মানুষ ছুটছে, দ্রুতবেগে ছুটছে। কোথায় যাব, কী করব? অনেক টাকা প্রয়োজন! একটা গাড়ি, ঢাকা শহরে একটা বাড়ি না হলে যে স্ট্যাটাস আর থাকে না। দেশে কাজ করি, একটা সম্মানজনক চাকরিও করি, কিন্তু দেশের টাকায় তো সংসার চলছে না, যেমনটা চাচ্ছি। শেষে চিন্তা করি, দেশের বাইরে চলে যাব। ধরুন এই যদি হয় বাংলাদেশের মানুষের চিন্তা, তাও একজন প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তার, তাহলে দূনর্ীতি বা বাইরে যাওয়ার প্রবণতা রোধ করবেন কীভাবে। ইদানীংকালে দেশ থেকে অনেক বেশি রিসোর্স পারসনের বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা বেড়ে গেছে। এ ছাড়া অন্য আর একটি কারণ হল ঢাকা শহরের যানজট বা বসবাসের অনুপযুক্ততা এবং দেশে ছেলে-মেয়ের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত- এই চিন্তা-ভাবনা। দেশে এত বড় এবং মূল্যবান বিষয়ে পড়াশোনা করেও দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ না করে শুধু নিজে এবং পরিবারের চাহিদা মেটানোর জন্য আমরা দেশের বাইরে যাওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছি। আসলে আমরা কি কখনো চিন্তা করেছি- জীবনের সার্থকতা কোথায়? জীবনের পরিপূর্ণতা কোথায়? শুধুমাত্র কিছু টাকার জন্য আমরা নিজের প্রফেশন ছেড়ে অন্য প্রফেশনে কাজ করার জন্য বাইরে পাড়ি জমাচ্ছি। তাও আবার নিজের যোগ্যতার তুলনায় অনেক নিম্নমানের পেশায়। কিন্তু এতেই কি চাহিদা পূর্ণ হবে? হয়তো বা হবে! হয়তো বা হবে না। এটি নির্ভর করে ব্যক্তিবিশেষে কারণ প্রত্যেক ব্যক্তি আলাদা এবং তাদের চাহিদাও ভিন্ন। আরও হাজারো চাহিদা আপনাকে ঘিরে ধরতে পারে।
হাঁটি হাঁটি পা পা করতে করতে আজ আপনি এতদূর এসেছেন। কত দিন বাঁচবেন? বাংলাদেশের গড় আয়ু হিসেবে ৬০-৬৫ বছর। কী হবে আপনার এই টাকা-পয়সা,সম্পদ? বিদেশে কে আপনাকে চেনে? বাংলাদেশেই চেষ্টা করে দেখুন না? প্রকৃত ইচ্ছে থাকলে এখানেই সম্ভব। এখানেই পাবেন জীবনের প্রকৃত পরিতৃপ্তি। আর তো আছেই বাংলাদেশের অসহায় মানুষের ভালবাসা। আমাদেরকে আপনার মেধা থেকে, সেবা থেকে ও দেশের গৌরব থেকে কেন বঞ্চিত করবেন?