somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সায়েন্স ফিকশান _ সোর্স নিউরন

২৭ শে এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


মানুষ নিজেকেই নিজে বিশ্ব জগতের শ্রেষ্ঠ বলে সগর্বে ঘোষণা করেছে । অথচ তাদের কোন প্রতিদ্বন্দ্বী আজও কেউ খুঁজে পায় নি । তবুও তারা নাম্বার ওয়ান । আমিও তাদেরই দলে । এক ছাত্রের সবসময় ক্লাসে প্রথম হওয়ার গল্পটা মনে পড়ে গেল । আশা করি সবাই জানি , আমাদের অবস্থাও অনেকটা এরকম । মানুষের দুই সত্ত্বা -দেহ এবং শরীর ।।মানুষ যখন কোন অপরাধ করে তখন তার মন ই দায়ী তাতে শরীরের দোষ কোথায়?? যেমন যখন কেউ চুরি কিংবা ছিনতাই করে খাবার খেতে না পেয়ে তখন ধারনা করা হয় ক্ষুধার তীব্রতা সহ্য করতে না পেরে সে চুরি কিংবা ছিনতাই করেছে । তাহলে দোষ যাচ্ছে শরীরের উপর , অথচ তার ক্ষুধা নিবারণের আরও উপায় কিন্তু ছিল । । কিন্তু তাতে তার মন সাঁয় দেয় না সাঁয় র মন ই তাকে অপরাধের দিকে নিয়ে যায় । তাহলে শাস্তি পাওয়ার বেলায় শরীর মুখ্য কেন ? চুরি করলে হাত কেটে নেয়া হয়, ছিনতাই করলে গুলি করা হয় , এভাবে মানুষের প্রায় সকল অপরাধের শাস্তি দেওয়া হয় তার শরীরকে ঘিরে ।

সেদিন সচক্ষে মানুষের পোস্টমর্টেম দেখার সুযোগ হয়েছিল । পাশাপাশি দুজন মানুষ যাদের একজন অপরাধী ,অন্য জন অপরাধের শিকার । অথচ দুজনের ভিতরটা একি রকম ।তাতে কোন পার্থক্য নেই, তাদের শরীরে পাপের কোন চিহ্ন নেই কিংবা রক্ত –মাংসের কোথাও এমন কোন নমুনা পাওয়া যায় নি যার দ্বারা এদের আলাদা করে বলে দেওয়া যায় এই মানুষটি ভাল আর এই মানুষটি খারাপ ।

তবে এদের মাঝে অবশ্যই একজন কোন না কোন দোষ করেছে । না হয় এদের আজ এই করুণ পরিণতি হত না । তবে দোষ যদি থাকে তাহলে তা মনের, শরীরের নয় ।আবার শাস্তি তো দিতেই হবে।। কারন পাপের শাস্তি দেওয়া প্রকতির নিয়ম ।। তাই বলে যে পাপ করল তাকে শাস্তি না দিয়ে অন্যকে তো আর শাস্তি দেওয়া যায় না , তাহলে তো আরেক পাপ করা হল কিংবা প্রকতির নিয়ম ভাঙ্গা হল। আজ থেকে তাহলে পাপী মনকে নিয়ে বিচার বসতে হবে, শাস্তি দিতে হবে , কারো শরীরকে নয় ।কেননা শরীরতো মানুষের জন্য এক স্বর্গীয় উপহার ।একে নিয়ে খেলায় মেতে উঠা মানব সত্ত্বার প্রতি অবমাননা, প্রকৃতির সাথে খেয়ালিপনায় মত্ত হওয়া । আমরা যতটুকু পারি আমদের এই প্রকৃতি প্রদত্ত উপহারকে সযত্নে রাখার চেষ্টা করে যাব এমন টাই হউক আমাদের বিশ্বাস ,আমাদের দর্শন ।।

কিন্তু আমরা যদিও বলে বেড়াই আমরা অত্যাধুনিক যুগে বাস পৌঁছে গেছি , যদিও আমি এমনটা মেনে নিতে পারি না , শুধু উঁচু বাড়ি ্‌ গতিময় গাড়ি ্‌ কিংবা কামান- বোমা বানিয়ে অত্যাধুনিক যুগে পৌঁছে গেছি এমনটা ভাবতে বড় অস্বস্তি লাগে ।। মানুষের সবচেয়ে কাছের, সবচেয়ে আপন যে মন – হৃদয় কিংবা মস্তিষ্ক তার রহস্য উদ্দার করা আজও সম্ভব হচ্ছে না ।যার দরুন আমাদের আমরা এখনো জানতে পারি নি, চিনতে পারি নি । এমনকি মানুষের কিংবা অন্য প্রানির পাপের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে অপাত্রে , অসময়ে , নিতর শরীরকে , তাদের সবচেয়ে প্রিয় বস্তু শরীরকে ...।।

অথচ কারো বিন্দু মাত্র সামর্থ্য নেই মানুষকে এমন করে একটা শরীর তৈরী করে দেওয়া , কিন্তু প্রকৃতির এই উপহারকে অকারণে , আঘাত দেওয়া , শাস্তি দেওয়ার কোন অধিকার মানুষের নেই । এর পক্ষে ধর্মীয় – সামাজিক- কিংবা বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে অনেক প্রমাণ- মতামত হইত দেওয়া যেত । তবে তাতে মানুষের সত্যিকারের মুক্তি হবে কিনা বলা যায় না ।
আমি কম্পিউটার বিজ্ঞান এর ছাত্র হওয়াতে আমি আমার পরিকল্পনার কথা বলি । আমি এবং আমরা কয়েকজন মিলে কোয়ান্টাম কম্পিউটারের মাধ্যমে দুইটা কল্পিত সিস্টেম এর আদলে গড়ে তুলতে যাচ্ছি সোর্স নিউরন ।। তবে এর চেয়ে আরও ভাল উপায় হইত পৃথিবীর অনএকে পেতে পারেন ।। সবার চিন্তা, গবেষণা , যোগ করে হলেও আমরা এমন একটা উপায় বের করবো যাতে মানুষের মন- হৃদয়- আথবা মস্তিষ্ক কথা বলবে, আনন্দ পাবে, দুঃখ পাবে, ভাল কাজের পুরষ্কার পাবে, অপরাধের শাস্তি পাবে, মানুষের মাঝে আনন্দ ফিরে আসবে , সুখ ফিরে আসবে, মানব সভ্যতায় এর এক নতুন অধ্যায় লেখা হবে।যে অধ্যায় এর সব পৃষ্টা জুড়ে থাকবে একটা নাম “ সোর্স নিউরন” ।

সোর্স বায়োবটঃ দেখতে মানুষের মতো এমন রোবট যারা মানুষের এবং অন্যান্য প্রাণীর মন ও শরীর যাচাই করে অপরাধী ও অপরাধের বিবরণ দিতে সক্ষম ।
সোর্স সাইবর্গঃ এরা মন এবং মস্তিষ্ক বিশ্লেষণ করে শাস্তি কার্যকর করে এবং এই অপারাধ থেকে বিরত থাকার প্রেরণা ও উপায় বলে দেয় ।।

২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×