somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পাগলা ভ্রমন

০৮ ই মে, ২০১১ রাত ৮:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সেদিন হঠাৎ ফেসবুক এর গ্রুপ চ্যাট এ রায়হান প্রস্তাব দিল একটা নিরুদ্দেশ tour করার। সেমিস্টার শেষ আমরা বাসায় বসে বসে bore হচ্ছিলাম। প্রস্তাব শুনে আমি লাফিয়ে উঠলাম। হৃদয় বলল সেও যাবে। এরপর আরও কয়েকজন রাজি হল। শেষে ঠিক হল ৭তারিখ আমরা tour টা করব। কিন্তু ৬ তারিখ এর মধ্যে যারা যাবে বলেছিল তারা সবাই বেঁকে বসল। অগত্যা কি আর করা। ইলিয়াস বলেছিল ও যাবে। আমি ওকে বলেছিলাম শনিবার ঠিক সকাল ১০ টায় কমলাপুর রেলস্টেশন এ হাজির থাকতে। ও বলল যে থাকবে।

প্ল্যান ছিল এমন আমরা কমলাপুর রেলস্টেশন এ সকাল ১০টায় যাব। তারপর যে ট্রেন পাব সেটাতেই উঠে পড়ব, এরপর ট্রেন আমাদের যেদিকে নিয়ে যাবে সেদিকে যাব। আবার ওই ট্রেন এই ব্যাক করব।



সকাল ৮টার দিকে আমি আর রায়হান কমলাপুর এর উদ্দেশ্যে রওনা দেই, ইলিয়াস কে ফোন দিলাম, হারামজাদা মোবাইল বন্ধ করে রেখেছে। আমরা কমলাপুর পোঁছেই ময়মনসিংহ এর ট্রেন পাই। ওটায় উঠি। ট্রেন ছাড়ল ১১.০০টায়। শুরু হল আমাদের নিরুদ্দেশ যাত্রা। ট্রেন journey টা উপভোগ করতে করতে ময়মনসিংহ পৌঁছলাম। দুপুর ঠিক ২.১৫ তে। স্থানীয় একটা রেস্টুরেন্ট এ গিয়ে কাচ্চি বিরিয়ানি আর বোরহানি দিয়ে লাঞ্চ সারলাম। ময়মনসিংহ বেড়ানোর মত তেমন যায়গা নেই। আমার ভাইয়া ফোন এ বলেছিল ভ্রম-পুত্র নদী আছে, তার পাড়ে যেতে। লাঞ্চ এর পর ২০টাকা রিক্সা ভাড়া দিয়ে নদীর পাড়ে পৌঁছলাম। মন উদাস হয়ে গেল। রায়হান তো চরম মজা পাচ্ছিল। এই সেই ভ্রম-পুত্র যার কথা ছোটবেলায় সামাজিক বিজ্ঞান বইতে অনেক পড়েছি। নদীর পাড় বাঁধ দেয়া খুব সুন্দর করে। নদীর পানি ছিল শান্ত, সে এক অপরূপ দৃশ্য। রায়হান তখনি ঠিক করল নদিতে নামবে। আমি একটু আপত্তি জানালাম, তাও আবার আলাদা কোন প্যান্ট আনিনি। ভিজাব কি? রায়হান হাফ প্যান্ট পরে লাফ দিল নদীর পানিতে। ও দারুণ উপভোগ করছিল, ওর মজা দেখে আমিও লোভ সামলাতে পারলাম না। Under Pant পরেই আমিও নামলাম নদী তে। আহ ভ্রম-পুত্র নদিতে গোসল করছি, এর feelings ই আলাদা।



গোসল করে নদীর পাড়ে কিছু সময় হেঁটে আমরা আগের রিকশাতেই আবার স্টেশন ফিরলাম। টিকেট কিনলাম। ট্রেন এলো ৫.৩০ এর দিকে। আমরা প্লাটফর্ম এ দারিয়ে দেখলাম ট্রেন এর ছাঁদে মানুষ নামছে আর কেউ উঠছে। রায়হান বলল চল ছাঁদে করে যাই, আমিও রাজি হলাম। স্টেশন এ একটা ওভার ব্রিজ আছে। ওটায় উঠে ওখান থেকে ট্রেন এর ছাঁদে লাফ দিলাম। ট্রেন ছাড়ল। আমার প্রথমে একটু ভয় মতন লেগেছিল, কিন্তু পড়ে সেটা কেটে যায়। বসে বসে গতিশীল অবস্থায় বিকালের গ্রামীণ বাংলা দেখছি উদাস নয়নে। আর শুনছিলাম গান। এ আরেক অন্যরকম অনুভূতি। বিকেল গড়িয়ে রাত হল। ট্রেন এর ছাঁদে শুয়ে পড়লাম। আকাশের দিকে তাকিয়ে আছি বাঁকা চাঁদটাও আমার দিকে তাকিয়ে আছে। এভাবে ঢাকা ফিরলাম।



দিনটা এমন পাগলামিতে ভরা ছিল। আমার জীবনে অন্যতম Best একটা দিন। Thnx dosto Rayhan for giving me company on that day.^_^
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×