somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কুকর্মের পরিণতি

০৮ ই মে, ২০১১ রাত ১১:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

B-)) কুকর্মের পরিণতি B-))

রানা ভালভাবে পাস করেই প্রতিক্লাসে উত্তীর্ণ হতো। এক সময় পড়ার টেবিলকেই সে একমাত্র বন্ধু হিসেবে বেছে নিয়েছিল। কিন্তু আগের অবস্থা এখন আর নাই। এখন তার অনেক কাজ। তবে প্রতিদিন কি একটু সময় লেখাপড়া করে তাতেই তার রেজাল্ট ভাল হয় তবে পূর্বের মত ভাল হয় না। লেখা-পড়ায় পরিশ্রম কম কিন্তু প্রতিভাটা তার ভাল।
বর্তমানে তাস খেলা রানার প্রতিদিনের একটি বদ অভ্যাস হয়ে দাড়িয়েছে। চারজন মিললেই তাস খেলা। প্রথম প্রথম এমনেতেই তাস খেলে মজা পেত। এখন তাতে মজা নাই, টাকা দিয়ে তাস খেলা চাই। এতে মাঝে মধ্যে কিছু টাকা পকেটে আসে তবে বেশ টাকা চলেও যায়। যেদিন টাকা আসে সেদিন আনন্দের সীমা থাকে না। হাতে টাকা থাকলেই বাড়তি খরচের অভাব নাই। বন্ধুদের নিয়ে খারাপ ফ্লিম দেখা, গাজা টানা, মদ গিলা, একটির পর একটি সিগারেট ধরানোতো আছেই। এভাবেই কাটছে রানার বর্তমান জীবন।
রানার বাবা-মা এ নিয়ে বেশ চিন্তিত। এক সময় যে ছেলে লেখা-পড়া ছাড়া অন্য কিছু বুঝত না সে ছেলের এ কি অবস্থা! এ পথ থেকে ফিরানোর শত চেষ্টা করেও ফিরানো যাচ্ছে না। ছেলেকে নিয়ে নিরাশার ভেতরই তাদের দিনগুলো অতিবাহিত হচ্ছে।
তার বাবা প্রায়ই তাকে শাসায় বাজে কাজে সময় নষ্ট না করার জন্য। ভালভাবে লেখা পড়া করার জন্য। সে তার বাবার কথার কর্ণপাত করে না। যে রকম চলছে সে রকমই চলে যাচ্ছে। আগে অল্প টাকাতেই রানাকে শান্ত করা যেত। এখন চাহিদার চেয়ে কম টাকা দিলে ঘরে একটা অঘটন ঘটিয়ে বসে। প্রতিদিন তার চাহিদামত টাকা চাই। তার বাবা পকেট খরচের জন্য যে টাকা দেয় তাতে তার চলে না। প্রতিদিন মার কাছ থেকে কিছু টাকা খসিয়ে নেওয়া চাই। এতে তার মা সংসারের প্রয়োজনীয় অনেক কাজ করতে পারে না। রানার উপর মাঝে মাঝে প্রচন্ড রাগও হয়।
রানা পড়া-লেখা করে না বললেই চলে। লেখা-পড়া করে কি লাভ ? ভাল রেজাল্ট করেও কোন লাভ নাই। টাকা আর মামার জোড় না থাকলে এখন কিছুই হয় না। এ কথা বলে সে অনেককে জ্ঞানও দেয়।
রাজনীতি করে নেতা হবার নেশায় সে নেতাদের পেছনে ছুটছে। এ কথা জানতে পেরে তার বাবা বর্তমান ছাত্র রাজনীতির খারাপ দিক সম্পর্কে তাকে একটি ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করে।
“১৯৫২ এবং ১৯৭১ এর ছাত্র রাজনীতি এখন আর নাই । এখন ছাত্র রাজনীতি নামে যে রাজনীতি চলছে তা সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে খুবই নোংড়া। এখন ছাত্ররাজনীতি মানে নিজের জন্য দু’টাকা কামানো। ছাত্রদেরকে রাজনৈতিক নেতারা বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে লিপ্ত রেখে নিজেদের ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখে। এর ফলস্বরুপ তাদের হাতে কিছু টাকা ধরিয়ে দেয়। ছাত্ররা এতে বেশ সন্তুষ্ট হয়ে লেখা-পড়া ছেড়ে সারাক্ষণ অপরাধমূলক কাজে লিপ্ত থাকে। নেতা হতে হলে নেতার পিছনের ঘুরতে হয় না। নেতা হতে হলে ভাল কোন নেতার সংস্পর্শে আসতে হয়। ছাত্রনেতারা কেবল দু’পয়সা কামানোর কাজেই লিপ্ত থাকবে না। তারা ছাত্র সমাজের অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করবে। সমাজসেবামূলক কাজে অংশগ্রহন করবে। ভবিষ্যতে দেশের কর্ণধার হওয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করবে । তা না হলে কিসের ছাত্র রাজনীতি?”
রানা তার বাবার কথাগুলো চুপ করে বসে শুনে। কিন্তু এতে তার মনে কোন প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হলো কি না বুঝা যায় না।
আজ সে তার নেতার সাথে এক জায়গায় গেল। সেখানে নেতা তাদের সিগারেট এবং চা-টা খাওয়ার জন্য কিছু টাকা দিল। তা দিয়ে তারা প্রত্যেকে এক প্যাকেট করে বেনসন সিগারেট নিল। দুপুরে নেতার সাথে লাঞ্চ বেশ ভাল ভাবেই হলো। নেতার মাইক্রোতে আসা-যাওয়া , শেষে কিছু পকেট খরচও পেল। বেশ ভালই কাটলো দিনটা।
আজকাল রানা রাস্তা-ঘাটে মেয়েদের ইভ টিজিং করে। তার সাথে সবসময় দু’একজন বন্ধু থাকে। কলেজের মেয়েরা ভয়ে তাদের কিছু বলে না। দিনের পর দিন তাদের অত্যাচারের মাত্রা বেড়েই চলছে তবুও এর প্রতিবাদ করার কেউ নেই।
তাসলিমা কলেজের ছাত্রী। তার রুপে যাদু আছে। কলেজের অনেক ছেলেই তার প্রেমে পড়তে চায়। রুপের অহংকারেই নাকি তাসলিমা কারো সাথে ভাল করে কথাও বলে না।
তাসলিমার বাবা তাদের গঞ্জের একজন ব্যবসাহী। তার আশা, মেয়েকে উচ্চ শিক্ষিত করবে। তাই মেয়েকে কলেজে দিয়ে নিশ্চিন্তে আছে তার লক্ষ্য পূরনের আশায়।
তাসলিমা লেখা-পড়ায় বেশ মনোযোগী। কলেজের প্রতিটি ক্লাস সে রীতিমত করে। বান্ধবীদের সাথে বেশীক্ষণ আড্ডা দেয় না। প্রয়োজনের অতিরিক্ত কথা বলে না। এতে অনেকেই তাকে অহংকারী মেয়ে বলে।
একদিন রানা এবং তার কয়েকজন বন্ধু মিলে কলেজের সামনে চা এর দোকানে আড্ডা মারছে। এমন সময় তাসলিমা তাদের সামনে দিয়ে যাচ্ছে। রানা সিগারেট টানতে টানতে তাসলিমাকে উদ্দ্যেশ করে বলল- “যাবে নাকি আমার সাথে একরাত হোটেলে কাটাতে।” এই বলে তাসলিমার নাকের কাছে এক মুখ ধোয়া ছাড়ল এবং পথ আগলালো। তাসলিমা জিদে বসিয়ে দিল তার গালে এক চড়।
রানা হতভম্ব হয়ে এক দৃষ্টিতে কতক্ষণ তাকিয়ে থেকে ‘কাজটি ভাল হল না’ এই বলে চলে গেল।
তাসলিমা রাগের মাথায় কাজটি ঠিক করে নাই কিন্তু রানার মত একটি অসভ্য ছেলের কাছে মাথানত করাকে সে নৈতিক পরাজয় মনে করে।
এক কান, দু’ কান হতে হতে ব্যাপাটি কলেজের অনেকেরই জানাজানি হয়ে গেল। অনেকেরই এই ঘটনা শুনে আশ্চর্য হল। তাসলিমা খুব সাহসী মেয়ে কিন্তু এর ফল ভবিষ্যতে ভাল হবে না এ কথা আড়ালে অনেকেই বলাবলি করল। এ ঘটনা নিয়ে কানাকুষা করতে করতে অনেক দিন কেটে গেল। এক সময় ব্যাপারটি চপা পড়ে গেল। তাসলিমা যথারীতি কলেজে আচ্ছে-যাচ্ছে। এই ঘটনা সে তার বাসায় জানানোর প্রয়োজন মনে করে নাই। রমজানের জন্য কলেজ একমাস বন্ধ।
দীর্ঘ ছুটির পর, ঈদ শেষে কলেজ খুলল। সামনে নববর্ষ । কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা এবার বেশ ঘটা করে নববর্ষ পালন করবে। কারণ একবিংশ শতাব্দীর আগমন। সারাবিশ্ব জুড়ে নতুন শতাব্দীকে ঘটা করে বরণ করার প্রস্তুতি চলছে। প্রতিদিন কলেজের কিছু ছাত্র-ছাত্রী প্রত্যেক বিভাগে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের নববর্ষ অনুষ্ঠানে স্বতস্ফূর্ত যোগদান করার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। এরই মধ্যে কলেজের পক্ষ থেকেও প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রী এবং তাদের অবিভাবকদের নিমন্ত্রণ পত্র পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। কলেজের ভিতরে, রাস্তার বাঁকে বাঁকে বিভিন্ন ধরনের আলপনা হচ্ছে। শুভ নববর্ষ নামে ব্যানার করা হচ্ছে। কলেজের ভিতরের গাছগুলোকে চুনকাম করা হচ্ছে। বিভিন্ন রংয়ে বিভিন্ন কথা লিখে দেয়ালে দেয়ালে চিকা মারা হচ্ছে। সব মিলিয়ে এক রমা রমা পরিবেশ।
নববর্ষের অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে বড় বড় নেতাদের থেকে ছাত্র নেতারা অর্থ আদায় করছে। অর্থের কিছু অংশ অনুষ্ঠানের জন্য ব্যয় করে বাকী অংশ তাদের পকেটে রাখবে। কলেজ ফান্ড থেকেও অনুষ্ঠানের জন্য টাকা বরাদ্দ হয়েছে। টাকা ব্যয়ের দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রানাকে । দ্বায়িত্ব পেয়ে সে সারাদিন বন্ধুদের সাথে অনুষ্ঠানের আলোচনায় মেতে আছে।
তাসলিমাসহ তার কয়েকজন বান্ধবী এই অনুষ্ঠানের জন্য বেশ উৎসাহী। তারা এই অনুষ্ঠানে কি কি আনন্দ করবে তা নিয়ে আগ থেকেই অনেক পরিকল্পনা করে রেখেছে। মেয়েদের মধ্যে কেউ বলছে - “আমরা ঠিক রাত বারটায়, মেয়েরা মিলে একটি রেলি বের করব।” আবার কেউ বলছে- “আমরা ভিন্নভাবে না, ছেলেদের সাথেই রেলিতে বের হবো। তারপর আমরা মেয়েরা একসাথে একটি নির্জণ স্থানে বসে গান ধরবো।” কেউ বলছে- “না, আমরা ছেলেদের সাথে মিশেই চুটিটে আড্ডা মারবো।” তারা স্থির কোন সিদ্ধান্তে আসতে না পেরে শেষে এই সিদ্ধান্তে আসলো, সকলে অবশ্যই রাত বারটায় কলেজ ক্যাম্পাসে আসবে। তারপর যা হয় করবে।
আগামীকালকে শুভ নববর্ষ। আজ অনুষ্ঠানের হরেক রকমের আয়োজন চলছে। অনুষ্ঠানের উদ্ভোধন করবেন স্থানীয় সংসদ সদস্য সাহেব। উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানের সব আয়োজন সম্পূর্ণ হয়েছে।
আজ ৩১ শে ডিসেম্বর। রাত বারটার পরই নববর্ষ আসছে। সকলেই রাত বারটার প্রতিক্ষায়। ঠিক বারটায় জাতীয় সংগীত গেয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানানো হল। তারপর সকলে মিলে রেলি বের করল। রেলি শেষে সকলে পটকা ফুটিয়ে আনন্দ প্রকাশ করল। এক এক দল এক এক জায়গায় বসে আড্ডায় মজে গেল।
তাসলিমা যে আজ নববর্ষের অনুষ্ঠানে কলেজ ক্যাম্পাসে এসেছে তা রানার জানা হয়ে গেছে। আজই তার অপমানের প্রতিশোধ নেওয়ার উত্তম সময়। রানা তার বন্ধুদের নিয়ে আনন্দ করবে সাথে তাকে সেদিনের অপমানের প্রতিশোধ নিবে।
ক্যাম্পাসে সকলের মাঝেই আনন্দের বহিঃপ্রকাশ। সকলেই আড্ডায় ব্যস্ত। সকলের ব্যস্ততার ভিতর দিয়েই তাসলিমাকে ডেকে পাঠাল রানা। ডাকতে গেল রানার বন্ধুদের মাঝে একজন। সে মিথ্যা করে-তাকে এক শিক্ষক ডাকছে এই বলে রানার কাছে আনল। হঠাৎ পেছন দিক থেকে একজনে কাপড় দিয়ে তার মুখ চেপে ধরল। অন্যরা ধরাধরি করে তাকে কলেজের এক নির্জণ কামড়ায় নিয়ে আসলো। মুখ খুলে দেওয়ার পর তাসলিমা কাঁদ কাঁদ কন্ঠে সকলের কাছে কাঁকতি-মিনতি করল তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। নোংড়া কিছু না করার জন্য কিন্তু একের পরে এক------ শেষে মেয়েটিকে রক্তাতো অবস্থায় মরা ভেবে সেখান রেখেই সবাই পালিয়ে গেল।
বান্ধবীরা তাসলিমাকে আসতে দেরী দেখে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লো কিন্তু খোঁজাখোজিঁ করে তাকে কোথায়ও পাচ্ছে না। ব্যাপারটা অনুষ্ঠান কর্তৃপক্ষদের অবহিত করলো। অনেক খোঁজা-খুঁজি করে শেষে অজ্ঞান অবস্থায় তার সন্ধান মিলে।
তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সুস্থ্য হলে প্রকৃত অপরাধীদের নাম জানতে চাওয়া হলে, সে কেবল রানার নামটাই বলতে পারে।
রানা ফেরারী আসামী। পুলিশ হন্যে হয়ে তাকে খুঁজছে। ঘটনাটি প্রত্যেক দৈনিক কাগজে ফলাও করে প্রকাশিত হয়েছে। প্রশাসনের উপরের লেভেল থেকে নিদের্শ, আসামীদের তাড়াতাড়ি ধর।
রানা ছয়মাস পরে একদিন পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। একে একে তার সাথীরাও ধরা পড়ে। বিচারে রানার বার বছরের এবং তার সাথীদের ছয় বছরের স্বশ্রম কারাদন্ড হয়।
এই ঘটনার পর তাসলিমার রুপেও বিয়ের বাজারে কোন সাধারন পাত্রকে বশ করতে পারে নাই। এক সময় যখন তাসলিমার জন্য পাত্র খুঁজ করে বের করা দূরহ ব্যাপার হয়ে দাড়ায় তখন পাত্রের জন্য আগাম যৌতুকের ঘোষণা করা হলো।
তাসলিমার দূর সম্পর্কের এক কাকা যৌতুকে এক পাত্রকে রাজি করাল এবং সেই পাত্রের সাথেই তার বিয়ে হলো।
তার স্বামী যেমন ছিল বয়স্ক তেমনি ছিল বদ মেজাজী। কথায় কথায় চটতো। রাতভর নেশার ঘোরে থাকতো। সংসারের কোন খবর থাকতো না। তার গায়ে হাত তুলতেও দ্বিধাবোধ করতো না। এভাবে বেশ কয়েক বছর কেটে গেল। তাসলিমা তার নিয়তিকে স্বীকার করে, সব জ্বালা-যন্ত্রনা মুখ বুজে সহ্য করত। এরই মধ্যে তাদের কোল জুড়ে এক বাচ্চা এল। কিন্তু তার স্বামীর স্বভাবের কোন পরিবর্তন আসল না। শেষে আর সহ্য করতে না পেরে তাসলিমা একদিন স্বামীর সংসার ছাড়লো। স্বামীকে চিরতরে ত্যাগ করল। আদালতের রায়ে ছেলে শুভকে নিজের অধিকারে রেখে বহু কষ্টে জীবিকা নির্বাহ করছে। তার এখন বাঁচার আনন্দ একমাত্র ছেলে শুভ।
রানা জেলে বসেই তার জীবনে ছোট-বড় স্বপ্ন , কিছু আশা , নিজের দাম্ভিকতা সব কিছুর ইতি ঘটাল। হাজত থেকে ছাড়া পেয়ে তার বর্তমান জীবন লাগামহীন ঘোড়ার মত। তার কোন কাজেই মন বসে না। সবসময় মনে হয়, তার জীবনের প্রয়োজন ফুরিয়ে এসেছে। অতীতের তার জীবনের কর্মগুলোর কথা স্মরণ করলে তার মনে অনুশোচনা জাগে। নিজেকে খুব অস্থিরতায় পেয়ে বসে।
তার বাবা তাকে ব্যবসায় বসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। সে এখন কি করবে জানতে চাওয়া হলে, উত্তরের জন্য সে কিছু দিন সময় চায়। কিছু দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও কোন উত্তর না আসলে তার বাবা তাকে শক্ত-মন্দ কিছু কথা বলে, যা তার এক দম ভাল লাগে নাই। একদিন কারো কাছে কিছু না বলে বাড়ী থেকে বেরিয়ে গেল।
পরে জানা গেল, রানা শহরে এসে পাগল হয়ে গেছে। সে এখন কারণে-অকারণে হাসে। এর ওর কাছে এক টাকা, দুই টাকা চায়। ছেড়া লুঙ্গি, ছেড়া শার্ট পড়ে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় ঘুরে বেড়ায়। তার পরিচিত কেউ তাকে দেখলে তার অতীত সম্পর্কে অন্যের কাছে গল্প করে তাও আবার তার সামনে। তখন কেউ কিছু জিজ্ঞসা করলে তাতেও কেবল হাসে।

সর্বশেষ এডিট : ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৮
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আজকের ব্লগার ভাবনা: ব্লগাররা বিষয়টি কোন দৃষ্টিকোন থেকে দেখছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৯ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪১


ছবি- আমার তুলা।
বেলা ১২ টার দিকে ঘর থেক বের হলাম। রাস্তায় খুব বেশি যে জ্যাম তা নয়। যে রোডে ড্রাইভ করছিলাম সেটি অনেকটা ফাঁকা। কিন্তু গাড়ির সংখ্যা খুব কম।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাপ, ইদুর ও প্রণোদনার গল্প

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৯ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪৪

বৃটিশ আমলের ঘটনা। দিল্লীতে একবার ব্যাপকভাবে গোখরা সাপের উৎপাত বেড়ে যায়। বৃটিশরা বিষধর এই সাপকে খুব ভয় পেতো। তখনকার দিনে চিকিৎসা ছিলনা। কামড়ালেই নির্ঘাৎ মৃত্যূ। বৃটিশ সরকার এই বিষধর সাপ... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের সংগ্রামী জনতার স্লুইস গেট আক্রমণ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৯ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২১


(ছবির লাল দাগ দেয়া জায়গাটিতে গর্ত করা হয়েছিল)

শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

২৩শে এপ্রিল পাক সেনারা ফুলছড়ি থানা দখল করে। পাক সেনা এলাকায় প্রবেশ করায় মানুষের মধ্যে ভীতিভাব চলে আসে। কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাড়ির কাছে আরশিনগর

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ০৯ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৫০


বাড়ির কাছে আরশিনগর
শিল্পকলা একাডেমির আশেপাশেই হবে চ্যানেলটার অফিস। কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজি করল মৃণাল। কিন্তু খুঁজে পাচ্ছে না সে। এক-দু'জনকে জিগ্যেসও করল বটে, কিন্তু কেউ কিছু বলতে পারছে না।

কিছুদূর এগোনোর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি ভালো আছি

লিখেছেন জানা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯



প্রিয় ব্লগার,

আপনাদের সবাইকে জানাই অশেষ কৃতঞ্গতা, শুভেচ্ছা এবং আন্তরিক ভালোবাসা। আপনাদের সবার দোয়া, সহমর্মিতা এবং ভালোবাসা সবসময়ই আমাকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে শক্তি এবং সাহস যুগিয়েছে। আমি সবসময়ই অনুভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

×