somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যে লেখার কোনো শেষ নাই--মন কি??????

২৭ শে এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মন চাইলে পরতে বসি ,মন ঘুরে বেরাই।মন চাইলে চিৎকার করে গেয়ে উঠি—
“আমি অপার হয়ে বশে আছি—ওহে দয়াময়
পারে লইয়ে যাও আমায়”
কখনও ভাবুক মানুশ,কখনও রোমান্টিক কখনও দুখী কখনও শুখী হাইরে মন ,আসলেই সে বিচিত্র।
তাইতো বুঝি আর্থার সি ক্লার্ক তার ‘স্পেস ওডেসি’তে এক নাক্ষত্রিক সভ্যতা সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘জ্ঞান তাদের ক্ষমতাবান করেছিল, ক্ষমতা তাদের উৎসাহ জুগিয়েছিল নক্ষত্র অভিযানে। বেড়িয়ে পড়েছিল তারা ভিন্ন নক্ষত্রের উদ্দেশে। সেই শ্রান্তিহীন অভিযাত্রায় প্রাণের সন্ধানও পেয়েছিল অনেক গ্রহ-নক্ষত্রে। তারা লক্ষ্য করেছিল কীভাবে সময়, পরিবেশ প্রাণের ওপর ক্রিয়াশীল হয়। কোথাও কোথাও মিলেছিল ভবিষ্যতে বিকশিত হওয়ার বুদ্ধিবৃত্তির অঙ্গীকার। তারা গ্যালাক্সির সর্বত্র ঘুরে বেড়িয়েছিল; কিন্তু মনের চেয়ে অধিক মূল্যবান কিছু খুঁজে পেল না। … মনই শ্রেষ্ঠতম সৃষ্টি – এ বিশ্বাসে উপনীত হয়েছিল। তারা যেখানেই এর বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা দেখেছিল, সেখানেই এর আগমনকে উৎসাহিত করেছিল। তারা পরিণত হয়েছিল নক্ষত্রভূমির নক্ষত্র কৃষকে।’
মন নিয়ে চিন্তা মানুশের সেই আদিকাল থেকে ছিল এখনও আছে এবং থাকবে ভবিশ্যতে আশা করা যায়।তাই বুঝি মন নিয়ে আগে যেমন গান তৈরী হয়েছিলো এখনও হয়।পুরনো শ্রিকান্ত্ত এর গান
“মনের জানালা খুলে উকি দিয়ে গেছে
যার চোখ তাকে আর মনে পরে না”
কিংবা “মন আমার দেহ ঘড়ি” সব গান ই আমাদের মনে দাগ কেটে যায়।

মন আসলেই বিচিত্র।তাইলে আত্মা আর দেহ কি?সব ভালো লাগা খারাপ লাগা ভালো কাজ খারাপ কাজ জদি মন করে থাকে তাইলে কেনো খারাপ কাজের জন্য মানুশকে শারিরীক ভাবে কষ্ট দেওয়া হয়? আত্মাই বা কি জিনিশ?
হইতো মন ,আত্মা, দেহ ও চেতনা নিয়ে লেখার কোন শেষ নাই।এ নিয়া হইতো বিতর্ক চলবে আরো অনেক যুগ। যাই হোক আমরা সবাই জানি হিংস্রতা এবং ভালবাসা এই দুই নিয়ে নাকি মানুশ। প্রতিটি মানুশ কখনও ভালো কখনও খারাপ।প্রিথিবীর সবচেয়ে খারাপ মানুশটিরও নিশ্চয় কিছু কিছু না ভালোদিক আমরা পাবো।আবার সবচেয়ে ভালো মানুশটিরও সব কিছু যে সবার কাছে ভালো লাগে তা নয়।মানবিক এবং পাশবিক যাই বলি না দুইটার সমন্নয়ে আমরা মানুশ।এ জন্য কাকে দায়ী করা যায় মানুশের দেহ ,আত্মা ,চেতনা নাকি মন?

আত্মা কে যদি আমি বলি মায়াবী চেতনা যা কি না উদয় হয় যখন আমরা কষ্ট পাই।এ জন্যই হইতো আমরা বলি "তার আত্মা শান্তিতে থাক"।তার মানে কি আত্মা আমদের মারা জাওয়ার পরও অক্ষত থাকে।তাইলে আত্মা হলো এমন কোন কিছু যা আমদের অনুভুতী গুলোকে পরিচালিত করে।ভালো লাগলে বলি খুব ভালো লাগছে খারাপ লাগলে বলি খুব খারাপ তাইলে ভালো লাগলে আমাদের আত্মার ভালো লাগে খারাপ লাগলেও আত্মার খারাপ লাগে।

চেতনা হলো আমাদের পরিচালনা শক্তি যা কি না আমাদেরকে আমাদের জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে পরিচালিত করে।যখন ভালো কিছু করার পরে ভালো লাগে তখন আমরা আমাদের চেতনা আমাদেরকে ভাল কাজের দিকে নিয়ে যায়।খারাপ কিছু থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা খারাপ কাজ এরিয়ে চলি।

মন হলো আমাদের চিন্তা । আমরা মন থেকে কোন কিছু নিয়ে ভাবি এবং সেই অনুযায়ী কাজ করি।তাই হইতো বাবা মা আমদের বলতেন মন দিয়া পরালেখা কর।কোন ভালো কাজ করার আগেও আমরা মন দিয়া ভাবি আবার খারাপ কাজ করার আগেও তাই।তাইলে হইতো আমরা বলতে পারি মানুশ যে খারাপ কাজ করে সেজন্য দায়ী তার মন।মানুশের মনবিক এবং পাশবিক যাই বলি না কেনো এই সব গুনাবলী কে তার মন নিয়ন্ত্রন করে।


আর দেহ তো হল একটা পাত্র যা কিনা এই মন ,চেতনা এবং আত্মা কে ধারন করে।অনেক প্রশ্ন ওঠে মানুশের খারাপ বা ভালো কাজের জন্য দায়ী কে দেহ আত্মা না কি মন? নিঃশন্ধেহে মন। মন হলো সেই মোমবাতী যা কি না আমরা আলোকিত করি চেতনা আর আত্মার মাধ্যমে আর আমরা দেহ দিয়া সেই খারাপ বা ভালো কাজটি করি।আর কষ্ট বা আরাম পায় আত্মা।যদিও দেহ মন আত্মা চেতোনা একটা আরেকটার সাথে সম্পরকিত আমরা আমাদের আত্মার আর চেতনার কথা ভুলে যাই।


নিঃসন্ধেহে আমাদের চেতনা ও আত্মা আমাদের মন থেকে বেশী জানে।তাই হইতোবা আমরা যদি কোন কাজ করার আগে আত্মা ও চেতনার কাছে প্রশ্ন করি আমরা হইত ভালো কাজটি করবো।প্রিথীবিতে হইত তাইলে খারাপ কাজ থাকবে না।আমাদের মন আত্মা চেতনা আর দেহ সব কিছুর সম্মিলিত করনের পর তাই কোন কাজের দিকে ধাবিত হউয়া উচিত।মন থেকে আত্মা কে প্রাধান্য দিয়ে আমাদের যে কোন কাজ করার অভ্যাস করা উচিত।

সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:১১
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০



ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×