পৃথিবীতে এমন মানুষ হাতেগোনা ক'জন হবে যা চা-প্রীতি নেই। আর চায়ের আতুড়ঘর যেহেতু চীন, তাই চা নিয়ে তাদের বাড়াবাড়ি থাকবেই। তাই ৭৩.৮ মিটার উঁচু চায়ের কেটলির জাদুঘরটাও দেখা যাবে শুধু চীনে। পাঁচ হাজার বর্গ মিটারেরও কিছু বেশি জায়গা নিয়ে নির্মিত হয়েছে কেটলির মতো দেখতে জাদুঘরটি।
চীনের দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থিত মাইতান শহরে চায়ের কেটলির মতো দেখতে ভাস্কর্য-কাম-দালানটি যে কারো নজর কাড়বে। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কেটলি ভাস্কর্যও এটি। দালানটির সবর্োচ্চ ব্যাস ২৪ মিটার। এটি যদি চায়ে ভর্তি করে রাখা হত তবে চা ধরত ২৮ হাজার ৩৬০ ঘনমিটার চা অর্থাৎ প্রায় পাঁচ কোটি কাপ!
মাইতান শহরটি সবুজ চায়ের জন্মভূমি হিসেবে খ্যাত। এর বিশেষ কেটামাইন চায়ের চাহিদা বিশ্বের সবখানেই আছে। তাই চা সম্পর্কিত কোন ভাস্কর্য তৈরির স্থান হিসেবে এ শহরের কথাই মাথায় আসবে আগে। আর মাইতানের এ পরিচিতি বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে এর চেয়ে ভাল পদ্ধতি আর কী হতে পারে!
কিন্তু কেটলির পাশে চায়ের কাপ থাকবে না তা কি হতে পারে! তাই কেটলিটির পাশেই নির্মাণ করা হয়েছে কাপের মত দেখতে একটি ছোট দালান। এমন অদ্ভুত জাদুঘর আর কোথাও নেই। ভাস্কর্যটির কাছে গেলে এর চারদিকের জানালাগুলো দেখে তবেই একে দালান বলে মানবে সবাই। তার আগে ওটাকে কেটলির ভাস্কর্যই মনে হবে। সূত্র: কালের কন্ঠ
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মে, ২০১১ দুপুর ১২:০৪