somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিচারক

৩০ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




আমি পথে নেমে যাবার প্যাসেঞ্জার। আমার যাওয়া আসার রুটের বাসে পথের প্যাসেঞ্জারদের কোন সিট দেওয়া হয় না। তারা সবাই পরস্পর ঠেলাঠেলি, গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে যায়। বাসের মধ্যে ভিড় খুব অতিরিক্ত হলে তাদের উঠতে হয় বাসের ছাদে। আমার মনে হয়, দুই সিট সারির চাপা প্যাসেজের মধ্যে গাদাগাদি করে না দাঁড়িয়ে ছাদে বসে হাওয়া খেতে খেতে যাওয়া মন্দ নয়। মাঝে মাঝে ইচ্ছে জাগে এই সামান্য পথটুকু বাসের ছাদে করেই যাই। সবার মাথার উপরে চড়ে পৃথিবী দেখার আনন্দতো কম নয়। কিন্তু যাওয়া হয় না। কোথায় যেন একটু সম্মান বোধ রীন রীন করে বাজে। আমি কি হাটুরে লোক নাকি যে, হাট ভাঙ্গার পর যেভাবে পারি ছুটবো! আমার এই যাত্রাপথ দীর্ঘদিনের।
এই রুটের বাসের প্যাসেঞ্জারদের সঙ্গে সুপারভাইজারদের আচরণ খুব মধুর নয়। মনে হয়, কোন হ্যাংলা নাছোড়বান্দা ভিখিরির সাথে দুর্ব্যবহার করছে তারা। দুর্ব্যবহার আমি একদম সহ্য করতে পারি না। আমার মর্যাদা বোধ খুব টনটনে। তাই চারগুণ ভাড়া বেশি দিয়ে বাসের শেষ গন্তব্যের টিকেট কেটে এবং টিকেটে সিট নম্বর নিয়ে তবে আমি বাসে উঠি।
এই গিসগিসে ভিড়ের বাসে সিট নিয়ে সামান্য পথ অতিক্রমে প্রতিবারই আমার ভিতর একটি অহং তৈরি হয়। মনে হয়, শালা বাহাদুর আমি! দেখ কত লোক নিরুপায় হয়ে দাঁড়িয়ে আছে আমি যাচ্ছি বসে। অসংখ্য দাঁড়িয়ে থাকা লোকের মধ্যে বসে আমি একটি অহংকারী আনন্দ অনুভব করি সবসময়।
অন্যান্য দিনের মত আজকের ভিড়টাও তীব্র। বিকেল পাঁচটার মত বাজে। সূর্য সামান্য পশ্চিমে হেলেও তাপ ছড়াচ্ছে গনগন করে। আমি বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে ঘামছি। এতটুকু হাওয়া নেই কোথাও। গরম পড়ছে খুব? ঝড় আসবে নাকি ? আমি ইশান কোণে তাকিয়ে কাল বোশেখের কালমেঘ খুঁজি। আকাশে কোথাও কোন কালমেঘ নেই। মেঘহীন মুক্ত আকাশটিকে মনে হয় নীল টাইলসের মেঝে।
বাস মিনিট পাঁচেক পরে ছাড়বে। ঘন্টা পড়েছে একটা। পাঁচ মিনিট পর আরেকটি ঘন্টা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাসটি ছাড়বে। ছাড়বে ঠিক নয়। মোড়াতে মোড়াতে হাত বিশেক দূরে গিয়ে ইঞ্জিন চালু রেখে দাঁড়িয়ে পড়বে। বাসের সুপারভাইজার এবং গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা হেলপার দু’জনই বাস থেকে নেমে, বাসের গায় দুমদাম থাপ্পড় মেরে সময়ের অভাবে নিয়ে আসতে না পারা সম্ভাব্য প্যাসেঞ্জারদের মূল গন্তব্যের নাম ধরে ডাকতে থাকবে। ওদিকে বাস স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা বাসের সময় রক্ষক সময় শেষ হয়ে যাওয়া বাসটাকে অদূরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে দুইগাল ভীমরুলের বাসার মত ফুলিয়ে সিটি বাজাতে থাকবে। সুপারভাইজার এবং হেলপার কখনোই এই অতিরিক্ত সিটিকে কর্ণপাত করবে না। তারা গলার রগ ফুলিয়ে অনবরত চিৎকার করে গন্তব্যের নাম ধরে ডাকতে থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত না সময় রক্ষক সিটি বাজাতে বাজাতে বাসটিকে তেড়ে আসবে। এটা এই রুটের বাসের নিত্যদিনের ঘটনা।
প্রথম ঘন্টাটি পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি কাউন্টার থেকে টিকেট কেটে বাসে উঠে পড়ি। সামনের দিকের একটি ভাল সিটই কাউন্টার আমাকে দিয়েছে। আমি সিটে বসে জানালার গ্লাসটি বাম দিকে ঠেলে দিয়ে বাতাস ঢোকার পথ করে দেই কিন্তু বাতাস আসেনা। কেমন দম বন্ধ গুমোট একটা হাওয়া চারদিকে।
আমার সিটটি পাশাপাশি দুই সিটের হলেও সামনের সিটটি এক সিটের। একজনই মাত্র বসতে পারে সেখানে। সাধারণত সিটটি সেইসব মেয়েদের জন্য যাদের সঙ্গে কোন পুরুষ সঙ্গী থাকে না। যারা বাসে আসে একা। কিন্তু সে সিটে বসে আছে লুঙ্গির উপর হাফশার্ট পড়া ত্রিশ বত্রিশ বছরের এক লোক।
সুপারভাইজার প্যাসেজের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা প্যাসেঞ্জারদের ঠেলেঠুলে নীচে নামাচ্ছে। নামাতে নামাতে তাদের বাস ছাড়ার সময় উঠতে বলছে। বিশেষ করে ছাদে উঠতে বলছে। আবার বিরক্তিও প্রকাশ করছে খুব। বলছে, ‘পথের প্যাসেঞ্জারগুলার জন্য বাস চালানো যায় না।’
পথের প্যাসেঞ্জারদের নামিয়ে দেবার ঔদ্ধত্য নিয়ে আমার সামনে সিঙ্গেল সিটে বসা লুঙ্গি পড়া লোকটিকে সে বলছে, ‘কই দেখি আপনার টিকেট দেখি।’ লোকটি সুপারভাইজারকে পাত্তা দেয় না। সে তার টিকেট দেখানো দূরে থাক তার দিকে একবার ফিরেও তাকায় না। সুপারভাইজার এবার একটু রুঢ়ভাবে টিকেট দেখতে চায় ,‘কই আপনাকে টিকে দেখাইতে বললাম না।’ সিঙ্গেল সিটে বসা লোকটি শান্তভাবে বলে, ‘তোরে টিকেট দেখাব ক্যান? তুই কাউন্টারে গিয়া দেখ এই নম্বরে টিকেট কাটা হইছে কিনা।’ সুপারভাইজার লোকটির আচরণে থতমত খায়। সঙ্গে সঙ্গে কাউন্টার থেকে বাস ছাড়ার লাস্ট ঘন্টাটি পড়ে অমনি স্ট্যান্ডে অপেক্ষা করতে থাকা পথের প্যাসেঞ্জাররা হুড়মুড় করে বাসে উঠতে থাকে। তখন গরম আরো বেড়ে যায়। আমি হাপরের মত হাসফাস করতে থাকি।
পথের যাত্রীরা অধিকাংশই রড ধরে ঝুলে থাকে। অনেকে রড ধরারও চান্স পায় না। তারা কেউ সিট ধরে কেউ অন্যের গায়ের সঙ্গে ঠেস দিয়ে, হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।
ভিড়ের মধ্যে উঠে পড়ে এক কিশোরী। সে পড়েছে বুক ঢাকা বড় কলারের একটি ফ্রক। ফ্রকটি আধময়লা। সে কারণে ফ্রকের জমিনে ছাপা উজ্জ্বল ফুলগুলো প্রায় বুঁজে এসেছে। মেয়েটি ভিড়ের চাপে চিড়ে চ্যাপ্টা হবার যোগার। কিন্তু সে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে নেই। কখনো সে পিছনে সরছে, কখনো সামনে, কাত হয়ে দাঁড়াচ্ছে একবার, আবার সোজা হয়ে। মেয়েটি বাসের ছাদে আটকানো রড ধরেও ব্যালান্স করার চেষ্টা করছে কিন্তু রড তার নাগালের বাইরে।
সামনের সিঙ্গেল সিটে বসা লোকটি হঠাৎ মেয়েটিকে হাত ধরে নিজের দিকে টানতে থাকে। মেয়েটি ইতস্ততঃ করতে করতেও লোকটির টানে তার দুই উরুর মাঝ বরাবর গিয়ে বসে। তখন অদূরে দাঁড়ানো বৃদ্ধমত এক লোক হাতের তারা দেখিয়ে ইশারায় মেয়েটিকে বলে, ‘ঠিক আছে।’ সম্ভবত বৃদ্ধটি তার গার্জিয়ান। লোকটির কোলে বসা মেয়েটির পিছন দিকটা অর্থাৎ পুরো মাথার পেছন দিকই আমার চোখের সামনে। মেয়েটির অজস্র চুল, কোকরানো এবং উদ্দাম, দেখলেই মনে হয় তার চুলে একটা বুনো গন্ধ আছে।
কিছুক্ষণ কোলের উপর স্থির থেকে মেয়েটি মোড়ামুড়ি শুরু করে। সে ওই লোকটির কোল থেকে উঠে পড়তে চায়। কিন্তু লোকটি তার বাহুমূল চেপে ধরে, উরুতে চাপড় দিয়ে, মৃদু জোর দেখিয়ে মেয়েটিকে কোলের উপর চেপে রাখে। তখন মেয়েটি ঘাড় ঘুরিয়ে লোকটির মুখের দিকে বিরক্তি নিয়ে তাকাতে চেষ্টা করে। লোকটি শেষ পর্যন্ত মেয়েটির সঙ্গে না পেরে তার অর্ধেক সিট ছেড়ে দিয়ে মেয়েটিকে সেখানে বসায়। কিন্তু মেয়েটি তাতেও সন্তুষ্ট হতে পারে না। সে আবারও উঠে পড়ার জন্য ছটফট করে।
এবার লোকটি আধা সিট ছেড়ে দিয়ে সিঁকি সিটে চলে আসে। মেয়েটি প্রায় পুরো সিটই দখল করে ফেলে তবু লোকটি তার গায়ে গা ঘেঁসে থাকে, কিছুতেই উঠে দাঁড়ায় না কিম্বা নড়াচড়াও করে না। যেন মধুর আঠার সঙ্গে পিঁপড়ে লেগে আছে।
বাসের সুপারভাইজার কৌশোর উত্তীর্ণ এক ছেলের কাছে ভাড়া চায়। ভাড়া চায় দুই টাকা কিন্তু ছেলেটি তাকে দিয়েছে এক টাকা। বাকী এক টাকা সে দাবী করছে। কিন্তু ছেলেটি অনঢ়। সে কোনক্রমেই তাকে আরেকটি টাকা দেবে না। সুপারভাইজার তখন বলে, ‘দেখবি তোর কাছ থেইকা আমি কেমনে ভাড়া আদায় করি।’ বাসের ছাদ লাইটের আলোতে ছেলেটির মুখ স্পষ্ট দেখা যায়। আমি তার মুখের দিকে তাকিয়েছিলাম। ছেলেটির কপালের মাঝ বরাবর একটি নীল শিরা দপদপ করছে। সে স্থির চোখে সুপারভাইজারের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে উপরের ঠোঁটটিকে নীচের পাটির দাঁত দিয়ে একবার টেনে আড়াআড়ি মাথা ঝাকিয়ে বলে, ‘দেখা।’ তখন সুপারভাইজার উচ্চস্বরে সারা বাস মাতিয়ে বলতে থাকে ‘তুই কোথাকার কুতুব দেখব, ভাড়াটিয়া আসছ না ? তুই এই লাইন চেননা ...।’ ইত্যাদি ইত্যাদি।
আমার গা সংলগ্ন হয়ে দাঁড়ানো এক বৃদ্ধ, তার বকের মত শরীর, দীর্ঘ পাঞ্জাবি আর লুঙ্গিপড়া, ঘাড়ের উপর সবুজ চেকের একটি নামাজের চাদর। বৃদ্ধ বলে, ‘অনেকেই ভাড়া থাকতেও ভাড়া দেয় না। আমাদের গ্রামের মন্তাজ মিয়া দুই ছেলে সৌদি পাঠাইছে। টাকার অভাব নাই। একবার তারে সুপারভাইজার ধরল, সে কইল আমার কাছে এক পয়সাও নাই বাবা। সুপারভাইজার কইল, ঠিক আছে বাবা, টাকা না থাকলে নাই, তয় আমি আপনার জামা কাপড় হাতাইয়া দেখমু।’ সুপারভাইজার হাতাইয়া মন্তাজ মিয়ার জাঙ্গিয়ার তল থেইকা এক বান্ডিল টাকা বাইর করে ; মানুষ কেমনে বিশ্বাস করবেন কন।’
গল্পটি আমার কাছে যারপর নাই ইর্ষিত এবং অতিরঞ্জিত মনে হয়। আমি ভীষণ বিরক্ত হই। বিশেষ করে তার এই গল্প সুপারভাইজারের পক্ষে চলে যায় দেখে বলি, ‘ছেলেরা সৌদি থাকে বলেই তার কাছে বান্ডিল বান্ডিল টাকা থাকবে তার কি মানে আছে। ছেলেরা তাকে টাকা নাও তো পাঠাতে পারে। সব ছেলেরাই কি বাবাকে টাকা পাঠায় ?’
গেটের কাছে দাঁড়ানো একজন সুদর্শন লোক। বাস স্টেশন থেকে তাকে আমি উঠতে দেখিনি। হয়ত পথের কোন স্টপেজ থেকে উঠেছে। তার গায়ে অফ হোয়াইট রঙের একটি সূতি শার্ট। সেটি গ্লোসি, চকচকে। বোঝা যায় শার্টটি বেশ দামী। লোকটি আমাকে গেটের কাছ থেকেই বলে, সব ছেলেরা বাবাকে টাকা পাঠায় না এ কথা সত্য কিন্তু যে বাবা ছেলেদের সৌদি পাঠায় সে একেবারে নিঃস্ব এটা ভাবার কোন কারণ দেখিনা। তার আর আমার কথার মধ্যে বৈপরিত্য আছে কিন্তু আমার মনে হয় লোকটি বৃদ্ধের মত সুপারভাইজারের পক্ষ অবলম্বন করেনি। সে হয়ত বলেছে, ছেলেদের বিদেশে পাঠানো বাবার সম্মান বোধ থেকে। লোকটির কথা আমার ভাল লেগে যায় এবং দারুণ যুক্তিযুক্ত মনে হয়।
আরো দুটো স্টপেজ পরেই আমার স্টপেজ। আমি সেখানে নেমে যাব। নেমে যাবার আগে আমি আমার সিটটি কাকে ছাড়ব তা নিয়ে চিন্তা করি। যেন আমি আজ মহান বিচারক। এক কঠিন বিচারের দায়িত্ব আমার কাধে পড়েছে। যাকে সিট ছাড়ব সে যেন সঠিক লোক হয় এই ভাবনা মনের ভেতর প্রবল। আমি এক এক করে বিচার শুরু করি।
সিঙ্গেল সিটে বসা লোকটি যে প্রথম দিকে সুপারভাইজারকে ধমক দিয়ে আহাম্মক বানিয়ে দিয়েছিল, যে তারপর দয়াপরবশ হয়ে কিশোরী মেয়েটিকে দুই উরুর মধ্যে বসাল, তখন পর্যন্ত তাকে আমার সঠিক মনে হয়েছিল কিন্তু মেয়েটি যখন তার কোল থেকে উঠে সিটে বসল তখনই লোকটার প্রতি আমার শ্রদ্ধা নষ্ট হয়ে গেল। মনে হল, সে একটা নিকৃষ্ট কামুক ছাড়া কিছুই নয়। না, এই লোককে আমি সিট দেব না। কিশোরী মেয়েটি কি পেতে পারে ? সে নির্যাতিতা ছিল। কিন্তু মেয়েটি সব সিটই প্রায় দখল করে ফেলেছে। কিছুক্ষণ পর হয়ত, সামান্য পাশে লেপ্টে থাকা অনঢ় লোকটি আর অনঢ় থাকতে পারবে না। মেয়েটি তাকে অবশ্যই ঠাঁইনাড়া করে ছাড়বে। মেয়েটির প্রতি এরকম একটি বিশ্বাসে শেষ পর্যন্ত তাকেও সিটটি দিলাম না।
একবার ইচ্ছা হল একটাকা ভাড়া না দেয়া সাহসী ছেলেটাকে দেই। কিন্তু সেকি সঠিক ভাড়া দিয়েছে? নাকি সুপারভাইজারের সঙ্গে জোর দেখিয়ে এক টাকা কম দিয়েছে। সেটা খুব স্পষ্ট নয়। তাছাড়া সে একটু দূরে সরে গেছে। কাছাকাছি এতলোক থাকতে তাকে এত দূর থেকে ডেকে এনে সিটে বসান যায় না।
তারপর আমি গেটের কাছে দাঁড়ানো সূতি শার্ট পড়া লোকটিকে জিজ্ঞেস করি, ‘ভাই আপনি কোথায় যাবেন ?’ সে উজ্জ্বল চোখে আমার দিকে তাকিয়ে জানায়, বাসের শেষ গন্তব্য পর্যন্ত যাবে সে। আমি তাকে ভিতরে ডাক দিই। আমার মনে হয় সিট পাবার ব্যাপারে এই লোকটিই সঠিক। কারণ তার কথা আমার ভাল লেগেছিল এবং সে যাবে শেষ গন্তব্য পর্যন্ত। আমি তাকে সিট দিয়ে নেমে যাচ্ছি। আমার স্টপেজে বাস থেমে পড়েছে। বাস থেকে মাটিতে পা দেবার আগে আমি আমার নির্বাচিত সঠিক লোকটিকে পিছনে ঘুরে একবার দেখতে যাই। দেখি, লোকটি দাঁড়িয়ে আছে আর আমার সিটে বসে আছে নামাজের চাদর গায়ে দেয়া সেই বকের মত বৃদ্ধটি।
বাস থেকে নেমে আমার ভুল ভাঙল। চোখের সামনে দ্রুত অপসৃয়মান বাসটির দিকে তাকিয়ে মনে হল এই বিশ্ব প্রবল কৌতুকময় এক বিচারকের অধীন। আমি শুধু তার কৌতুকের সামগ্রী, অন্য কিছু নই।






















০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কর কাজ নাহি লাজ

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪


রাফসান দা ছোট ভাই
ছোট সে আর নাই
গাড়ি বাড়ি কিনে সে হয়ে গেছে ধন্য
অনন্য, সে এখন অনন্য।

হিংসেয় পুড়ে কার?
পুড়েপুড়ে ছারখার
কেন পুড়ে গা জুড়ে
পুড়ে কী জন্য?

নেমে পড় সাধনায়
মিছে মর... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাঁর বোতলে আটকে আছে বিরোধী দল

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



সেই ২০০৯ সালে তিনি যে ক্ষমতার মসনদে বসলেন তারপর থেকে কেউ তাঁকে মসনদ থেকে ঠেলে ফেলতে পারেনি। যারা তাঁকে ঠেলে ফেলবে তাদের বড়টাকে তিনি বোতল বন্দ্বি করেছেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ১৬ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৪



কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?
আমার খুবই জরুরি তার ঠিকানাটা জানা,
আমি অনেক চেষ্টা করেও ওর ঠিকানা জোগাড় করতে পারছিনা।

আমি অনেক দিন যাবত ওকে খুঁজে বেড়াচ্ছি,
এই ধরুণ, বিশ-একুশ বছর।
আশ্চর্য্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ব্লগার ভাবনা:কথায় কথায় বয়কট এর ডাক দেয়া পিনাকীদের আইডি/পেইজ/চ্যানেল বাংলাদেশে হাইড করা উচিত কি? ব্লগাররা কি ভাবছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:১৩



অপূর্ব একজন চমৎকার অভিনেতা। ছোট পর্দার এই জনপ্রিয় মুখকে চেনেনা এমন কেউ নেই। সাধারণত অভিনেতা অভিনেত্রীদের রুজিরোজগার এর একটি মাধ্যম হইল বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়া। বাংলাদেশের কোন তারকা যদি বিদেশী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×