ঘুড়ি ও পাখির মন নিয়ে নারী এলো
নারীত্ব এল, আজন্ম তাই উড়ে যাওয়া পাখি, চোখের কাজলে
কল্পনার তরু, ঠোটে সূর্য, ডানার অস্থিতে মহাদেশের বিস্তার
পাঁজরে প্রেম, ভালবাসার মায়া চায়,
অধিকার চায় নারী, সুনীল আসমানে মহিয়সী মমতার ঘুড়ি হয়ে ওড়ে!
দর্পনে নারীকে দেখায় অপরূপ, দেখুক তবে শুধু
রূপ নয় রমণী বলিয়া যে ডাকে, তার শত্রু চোখে
রমণের বার্তা, দেখুক স্পর্ধায় ওপাশ থেকে কারা
ক্রুর আলো ফেলে, প্রশংসার মদে ঘুম দিয়ে দেয়
কারা তাকে মনে রাখুক, চরণে নূপুর পরুক, নিক্কনে
পায়ের ঘুম সুমধুর ভাঙে, গহনা সোনায় নিজেকে
মাতিয়ে রাখুক কিন্তু যুদ্ধের উত্তাপে সেও থাকে, সে
থাকে, গালের ব্রন সারাতে; থাকুক চর্চায়, কিন্তু যদি
অধিকার না পায়, মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেয়, যদি ডাল
কেটে নেয় বৃক্ষিনীর তবে সে না হোক সুঢৌলা নন্দনে।
আয়নায় এক দেহভৃত্য, মখমলে নিদ্রার আলস্য পায়
সে উপলব্ধি হোক, নারী, মদ, সুখাদ্যের অসভ্য মিলমিশ
সমার্থক হয়ে আছে সভাহীন, নারী বিচরণ করে নভে
তাও তার বর্তমান অস্বচ্ছ আয়নাতে দেখা, খাঁচার পাখির
সঙ্গে তাকে বান দেয় গেরস্ত, আর নিগড়ে মাথা না ঠুকে
সে কেন চায় না সমুদ্রের হাওয়া? চাল-খুদের গুণগত মাণ
শুধু বোঝে, প্রাকৃতির কোন সূত্রে দয়াময়ী, দুর্বলা রক্তস্রাবে
খনিতে মাঠে হাতুড়ির ন্যায্যদাম পাবে কি না - কে জানে
সবুচনা হয়ে আছে, সুবসনা, এবং অন্য কারো সমর্পণ রীতে
দর্পণে নারীকে দেখাবে গজমোতি, কবির কাব্যরস দোহনে
ব্রীড়াবতী হবে তার কেশ, নাভীমূল, যোনীর ত্রিভুজ যত্ন করে
সে যেন স্বচ্ছজলে আর না দেখে সব, নদীর শরীরে নদী থাকে
আর ক্ষুধা জননে সে ক্ষুধায়, বিষন্নতা, জঙ্ঘাতে সে অপবাদ পায়!
মানুষ কি মেহগনি বাঁকে বাঁকে ঘুণে ধরে যায়? নারী কি
দস্তার মূর্তি? কেন ছবির রঙে নিজেকে নারীতে লুকায়
অরণ্যের পালক এখনো বিরাঙ্গনা কেশে, তবু শেষে সে হত,
সে জানে না, বীর-বিজয়ী একান্ত তার জরায়ূর উষ্ণতায় গড়া।
--
ড্রাফট ১.২
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২৩