নারায়ণগঞ্জে দুই মাস আগে খুন হওয়া মেধাবী ছাত্র ত্বকীর চাচাতো ভাই অর্ণব ওয়াহিদকে গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা।
Published : 10 May 2013, 04:54 PM
ডান হাতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে শহরের খানপুরে নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার রাত সোয়া ৮টার দিকে শহরের খানপুরে অবস্থিত বিআরটিসি বাসের ডিপোর সামনে এই ঘটনা ঘটে। অর্ণব কবি ও দন্ত চিকিৎসক এম এ রাব্বি ওরফে ওয়াহিদ রেজার ছেলে। তিনি ঢাকার ধানমন্ডিতে অবস্থিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউল্যাবের ছাত্র।
হাসপাতালে অর্ণব সাংবাদিকদের জানান, সন্ধ্যার পর আমলাপাড়ার বাসা থেকে বের হয়ে শহরের খানপুর হাসপাতালের দিকে যাওয়ার সময় বিআরসিটিসির ডিপোর সামনে তাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়।
“কিছু বুঝে ওঠার আগেই দেখি আমার ডান হাতের বাহু থেকে রক্ত ঝড়ছে। একটি গুলি আমার হাতের ভেতরে বিদ্ধ হয়ে অন্য দিক থেকে বের হয়ে যায়। পরে আমি দৌড়ে শহরের ডনচেম্বার এলাকায় গিয়ে বন্ধুদেরকে জানালে তারা আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। ত্বকী হত্যার পর থেকে চাষাঢ়া এলাকাটি নিরাপদ মনে না করায় আমি পাড়া মহল্লার রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতাম।”
তবে কী কারণে কারা তাকে গুলি করেছে সে ব্যাপারে অর্ণব কিছু জানাতে পারেনি।
শহরের খানপুর ২০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আবদুল মান্নান বলেন, “আমি আক্রান্ত ব্যক্তির ডান হাতের ক্ষত থেকে রক্ত ঝরতে দেখেছি। রোগী জানিয়েছে তাকে গুলি করা হয়েছে।”
এ ব্যাপারে অর্ণবের চাচা ত্বকীর বাবা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বি জানান, নারায়ণগঞ্জে ধারাবাহিক খুনের ঘটনারই অংশ অর্ণবকে গুলির ঘটনা। প্রশাসন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় এই ধরনের ঘটনাগুলো ঘটছে।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মঞ্জুর কাদের জানান, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এদিকে ঘটনার পর হাসপাতালে ছুটে যান নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক অঙ্গনসহ বিভিন্ন শ্রেণির লোকজন।
এর আগে গত ৮ মার্চ শহরের শায়েস্তা খান রোডের বাসা থেকে নিখোঁজ হওয়ার দু’দিন পর শহরের চারার গোপ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে অর্ণবের চাচা সাংস্কৃতিক ব্যক্তি রফিউর রাব্বির ছেলে তানভীর মুহাম্মদ ত্বকীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় নিহত ত্বকীর বাবা বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। তিনি খুনের ঘটনার জন্য সাবেক সাংসদ ও আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমান ও তার ছেলে অয়ন ওসমান, জেলা যুবলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ক্যাঙ্গারু পারভেজসহ সাত জনকে অভিযুক্ত করে জেলা পুলিশ সুপারের লিখিত অভিযোগ দেন।
তবে শামীম ওসমান বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।