ধুর! এইভাবে বেঁচে থাকা যায় নাকি? কাজকর্ম ছাড়া সিএনজির ভেতরে দিনরাত ঘাপটি মেরে বসে থাকার কোনো মানে আছে? আমরা মিটার হয়েছি বলে যার যা ইচ্ছা তাই করবে এটা মেনে নেওয়া যায় না। আরে আমাদেরও তো একটা লাইফ আছে। ঝিম মেরে বসে থাকার জন্য আমাদের এই দেশে পাঠানো হয়নি। সিএনজি বা ট্যাক্সিওয়ালা যাতে ভাড়া নিয়ে কোনো ধরনের তেড়িবেড়ি করতে না পারে, সে জন্য সিএনজি বা ট্যাক্সির সঙ্গে আমাদের অ্যাটাস্ট করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতে লাভটা কী হলো? সিএনজিওয়ালারা তো শুধু সিএনজিটাই চালায়, আমাদের আর চালায় না। তারা যাত্রীদের কাছ থেকে ইচ্ছেমতো টাকা নিয়ে নিশ্চিন্তে রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়, আর আমরা চেয়ে চেয়ে দেখি। মনের খুশিমতো যে একটু ভাড়া উঠাব সেটাও করতে পারছি না। কাজ না করতে করতে আমাদের সবার ভেতরে একেবারে জং ধরে গেছে। অনেকের তো শরীরে চর্বিটর্বি জমে একেবারে যা-তা অবস্থা। ইশ! কতদিন আমাদের সুইচে চালকের স্পর্শ পড়ে না। জ্যামে আটকা পড়ে তড়তড় করে ভাড়া ওঠানোর ঘটনা তো এখন শুধুই স্বপ্ন। যাত্রী যখন চালককে বলে, মিটারে যাবেন? আমরা তখন মনপ্রাণ দিয়ে প্রার্থনা করি, টান টান উত্তেজনা নিয়ে অপেক্ষা করি—যদি চালক রাজি হয়! কিন্তু আফসোস! নিষ্ঠুর-পাষাণ চালকেরা কিছুতেই রাজি হয় না। আশপাশে সার্জেন্ট দেখলে কালেভদ্রে চালকব্যাটা আমাদের অন করে। আহা! সার্জেন্ট পেশাটার প্রতি কৃতজ্ঞতায় তখন মনটা ভরে যায়। কিন্তু এভাবে আর কতদিন? ভারতে আমাদের ভাই-ব্রাদাররা কী সুন্দর কাজ করে খাচ্ছে, আর আমরা এখানে বসে বসে অলস সময় কাটাচ্ছি। আমাদের অবস্থা হয়েছে রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের মতো। জীবিকার সন্ধানে এ দেশে এসে এখন কাজটাজ নেই, উদ্বাস্তু হয়ে বসে আছি। সরকার তো আমাদের বেকার ভাতাও দিচ্ছে না। ভাতা দিলে না হয় ব্যাপারটা মেনে নেওয়া যেত। এই দুর্বিষহ অলস জীবন আমাদের আর ভালো লাগছে না। দেশে আমাদের আত্মীয়-স্বজনেরা আমাদের নিয়ে রীতিমতো হাসাহাসি করে। কারও কাছে মুখ দেখানোর উপায় নেই। এসবের মানে কী? বিদেশে কাজ করতে এসে এ রকম বিপদে পড়ব জানলে সিএনজির মিটারই হতাম না। বৈদ্যুতিক মিটার হয়ে কোনো একটা বাড়িতে ঝুলে পড়তাম, টিভি-ফ্রিজের রিডিং দিতে দিতে জীবনটা চমত্কারভাবে কেটে যেত। কিন্তু এই অন্যায় মুখ বুজে সহ্য করা ঠিক হবে না। কাঁটাবিহীন মাছের কথা কল্পনা করা যায়, কিন্তু রিডিং ছাড়া মিটারের কথা কল্পনাও করা যায় না। তাই, আমাদের একটাই দাবি—হয় মিটারগুলো চালু করে আমাদের কাজ করার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে দিন, তা না হলে অবিলম্বে আমাদের জন্মভূমি চীনে, ভারতে পাঠিয়ে দেওয়া হোক। ঘরের মিটার ঘরে ফিরে যাব। ব্যাক টু দ্য প্যাভিলিয়ন।
আমরা মিটার, আমাদেরও আছে অধিকার
নজরুলের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আমার গাওয়া ৩টি নজরুল গীতি শেয়ার করলাম
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রাণপুরুষ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৩০৬ সালের ১১ জ্যৈষ্ঠ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে এক গরিব পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন স্বাধীনতা ও সাম্যের... ...বাকিটুকু পড়ুন
মেট্রোরেল পেয়েছি অথচ হলি আর্টিজানে নিহত জাপানিজদের ভুলে গেছি
জাপানে লেখাপড়া করেছেন এমন একজনের কাছে গল্পটা শোনা৷ তিনি জাপানে মাস্টার্স করেছিলেন৷ এ কারণে তার অনেক জাপানিজ বন্ধু-বান্ধব জুটে যায়৷ জাপান থেকে চলে আসার পরেও জাপানি বন্ধুদের সাথে তার যোগাযোগ... ...বাকিটুকু পড়ুন
যুদ্ধে নিহত মনোজ দা’র বাবা
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
১৯৭১ সালের এপ্রিলের ছব্বিশ তারিখ। দেশে তখন ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ শুরু হয়েছে। উচ্চ শিক্ষিত এবং কলেজ পড়ুয়া ছাত্রদের নিয়েই বেশি সমস্যা। তাদেরকে খুঁজে খুঁজে ধরে নিয়ে হত্যা করছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন
বিয়ে থেতে ভাল্লাগে।
আমার বিয়ে বাড়ির খাবার খেতে ভালো লাগে। আমাকে কেউ বিয়ের দাওয়াত দিলে আমার খুসি লাগে। বিয়ের দিন আমি সেজে গুজে বিয়ে বাড়িতে আয়োজন করা খাবার থেতে যাই। আমাদের এলাকায় বর্তমানে... ...বাকিটুকু পড়ুন
উসমানীয় সাম্রাজ্যের উসমান এখন বাংলাদেশে
জনপ্রিয় ''কুরুলুস উসমান'' সিরিজের নায়ক Burak Ozcivit এখন বাংলাদেশে। বিগত কয়েক বছর ধরে তার্কির অটোমান সাম্রাজ্যের বিভিন্ন সুলতানদের নিয়ে নির্মিত সিরিজগুলো বিশ্বব্যপী বেশ সারা ফেলেছে। মুসলিমদের মাঝেতো বটেই... ...বাকিটুকু পড়ুন