাহেব যৌবনে আরো অনেক কিছুই কামড়িয়েছেন( )।উনার সাথে দেখা না হলে বুঝতেই পারতাম না,বাংলা সিনেমার খল চরিত্র গুলো কতটা বাস্তবসম্মত।যাই হোক,উনার কুকর্মের কথা লিখতে গেলে আমার খবর হয় যাবে,এখানে শুধু এই অল্প টুকুই আজ উল্লেখ করলাম এই কারণে যে বানরে ভরে গেছে এই দেশটা আর বুড়ো বানরেরা ক্যামন হয়,জানেন তো?
কুশীলব-২
৪৫ বছরের লিকলিকে দেহের গফরগাঁওয়ের জালাল মিয়া। জীবনের মাঝ পথে এসে খুব চাওয়ার নেই কিছ পৃথিবীর কাছে।হাড় ভাঙ্গা খাটুনি আর ভূমি দস্যুর চোখ রাঙ্গানি সয়ে গেছে নীরবে দুইবেলা আহার যোগানের মায়ায়। আর এই জালাল মিয়াদের শ্রমের উপরই ভর করে বেঁচে আছে এই বাংলাদেশ।
জালাল মিয়ার কিছু বাস্তবতার কথা বলতেই এই লেখা(উনার হয়তো কোন এক সময় স্বপ্ন দেখার বদভ্যাস ছিল,আজ নেই) পৈতৃক সূত্রে মাথা গোঁজার এক টুকরো জমিতে ভাঙ্গা টিনের ঘরে দুই মেয়ে আর এক ছেলে নিয়ে সংসার।সবজি বেঁচে দিন কাটছিল কোন রকম।হঠাৎই বাবার অসুস্থতা আর সেই বাবাকে বাঁচাতে প্রায় নিঃস্ব হয়ে গেলেন জালাল মিয়া।তারপরও হাল ছাড়েননি বাবাকে বাঁচাতে,পারেননি।এতে তার কোন দুঃখ নেই,তিনি তার কর্তব্যটাই করেছেন কেবল।যাহোক পিতৃশোক কাটিয়ে আবার ফিরলেন বাস্তবতায়,সংসারে বেঁচে থাকা মুখ গুলোকে বাঁচিয়ে তো রাখতে হবে।দেখলেন ফিরে,কোন পুঁজি নেই সজি ব্যবসাটা চালিয়ে যাওয়ার। উপর ওয়ালার দৃষ্টি খুঁজলেন আকাশে। শেষমেশ দিন মজুরির একটা চাকরি(আসলে এইটা হবে দাসত্ব) পেলেন।যাক ঘরে দুই বেলা খাওয়ার বন্দোবস্ত হলো!
(অসমাপ্ত)