সাল টা ১৯৮২ । কক্স বাজারে তখনও আজকের এই ডামাডোলের ছোয়া লাগেনি । সৈকত ছিল পরিচ্ছন্ন। সৈকতে দাড়ালে ঝিনুক- প্রবালের গন্ধ সৈকতকে বুকের মাঝে নিয়ে যেত। সেই সময় কাওকে দেখতে হলে দুরত্ব টুকু মাড়িয়ে যেতে হত তার কাছাকাছি। তেমনি একটা সময়ে হাসু চললো
কক্স বাজারে । বয়সটা তার সবে ছয় ঋতু চিনতে শুরু করেছে।
কক্স বাজারে হাসুরা উঠেছিল টিনশেড দেয়া একটি কাঠের বাড়িতে।ছোট্ট একটা টিলার উপর নারকেল সুপারী আর নানা ফুল ফলের গাছে ঘেরা বাড়ীটার উঠানে দাড়ালে রাতে জোয়ারের শব্দ কানে আসতো।বাড়ীটার কথা মনে এলে কেমন এক অজানা আবেগে মন ভরে উঠে হাসুর।
কক্স বাজার যেন সৃষ্টির আদি হতে মানব মানবীর সম্পর্কের প্রারম্ভতা আর পূর্নতা্য় অকৃপন ভাবে তার আশীর্বাদ দি্য়ে এসেছে। হাসু নামের এই কিশোরও তাথেকে বন্চীত হয়নি।
সেই সকাল সেই সূর্যদয়, আজো মনে আছে সেই দিনের কথা, কক্স বাজারে
প্রথম সকাল। ঘুমঘুম চোখে বারান্দায় এসে দাড়ায় হাসু, সমুদ্র ছোঁয়া বাতাস শীতল ঝাপটা দিচ্ছিল তার সমস্ত শরীরে। ভোরের সেই স্বর্গীয় আলোয় তার চোখ খুঁজে পেল সামনের বড় উঠানে সকালের শিশীর ভেজা ঘাসের উপর হেটে বেড়ানো একটি কিশোরীকে। হাসু বুঝল রাতে দেখা না হওয়া এই মেয়েটি এ বাড়ীর সবার ছোট।
(ঘুম পাচ্ছে বাকিটা পরে)
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুন, ২০১১ রাত ১২:১৩