২০২৫ সালে বাংলাদেশের রুপরেখা সম্পুর্ণ বদলে যাবে।এমনটাই মনে করেন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন। ২০২৫ সালে যেমন হবে..........
বাংলার সোনালি অতীত
সুজলা সুফলা শস্য-শ্যামলা। মাঠে মাঠে ফসল, হাওর বিল বোঝাই মাছ
আর গাছে গাছে হাজার প্রজাতির পাখি। গোলাভরা ধান আর পুকুরভরা
মাছ। পুঁথি-গান-বাঁশিতে মুখরিত বিকেল-সন্ধ্যা। বারো মাসে তেরো পার্বণ।
প্রতিমাসেই উৎসব। কত প্রাচুর্য থাকলে এটা সম্ভব!
চুরি ছিনতাই বলে কিছু ছিলো না। রাতে ঘুমোতে গেলে দরজায় খিল
লাগানোর প্রয়োজন কেউ মনে করতো না। পর্যটকরা সুখ-সমৃদ্ধির বিবরণ
দিতে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলতেন।
সভ্য বিশ্বে আভিজাত্যের প্রতীক বাংলার মসলিন। সওদাগররা সাত
সমুদ্র তেরো নদীর পারে যেতেন ময়ূরপক্সীর বাণিজ্যবহর নিয়ে। যখন
ফিরতেন সৃষ্টি হতো আরেক আনন্দের হুল্লোড়। পৃথিবীর ৬ষ্ঠ সমৃদ্ধ জাতি।
এই ছিলো বাংলার সোনালি অতীত।
কোয়ান্টামের মনছবি
সবচেয়ে গরিব মানুষটিরও রয়েছে ৩ বেডরুমের বাড়ি, এয়ার কন্ডিশন্ড
গাড়ি। যানজটমুক্ত সড়ক। বিশাল বিশাল ফাইওভার। কম্পিউটারাইজ্ড
নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আর রাস্তার গাড়ি সবই বাংলাদেশে তৈরি।
সকল মজা খাল-বিল-নদী পুনরুদ্ধার, নদীশাসন ব্যবস্থায় বিশাল বিশাল
জলাশয় মাছে পরিপূর্ণ ও গ্রাম-গঞ্জ-শহর পাখির কলকাকলিতে মুখরিত।
বন্যামুক্ত দিগন্তবিস্তৃত ভূমি পরিপূর্ণ শস্যে। দেশে দান বা যাকাত গ্রহণ
করার মতো কোনো মানুষ নেই।
বারো মাসে আবার হচ্ছে তেরো পার্বণ। সারা পৃথিবী থেকে ছাত্র ও
গবেষকরা আসছেন বাংলায় উচ্চতর গবেষণার জন্যে। বাংলাদেশের কোচরা
ইউরোপ আমেরিকায় যাচ্ছেন খেলোয়াড়দের প্রশিণ দিতে। বিশ্বসংস্কৃতির
কেন্দ্রভূমিতে রূপান্তরিত হয়েছে ঢাকা।
এক মানবিক মহাসমাজ। প্রত্যেকের অন্ন-বস্ত্র-শিা-স্বাস্থ্য-বাসস্থান
নিশ্চিত। ধর্ম-বর্ণ-গোত্র-অঞ্চল নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষের স্বাধীন
আত্মবিকাশের অধিকার সুরতি।
কোটি মানুষের এখন এটাই স্বপ্ন।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মে, ২০১১ রাত ১০:৩৪