গ্রাম জীবনে একটা প্রচলিত প্রবাদ আছে যে শখের তোলা আশি টাকা। কেন এই মূল্য? মানুষের অন্তরে লালিত কিছু বিষয় থাকে যা তিনি কষ্টসাধ্য বা সাধ্যাতীত হলেও মিটিয়ে নিতে চান। এজন্য প্রচলিত এই প্রবাদটির উৎপত্তি।
কিন্তু শখ নামটি যদি হয় কোনো মানুষের তখন তার সম্পর্কে কি বলা যেতে পারে। পিতামাতার আদরের নাম শখ। তিনি হয়ে গেলেন মডেল। দেশীয় গ্ল্যামার জগতে শখ নামটি ব্যাপকভাবে পরিচিত। তাই সুনাম বা দুর্নাম দুটোই খুব দ্রুত জানাজানি হয়ে যায়।
সম্প্রতি একটি পর্ণো ভিডিও চিত্র বিভিন্ন সেল ফোন, কম্পিউটার অর্থাৎ মাল্টিমিডিয়ার ভিস্যুয়াল ডিভাইসে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে হাতে হাতে। অনেকে বলছেন মেয়েটি মডেল শখ। আবার কেউ কেউ বলছেন মেয়েটি শখ নয়।
শখ নিজেই বললেন, তার জীবনে এমন কোনো কলংকিত অধ্যায় নেই। তার বাবা বললেন, মেয়েকে তারা এমন কোনো সুযোগ দেননি। বা তার মেয়ে কোনো সুযোগ পায়নি। কারণ তার মা বা বাবা --- যে কোনো একজন সার্বক্ষণিক তার সঙ্গে থাকেন। তাহলে এমনটা হচ্ছে কেন?
শখ দাবি করে বলেন, ‘আমি এ সময়ের একজন টপ মডেল। আমার অনেক শত্রু আছে। হতে পারে এটা তাদের কাজ।’ তিনি পর্ণো ভিডিওটি দেখেছেন কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি প্রথমে দেখেছেন বললেও পরে আবার ভিডিওটি দেখেন। কিন্তু ভিডিওটি দেখার পর তিনি প্রথমে যেভাবে উত্তেজিত ছিলেন, তার সে উত্তেজনা অনেক খানি কমে যায়। তার চোখে মুখে বিব্রত ভাব লক্ষ্য করা গেল। এই ভিডিও চিত্রটিতে মেয়েটির পুরুষ সঙ্গীকে সনাক্ত করা যায়নি। কারণ তিনি নিজের চেহারা প্রকাশ না করে ভিডিও চিত্রটি ধারণ করেন। ভিডিওটি যে পুরুষ সঙ্গীটির সেল ফোনে রেকর্ড করা তা নিশ্চিত।
শখ বলেন, ‘আমাকে নিয়ে এতো বড় একটা কলংকজনক সংবাদ লেখা হলো কিন্তু আমাকে একটি বারও জিজ্ঞাসা করা হলো না এটা কেমন কথা ? অপরাধ না করেও আমি আসামীর কাঠগড়ায়।’
শখের বিষয়টি শেষ পর্যন্ত কোন দিকে যাবে বলা যাচ্ছে না। তবে এই সারিতে আরো অনেকের নামই শোনা যাচ্ছে। একটি পর্ণো ভিডিও চিত্রের সঙ্গে চিত্রনায়িকা শাকিবার যথেষ্ট মিল আছে। তবে শাকিবা বলেছেন সেটা তিনি নন, যদিও শাকিবা সম্পর্কে নানা সময়ে নানা পুরুষের সঙ্গী হয়েছেন বলে শোনা যায়। ভিডিও পর্ণো চিত্র রয়েছে বলে আর যাদের নাম শোনা যায় তারা হলেন সারিকা, বিন্দুসহ বর্তমান সময়ে আলোচিত অনেকেরই। এজন্য গ্ল্যামার যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কারণ এসব শিল্পীরা ভোক্তা-দর্শকের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্য হারিয়ে ফেলছেন। সকলের উচিত খুঁজে বের করা, এর মূল উৎস কোথায় ?
আমাদের সময় ::
নাঈমুল ইসলাম খান: শখ আমরা আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। একটি ভিডিওচিত্রে একজন তরুণীর চেহারার সঙ্গে আপনার মিল আছে বলে প্রচারিত খবরটিতে আপনার সম্মানহানি ঘটেছে। আমরা এখন নিশ্চিত যে, ওই ভিডিওচিত্রের মেয়েটি আপনি নন। একই সঙ্গে স্বীকার করছি এরকম প্রতিবেদন প্রকাশের ফলে আপনার দারুণ ক্ষতি হয়েছে। পুরো কাণ্ডটির জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।
আমাদের পত্রিকাসহ একাধিক পত্রিকায় খবরটি ছাপা হয়েছে। আপনার প্রতি এ অবিচার সহজে প্রতিরোধ করবার নয়। তবে সাংবাদিকতার একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আমি আপনাকে এটুকু বলতে চাই, অসত্য খবরের আয়ু খুবই কম।
শখ আপনাকে আমরা নিশ্চয়তা দিতে চাই যে, এ প্রতিবেদন রচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের যথাযথ জবাবদিহি করতে হবে। আমি কথা দিচ্ছি, আমার নিজের সন্তানের ক্ষেত্রে এরকম ঘটলে তা প্রতিকারের যে চেষ্টা করতাম এক্ষেত্রে ঠিক তাই করব।