বুড়িগঙ্গার সৌন্দর্য বাড়ানোর কাজ করেছিলেন বাংলার সুবাদার মুকাররম খাঁ। তার শাসনামলে শহরের যেসকল অংশ নদীর তীরে অবস্থিত ছিল, সেখানে প্রতি রাতে আলোক সজ্জা করা হতো। এছাড়া নদীর বুকে অংসখ্য নৌকাতে জ্বলতো ফানুস বাতি। তখন বুড়িগঙ্গার তীরে অপরুপ সৌন্দের্য্যের সৃষ্টি হতো। ১৮০০ সালে টেইলর বুড়িগঙ্গা নদী দেখে মুগ্ধ হয়ে লিখেছিলেন- বর্ষাকালে যখন বুড়িগঙ্গা পানিতে ভরপুর থাকে তখন দুর থেকে ঢাকাকে দেখায় ভেনিসের মতো। এসব এখন শুধুই রুপকথা।
আজ এই মুহুর্তে এটি একটি মৃত নদী। এই নদীর বাস্তসংস্থান নষ্ঠ হয়ে গেছে। মোদ্দাকথা এই নদীতে যে ভাসমান তরল এটি পানি নয়। দুই ভাগ হাইড্রোজেন আর একভাগ অক্সিজেন মিলে পানি হয়। অথচ এই নদীতে এর বদলে অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে সয়লাব হয়ে আছে। নদীতে যেসব জলজ উদ্ভিদ ও প্রানী থাকে। এর কিছূই বেঁচে নেই, বেঁচে থাকার কথাও নয়। সাম্প্রতিক এক গবেষনায় ১০০ মিলি. পানিতে চার মিলিয়নের বেশী ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি দেখা গেছে। এই পানির স্পর্শে চর্মরোগ হবে নিশ্চিত। তাছাড়া অনেক আগেই এ নদীর পানি পঁচে গেছে।
সবচাইতে শঙ্কার কথা হচ্ছে বুড়িগঙ্গায় প্রতিদিন দুই হাজার টন ময়লা ও রাসায়নিক বজ্য ফেলা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞের মতে এই নদী এখন ক্লিনিক্যালী ডেড।
তবে নদী তীরবর্তী হাজার হাজার কলকারখানা এই মুহুর্তে বন্ধ করা সম্ভব হলে হয়তো এই নদীকে বাঁচানো যেতেও পারে...।
ছবি: ১৮৮০ সালে তোলা বুড়িগঙ্গা নদীর ছবি।
তথ্যসুত্র: উইকিপিডিয়া ও সাম্প্রতি বুয়েট ও বিসিএসআইআর কতৃক গবেষনা।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মে, ২০১১ দুপুর ১:০৫