হিন্দুরা বীর পূজার জন্য বিখ্যাত । হিন্দুরা ব্যাসদেবকে একজন স্বর্গীয় মহাঋষি হিসেবে শ্রদ্ধা করে। তিনি ঈশ্বরভক্ত ,ধর্মপ্রাণ ও সৎমানুষ ছিলেন। তিনি বিভিন্নভাবে বেদকে ব্যাখ্যা করেন। তিনি আধ্যাত্মিকতার উপর অনেক বই লিখেছেন। গীতা, মহাভারত তিনি সংকলন করেন। এগুলোর মধ্যে তার ১৮ খণ্ডের পুরানের জন্য তিনি বিখ্যাত। এগুলোর মধ্যে প্রধান হচ্ছে ভবিষ্য পুরান। যেখানে মহর্ষি আসন্ন ঘটনা সম্পর্কে অনেক পুরভাবাস দিয়েছেন। হিন্দুরা বেদ এর মতই পুরাণকে শ্রদ্ধা করে। ব্যাস এগুলো সংকলিত করেছেন মাত্র, আসল রচয়িতা ঈশ্বর স্বয়ং। এই ভবিষ্য পুরানে একটি ভবিষ্যৎ বানীতে(প্রতি সর্গপর্ব ৩:৩,৩,৫-৮) বলা হয়েছে-‘’একজন ধর্মীয় শিক্ষক তার সঙ্গীদের নিয়ে আবির্ভূত হবেন। তার নাম হবে মুহাম্মদ ।রাজা ভোজ মহাদেব আরবকে পঞ্চগব্য ও গঙ্গার জলে স্নান করিয়ে তাকে পবিত্র করার পর, তাকে উপহার নিবেদন করে বলেছেন-' হে আরববাসী মহামানব, তুমি মানবজাতির গর্ব। তুমি বিরাট শক্তি সঞ্চয় করেছ শয়তানকে ধ্বংস করতে এবং তুমি নিজেকে পৌওলিকদের হাত থেকে রক্ষা করেছ।তুমিই মহান, আমি তোমার দাস,আমাকে তোমার পদতলে স্থান দিও'। মহামানবের গুনগান করতে গিয়ে ব্যাস নিম্নোক্ত বিষয় উল্লেখ করেছেন-১। সুস্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে যে মহামানবের নাম হবে মুহাম্মদ। ২। বলা হয়েছে, তিনি আরবের লোক হবেন। সংস্কৃত "মরুস্থল" মানে মরুভুমি।৩। তিনি ঐশ্বরিক হবেন।৪। তিনি শয়তানকে ধ্বংস করবেন। পৌওলিকতা বন্ধ করবেন এবং সব পাপ দূর করবেন। ৫।তিনি সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের প্রতিভু হবেন।৬। তিনি মানবজাতির গর্ব হবেন।
এ ভবিষ্যৎবানী নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নাই।তবে অনেকে আপত্তি তুলেছেন, পুরানে যে রাজার কথা বলা হয়েছে তিনি ভোজ। তিনি একাদশ শতাব্দীর রাজা ও রাজা শালিবাহনের পরে এসেছিলেন। সুতরাং রাজা ভোজ নবীর আগমনের ৫০০ বছর পরে এসেছিলেন। কিন্তু মিশরের ফারাও, রোমানদের কাইজারের মত ভারতের রাজাদেরও ভোজ বিশেষণে বিশেষায়িত করা হয়। একই নামের অনেক রাজা সেই সময় ছিলেন। ‘ঐতরেয় ব্রাক্ষন-পঞ্চক ৮;১২;১৬;১৭’ নামে পুরনো সংস্কৃত বইয়েও রাজা ভোজের উল্লেখ আছে। পানিনি একজন সংস্কৃত ব্যাকরণবিদ ছিলেন।তিনিও রাজা ভোজের কথা উল্লেখ করেছেন।আর একটি ব্যাপার ,মহামানবের পঞ্চগব্য ও গঙ্গার জলে স্নানের বিষয়টি। এটি বাস্তবে ঘটেনি সপ্নে ঘটেছিল।এজন্য বলা যায়, নবী সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হবেন এবং কোন পাপ তাকে স্পর্শ করবে না। পাশাপাশি এইও বলা হয়েছে, তিনি ইসলাম ভিন্ন অন্য কোন ধর্মের নবী হয়ে আসবেন না। তাহলে ব্রহ্মা যা প্রকাশ করেছেনএবং ব্যাসজি যা বলেছেন, তাতে ব্যাসদেব নবীকে মহান ,ধর্মপ্রাণ হিসেবে স্বীকার করেছেন। এবং তার পদতলে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।