বিয়ে ভার্সেস পলিটিক্স
মানব জীবনে বিয়ে মানে একটি অনিবার্য বিষয়। তবে কিছু কিছু মানব লাইফে অনিবার্য বিষয়টিকে নিবার্য করলেও বাকিরা পাত্তা দেয়নি। বিয়ের নানারকম ঝামেলাকে ওভারকাম করে ঠিকই বিয়ে করে ফেলেছেন। কিন্তু এই বিয়ের ঝামেলার টুকিটাকি বিষয়ের সঙ্গে কিছু পলিটিক্যাল মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে।
১. কনে দেখা
মেয়েকে দেখতে এরেই যে মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়ে যাবে এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। কিছু ধান্দাবাজ ছেলেপক্ষ মেয়ে দেখতে এলে মেয়ের চেহারা বা গুণগান যাই হোক না কেন যৌতুক হিসেবে যে মেয়ে পক্ষ যত বেশি টাকা সাপ্লাই দিতে পারবে ছেলেপক্ষ তাকেই বউ বানাবে। নির্বাচনের আগে নামিনেশন প্রার্থীর পজিশন যাই হোক না কেন যে যত বেশি টাকা ডোনেট করতে পারবে। দল থেকে তাকেই নমিনেশন দেওয়া হয়। এছাড়াও বিয়ের নিয়ম অনুযায়ী- বরকে ‘এক লক্ষ এক টাকা’ টাইপ দেনমোহর কনেকে ক্যাশ পেমেন্ট করার কথা। কিন্তু বিবাহ বিচ্ছেদ না হলে ইহজনমে আর সেই টাকা কখনোই পে করা হয় না। ঠিক একইভাবে পলিটিক্যাল পজিশনে দেখা যায়, রাজনৈতিক নেতার নির্বাচনের সময় এলাকার প্রভূত উন্নয়ন ও জনকল্যাণ সাধনের লক্ষ্যে দেনমোহরের মতই টাকা বরাদ্দ দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে থাকেন। কিন্তু নির্বাচনের পরে সেই টাকা আর কখনোই বরাদ্দ করা হয় না।
২. মিরর মেকানিজম
বিয়ের অনুষ্ঠানের মাঝামাঝি টাইমে দেখা যায় বর ও কনেকে পাশাপাশি বসিয়ে আয়না দিয়ে একে অপরের মুখ দেখানো হয়। যারা বাকিটা জীবন সরাসরি পরস্পরের মুখে দিকে চেয়ে থাকবে তাদের বিয়েতে মুখ দেখানো হয় আয়না দিয়ে। এখানে একটু রোমান্টিক ভাব রযেছে। কিন্তু পলিটিক্যাল সেকশনে একই সিস্টেম চললেও সেখানে কোনো রোমান্টিকতা নেই। ভিন্ন মতাদর্শে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলের নেতা নেত্রীরা পরস্পরের মুখে দর্শন কিংভা তাদেও রাজনৈতিক কর্মসূচীতে যোগদান না করেই একে অপরকে জেনে ফেলতে পারে। এখানে মিডিয়াগুলো বিয়ের সেই মিরর মেকানিজমের কাজ করে। মিডিয়ার মাধ্যমেই রাজনৈতিক নেতাদের বহুমাত্রিক চেহারা একে অনের কাছে পরিস্কার হয়ে যায়।
৩. হাফ শরবত
বাঙালিরা জাতি হিসেবে কৃপণ নয়। তবে বিয়েতে এক গ্লাস শরবত বর-কনেকে ভাগেযোগে খাওয়ানো হয়। দেশে তো শরবতে ঢালার মত চিনির সঙ্কট এখনও তৈরি হয়নি। দুজনকে দুগ্লাস শরবত অবশ্যই খাওয়ানো যেত। কিন্তু একই গ্লাসে দুজন খেলে নাকি পরস্পরের মধ্যে মহব্বত বাড়ে। যাই হোক, এই মহব্বতের ভাগীদার বিয়েতে আর কেউ হওয়ার সুযোগ পায় না। বাংলাদেশে যদি এক গ্লাস মিঠা শরবত হয় তাহলে পলিটিক্যালি বাকি পরিস্থিতি একই। ক্ষমতার দিনবদলে দুই দল বর-কনে সেজে মিঠা শরবতে চুমুক দিচ্ছে আর পাবলিক সেটা দেখে হাততালি মারছে।
৪. ডিফেন্স পজিশন উইথ ফিতা
বিয়ে নির্বাচনের মতোই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ একটি প্রক্রিয়া। কিন্তু এই প্রক্রিয়াতে দুষ্টু কিছু পোলাপান বাধা সৃষ্টি করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তোলে। বাধা সৃষ্টিকারী প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে বরকে কনের বাড়িতে ঢোকার আগেই ফিতা আটকে দিয়ে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে দাঁড়ানো। এরপর সেই দাবি নিয়ে বরপক্ষ খাবি খেতে শুরু করলে সমস্যা দেখা দেয়। তেমনি নির্বাচনকে আটকে দেওয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন দল অবরোধ, হরতাল ও মহাসমাবেশ টাইপের কর্মসূচী দিয়ে রাজনৈতিক পরিস্থিতি গরম করে তোলে।
মসজিদ না কী মার্কেট!
চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷
আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন
সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে আপনি হাদিস শুনতে চান?
,
আপনি যদি সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে হাদিস শুনতে চান, ভালো; শুনতে থাকুন। আমি এসব প্রফেশানেলদের মুখ থেকে দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি, বাজেট,... ...বাকিটুকু পড়ুন
আকুতি
দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন
ক- এর নুডুলস
অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।
ক
একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন
স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু
২-১ : আলিফ-লাম-মীম
আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন