somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সিডন্সের কথা এবং আমাদের প্রতিক্রিয়া

৩০ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১০:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জেমি সিডন্সের কথা শুনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারা নাকি চটে গেছেন। কেউ কেউ তাকে এক হাত দেখে নেওয়ার কথাও বলছেন। তো জেমি কি বলেছেন?
বলেছেন, এই দেশের ক্রিকেট কর্তারা সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন। এরা কাজ করতে চান না; সোজা কথায় অকর্মন্য। সবচেয়ে বেশি বলেছেন, আমাদের প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেট কাঠামো নিয়ে।
আমি মানুষ জেমি সিডন্স বা কোচ জেমি সিডন্স কারোরই ভক্ত কাতারে পড়ি না। বরং তাকে নিয়ে আমার ‘অ্যালার্জিটা’ এর আগে গোটা কতক লেখায় ফুটে উঠেছে বলেই আমার ধারণা। এমনকি তার বেফাস কথা বলাও আমি সমর্থন করি না।
কিন্তু এখন জেমি সিডন্স আমাদের কোচ নন। একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে তার কথায় চটে না উঠে বরং গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া উচিত ছিল কথাগুলোকে।
আর কথাগুলো তো নিতান্ত মিথ্যে নয়।
আমাদের বর্তমান ক্রিকেট বোর্ডকে বলা যায় বাংলাদেশের ‘বেস্ট পসিবল’ লোকদের নিয়ে তৈরি করা বোর্ড। এই বোর্ডে গাজী আশরাফ হোসন লিপুর মতো মেধা আছে, আহমেদ সাজ্জাদুল ইসলাম ববি আর মাহবুব আনামের মতো পরীক্ষিত ও যোগ্য সংগঠক আছেন। বোর্ডের সঙ্গে কোনো না কোনো ভাবে আকরাম খান, মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, হাবিবুল বাশারের মতো ক্রিকেটার আছেন। বিভিন্ন ফর্মে কর্মকান্ডে জড়িয়ে আছেন জালাল আহমেদ চৌধুরী, সারোয়ার ইমরানদের মতো ক্রিকেট মস্তিষ্ক।
তারপরও স্বীকার করতে হবে বোর্ডের কাজকর্ম অত্যন্ত গতিহীন এবং কার্যকর সিদ্ধান্তের বড় অভাব। কারণ কী?
কারণটা পুরোনো, নতুন করে বলেছেন জেমি: পেশাদারলোকদের কাধে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে না। সর্বজনাব লিপু, মাহবুব, ববিদের বুঝতে হবে; দিন বদলেছে। শুধু রোমান্টিসিজম দিয়ে আর খেলাধুলা চলে না। আপনাদের বয়স হচ্ছে। এখন যে কর্মতৎপরতা দেখানো দরকার, তা দেখানোর বয়স ও সময় কোনোটাই আপনাদের নেই। আর নতুনরা জীবন-জীবিকা নিয়ে এতোই ব্যস্ত, স্বেচ্ছাশ্রম ব্যাপারটা তাদের কাছে আশা করে লাভ নেই।
পেশাদার লোকের হাতে দায়িত্ব ছেড়ে দিন। সব ক্ষমতা নিজেদের হাতে রাখার জন্য পেশাদার পদে অনভিজ্ঞ ও শক্তিবিহীন বড় কর্তা বসাবেন না। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগে ভুল করেছেন; ভুলটা সংশোধন করুন পারলে। আর ক্ষমতা ভাগ করে দিন। লাখ লাখ টাকা বেতন দিয়ে ‘জি ভাই’ টাইপের লোক রেখে লাভ নেই।
আর জেমির দ্বিতীয় আপত্তি উইকেট নিয়ে। খুব সত্যি কথা। এমন নখদন্তহীন উইকেট আর কতোকাল? কি হচ্ছে এই উইকেট দিয়ে?
এই নিচু বাউন্স আর ধীর গতির উইকেটে খেলে খেলে স্পিনাররা কৃত্রিম আত্মবিশ্বাস পাচ্ছে। নিজের শক্তি বাড়ানোর কোনো উদ্যোগ তাদের ভিতর নেই। অবচেতন মনে তারা ভাবছে, দুনিয়ার সব জায়গায় বোধহয় এমন উইকেটে খেলা হবে। ভাই, ক্রিকেট দুনিয়াটা মিরপুর আর চট্টগ্রামে নয়।
এই উইকেট স্পিনার ছাড়া আর কারো কাজে লাগে না। ব্যাটসম্যানরা মন খুলে শট খেলতে পারে না। তারা বাধ্য হয়ে ডিফেন্সিভ হয়ে যাচ্ছে। যেটা বাইরের উইকেটে গেলে আবার উল্টো বিপদ তৈরি করবে। আর ফাস্ট বোলাররা?
জেমি ভালো বলেছে, ‘এমন উইকেট থাকলে নতুন ক্রিকেটাররা ফাস্ট বল আর করতেই চাইবে না। সবাই স্পিনার হতে চাইবে।’
কথা হল, আর্ন্তজাতিক ম্যাচে রনকৌশল হিসেবে এমন উইকেট চলতে পারে। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেট কেন এই নখ-দন্তহীন উইকেট। ঘরোয়া ক্রিকেটে একটা উইকেট বানান গতিসমৃদ্ধ। যেখানে বল করে ফাস্ট বোলারদের উত্তেজনা বাড়বে। যে পেস খেলতে ব্যাটসম্যানরা ভয় পাবে। একটা স্পোর্টিং উইকেট হোক, যেখানে ব্যাটে বলে লড়াই হবে। বল মুভ করবে।
*****
ধুর! এসব কথা বলে লাভ কী! ওয়াসিম আকরাম, পিটার রোবাক, সুনীল গাভাস্কাররা এসব বলে মুখে ফেনা তুলে ফেললেন; তাদের কথা কেউ শুনল না। আর দেবব্রত মুখোপাধ্যায়!!!!
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অপরূপের সাথে হলো দেখা

লিখেছেন রোকসানা লেইস, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৩৫



আট এপ্রিলের পর দশ মে আরো একটা প্রাকৃতিক আইকন বিষয় ঘটে গেলো আমার জীবনে এবছর। এমন দারুণ একটা বিষয়ের সাক্ষী হয়ে যাবো ঘরে বসে থেকে ভেবেছি অনেকবার। কিন্তু স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×