ঘুমাইয়া পড়িবার পূর্বে কী করা যায় তাহাই ভাবিতেছিলাম কোন কর্ম খুজিয়া না পাইয়া নিজের মনে অতীত স্মৃতি ঘাটিতে ঘাটিতে কখন যে ঘুমাইয়া পরিয়াছি নিজেও কহিতে পারি না। ঘুম মানুষের জীবনের একটি খুব খাটি উপাদান যাহার মদ্ধে কোন প্রকার ভেজাল নাই। কোন কিছুই যখন ভেজাল ছাড়া নাই সেইখানে ঘুম কী করিয়া ভেজাল মুক্ত হইল ইহা বিশাল গবেষনার বিষয়। তবে এইখানে একখানা কথা আছে সকলেই কিন্তু ঘুমাইতে পারেনা। কায়িক শ্রম করিয়া ক্লান্ত হইয়া যখন পেট পুরে খাওয়া যায় তখন যে ঘুম আসে তাহা বোধকরি হাজার টাকা খরচ করিয়া কেনা পালঙ্ক নরম তুলতুলে বিছানায় আসে না।
সে দিক থেকে একজন শ্রমিক বিশাল সৌভাগ্যের অধিকারী কেন না তাহার ঘুমকে স্বয়ং মসা ও ভাঙ্গিতে পারে না। ঘুম লইয়া এই ধরনের কথা কেহ ইতি পূর্বে কেহ লিখিয়াছে কিনা আমার জানা নাই।আজ আমিই লিখিলাম।কেন লিখিলাম তাহা বলিতে পারি না।ঘুমাইতে ঘুমাইতে কী লেখা সম্ভব।
সীমাহীন ঘুম আমার
আমার ঘুম তুমি নও আমার ঘুম আমিই
ঘুম আমায় পরাধীন করে না
মুক্ত করে মন
যেখানে আমার আমি সারাবেলা সারাক্ষণ
একবেলা কষ্ট করে শান্তি খুজি ঘুমের মাঝে
বিধাতাও ব্যবস্থা করে রেখেছে শান্ত বা অশান্ত ঘুমের
তাই ঘুমই জীবনের লক্ষ
সকল জীবিত প্রানই ওই লক্ষে ছুটে চলছে
ভাবে না কেঊ
ভুলে আছে বা ভুলে থাকার ভান করে যাচ্ছে অবিরত
জীবনের শেষ যেখানে সেখানে ঘুমের শুরু
বি দ্রঃ এই লেখা লেখার পর থেকে আমার আর ঘুম আসে না।