somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মনের মধ্যে মনের মানুষ রবীন্দ্রনাথ

০২ রা মে, ২০১১ রাত ৮:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যাঁর চোখমূখের উজ্জ্বলতায় আমাদের করো তোলো উদ্জীবিত। কবিতা, গানে,গল্পে,উপন্যাসে, চিত্রকলায় কিংবা প্রবন্ধে। কোথায় নেই রবীন্দ্রনাথ। আমাদের মনে, প্রাণে । আছে আনন্দ-উত্সবে, দুখে-শোকে সব খানে মিশে থাকার শব্দটার নামেই রবীন্দ্রনাথ। তিনি আমাদের শিখিয়েছেন মানুষের চেয়ে বড় ধর্ম আর নেই। তিনি তাঁর মানুষের ধর্ম গ্রন্থে বলেছেন—‘ঋজু হয়ে চলতে গিয়ে প্রতি মুহুতেই মানুষকে ভারাকর্ষণের বিরুদ্ধে মান বাঁচিয়ে চলতে হয়। পশুর মতো চলতে গেলে তা করতে হত না। মনুষ্যত্ব বািঁচয়ে চলাতেও তার নিয়ত চেষ্ঠা, পদে পদেই নীচে পড়বার শঙ্কা। এই মনুষ্যত্ব বাঁচানোর দ্বন্দ্ব মানবধর্মের সঙ্গে পশুধর্মের দ্বন্দ্ব, অর্থ্যাত্ আদর্শের সঙ্গে বাস্তবের। মানুষের ইতিহাসে এই পশুও আদিম। সে টানছে তামসিকতায়,মূঢ়তার দিকে। পশু বলছে,‘সহজধর্মের পথে ভোগ করো।’ মানুষ বলছে,‘মানবধর্মের দিকে তপস্যা করো।’যাদের মন মন্থর-যারা বলে,যা আছে তাই ভালো,যা হয়ে গেছে তাই শ্রেষ্ঠ,তারা রইল জন্মধর্মে স্থাবর বেড়াটার মধ্যে, তারা মুক্ত নয়,তারা স্বভাব থেকে ভ্রষ্ট। তারা পূর্বসঞ্চিত ঐশ্বর্যকে বিকৃত করে, নষ্ট করে।’
তিনি বুঝাতে চেয়েছেন মনুষ্যত্ব তপস্যাকে মানুষের উত্কৃষ্ট ধর্ম । তাঁর কথা হলো—‘ মানুষের একটা দিক আছে যেখানে বিষয়বুদ্ধি নিয়ে সে আপন সিদ্ধি খোঁজে। সেইখানে আপন ব্যক্তিগত জীবনযাত্রানির্বাহে তার জ্ঞান, তার কর্ম,তার রচনাশক্তি একান্ত ব্যাপৃত। সেখানে সে জীবরুপে বাঁচতে চায়। কিন্তু মানুষের আর একটা দিক আছে যা এই ব্যক্তিগত বৈষয়িকতার বাইরে। সেখানে জীবনযাত্রার আদর্শে যাকে বলি ক্ষতি তাই লাভ, যাকে বলি মৃত্যু সেই অমরতা। সেখানে বর্তমান কালের জন্যে বস্ত সংগ্রহ করার চেয়ে অনিশ্চিত কালের উদ্দেশে আত্মত্যাগ করার মূল্য বেশি। সেখানে জ্ঞান উপস্থিত—প্রয়োজনের সীমা পেরিয়ে যায়, কর্ম স্বার্থের প্রবর্তনাকে অস্বীকার করে। সেখানে আপন স্তন্ত্র জীবনের চেয়ে যে বড়ো জীবন সেই জীবনে মানুষ বাঁচতে চায়।’
‘স্বার্থ আমাদের যে সব প্রয়াসের দিকে ঠেলে নিয়ে যায় তার মূল প্রেরণা দেখি জীবপ্রকৃতিতে: যা আমাদের ত্যাগের দিকে, তপস্যার দিকে নিয়ে যায় তাকেই বলি মনুষ্যত্ব, মানুষের ধর্ম।’
২.
রবীন্দ্রনাথ মনের মধ্যে ঠাঁই করে নেন প্রত্যেক মানুষের জীবনে সেই ছোটবেলায়। যখন থেকে প্রাণভরে গাইতে শিখেছি—‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোয়ায় ভালোবাসি।’ তারপর নানাভাবে সূর্যের তীব্র কিরণের মতো উঁকি দেয় রবীন্দ্রনাথ। কলেজে পড়ার সময় আমার এক স্যার মানুষের জীবনদর্শন নিয়ে কথা বলছিলেন তখন স্যার রবীন্দ্রনাথের শেষবেলার একটা কবিতার তিনটা লাইন উচ্চারণ করেছিলেন। আর সেই কবিতার তিনটা লাইন হয়ে উঠে আমার আদর্শ। মনের প্রেরণার সঙ্গী। বদলের হাতিয়ার। তখন থেকে মনের মধ্যে মনের মানুষ শুধুই রবীন্দ্রনাথ। কবিতার তিনটা লাইন হলো—
‘সত্যে যে কঠিন
কঠিনেরে ভালোবাসিলাম
যে কখনো করে না বঞ্চনা।’

সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মে, ২০১১ রাত ৮:১২
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মুসলিম নেতৃত্বের ক্ষেত্রে আব্বাসীয় কুরাইশ বেশি যোগ্য

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:২৫




সূরাঃ ২ বাকারা, ১২৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৪। আর যখন তোমার প্রতিপালক ইব্রাহীমকে কয়েকটি বাক্য (কালিমাত) দ্বারা পরীক্ষা করেছিলেন, পরে সে তা পূর্ণ করেছিল; তিনি বললেন নিশ্চয়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুসলমানদের বিভিন্ন রকম ফতোয়া দিতেছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩


আপন খালাতো, মামাতো, চাচাতো, ফুফাতো বোনের বা ছেলের, মেয়েকে বিবাহ করা যায়, এ সম্পর্কে আমি জানতে ইউটিউবে সার্চ দিলাম, দেখলাম শায়খ আব্দুল্লাহ, তারপর এই মামুনুল হক ( জেল থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জুমার নামাজে এক অভূতপূর্ব ঘটনা

লিখেছেন সাব্বির আহমেদ সাকিল, ১০ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০



মসজিদের ভেতর জায়গা সংকুলান না হওয়ায় বাহিরে বিছিয়ে দেয়া চটে বসে আছি । রোদের প্রখরতা বেশ কড়া । গা ঘেমে ভিজে ওঠার অবস্থা । মুয়াজ্জিন ইকামাত দিলেন, নামাজ শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

বামিঙ্গিয়ান উপাখ্যান

লিখেছেন যুবায়ের আলিফ, ১০ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২০




মাঝ রাতে কড়া একটা ঝাঁকুনি দিয়ে ঘুম ভাঙলো জ্যাকের৷ ঘুমের ঘোরে দেখতে পেল কেউ চোখ ধাঁধানো পোষাক পরে ডাইনিংয়ে একটা চামচ রেখে দরজা গলিয়ে চলে যাচ্ছে৷ গা ও পোষাকের উজ্জ্বলতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। হরিন কিনবেন ??

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৯



শখ করে বন্য প্রাণী পুষতে পছন্দ করেন অনেকেই। সেসকল পশু-পাখি প্রেমী সৌখিন মানুষদের শখ পূরণে বিশেষ আরো এক নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এবার মাত্র ৫০ হাজার টাকাতেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×