somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রিবন েফনী
মানুষ মারার ফাঁদ পেতে হে মানুষ,nআর কতকাল করবে মানবতা ধ্বংস।nএসো সকলেই হোক সকলের সঙ্গী,nপরিবর্তন হোক না সকলের মনভঙ্গি।nশান্তির নাম দিয়ে রক্ত জরানও খেলা,nশুনতে চাই না আর ক্রন্দনরত বাক্যnদেখতে চাই না অমানবিক দৃশ্যটি,nআমাদের সকলের মনে গডে তুলিnপ্রেমপ

নবম শ্রেণীর ‘ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা’ বইয়ে ভয়াবহ ইসলাম অবমাননা

০৮ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নবম শ্রেণীর ‘ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা’ বইয়ে ভয়াবহ ইসলাম অবমাননা : দেবদেবীর নামে উত্সর্গীকৃত পশুর গোশত খাওয়া হালাল! : আল্লাহ ও দেবদেবী সমান্তরাল (নাউজুবিল্লাহ), আলেমরা বললেন— ক্ষমা নেই
আসাদুজ্জামান সাগর
দেবদেবীর নামে উত্সর্গীকৃত পশুর গোশত খাওয়া হালাল! নবম দশম শ্রেণীর ‘ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা’ সরকারি পাঠ্য বইয়ে এমন কথাই লেখা হয়েছে। বইটির শরিয়তের উত্স অধ্যায়ে ইসলাম অবমাননার ওই ধৃষ্টতার বিষয়টি পাওয়া গেছে। ৮২ নম্বর পৃষ্ঠায় হালাল-হারাম অংশে হারাম বিষয় ও দ্রব্যের তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছে-‘দেবদেবীর বা আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নামে উত্সর্গীকৃত পশুর গোশত হারাম ।’ বইটিতে ইসলামী শরিয়ত হালাল-হারাম’ এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে আল্লাহর সঙ্গে দেবদেবীকে সমান্তরাল (নাউজুবিল্লাহ) করে দেয়া হয়েছে। অথচ আল্লাহ পবিত্র কোরআনের সূরা বাকারার ১৭৩ নম্বর আয়াতে বলেছেন, ‘তিনি তোমাদের উপর হারাম করেছেন, মৃত জীব, রক্ত, শূকর মাংস এবং সেসব জীব-জন্তু যা আল্লাহ ব্যতীত অপর কারও নামে উত্সর্গ করা হয়।’
সরকারি পাঠ্য বইয়ে ইসলামের এমন ভয়াবহ অবমাননায় তীব্র প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থী, ধর্মপ্রাণ মানুষ এবং দেশের বিশিষ্ট আলেম সমাজ। শোলাকিয়া ঈদগাহ-এর ইমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মসউদ বলেছেন, বইটিতে যদি ইচ্ছাকৃত ওই তথ্য দেয়া হয়, তাহলে তাদের ক্ষমা নেই। ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি মোহাম্মদ ফয়জুল্লাহ বলেছেন, ইসলামবিদ্বেষী সরকার এমন ধৃষ্টতা দেখিয়ে সরাসরি আল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।
জানুয়ারিতে নবম-দশম শ্রেণীর ২০১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন ওই বইটি তুলে দেয়া হয়। সরকার জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) বইটি প্রকাশ করে।
১৭৮ পৃষ্ঠার বইটিতে মোট পাঁচটি অধ্যায়। প্রথম অধ্যায় ‘আকাইদ ও নৈতিক জীবন’, দ্বিতীয় অধ্যায় ‘শরিয়তের উত্স’, তৃতীয় অধ্যায় ‘ইবাদত’, চতুর্থ অধ্যায় ‘আখলাক’ এবং পঞ্চম অধ্যায় ‘আদর্শ জীবনচরিত’। এরমধ্যে ৮১ ও ৮২ পৃষ্ঠায় শরিয়তের উত্স অধ্যায়ের পাঠ-২৪ (শরিয়তের আহকাম সংক্রান্ত পরিভাষা) ‘হালাল-হারাম’ বিষটি আলোচনা করা হয়েছে। ৮২ পৃষ্ঠায় হালাল-হারামের সংজ্ঞাও দেয়া হয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে যেহেতু হারাম সীমিত সংখ্যক, সেহেতু নিম্নে বর্তমান সমাজে প্রচলিত কতিপয় হারাম বিষয় ও দ্রব্যের তালিকা উল্লেখ করা হলো- ১. মৃত জীবজন্তু (তবে মৃত মাছ খাওয়া হারাম নয়), ২. রক্ত পান করা (তবে হালাল জন্তুর গোশত লেগে থাকা রক্ত হারাম নয়), ৩. মানুষের গোশত খাওয়া, ৪. শূকরের গোশত খাওয়া, ৫. দেবদেবীর বা আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নামে উত্সর্গীকৃত পশুর গোশত খাওয়া। এরকম ১৭ নম্বর তালিকা পর্যন্ত হারাম বিভিন্ন বিষয় ও দ্রব্যের তালিকা দেয়া হয়েছে। বইটিতে ইসলামী শরিয়তবিরোধী দেবদেবীর সঙ্গে কেন আল্লাহর সমান্তরাল তুলনা করায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়, এনসিটিবি, বইটির লেখক ও সম্পাদকের দায়ী করেছেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও আলেম সমাজ।
বইটির প্রচ্ছদের পরের পৃষ্ঠায় এর লেখক ও সম্পাদকের নাম দেয়া আছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষক বইটি রচনা করেন। এরা হলেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক মুহাম্মদ আবদুল মালেক, ড. মুহাম্মদ আবদুর রশীদ ও আরবি বিভাগের ড. মোহাম্মদ ইউছুফ। বইটি সম্পাদনা করেছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। বইয়ের প্রসঙ্গ-কথা লিখেছেন এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. মোস্তফা কালামউদ্দিন। এরা সবাই সরকার সমর্থক শিক্ষক হিসেবে পরিচিত।
ইসলামী শরিয়তবিরোধী দেবদেবীর সঙ্গে কেন আল্লাহর সমান্তরাল তুলনা করেছেন এ বিষয়ে লেখকদের একজন ড. মুহাম্মদ আবদুর রশীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, এটি কাঙ্ক্ষিত নয় এবং অনিচ্ছাকৃত ভুল। তাড়াহুড়া করে বইটি ছাপানো হওয়ায় এমনটি হয়েছে। আগামী জানুয়ারিতে নতুন বইয়ে ভুল সংশোধন করা হবে।
বিষয়টিতে বইটির সম্পাদকের দায় বর্তায় কি না জানতে চাইলে অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। বাক্যটি জটিল তবে ভুল নয়। এ বিষয়ে এনসিটিবির দায়িত্বহীনতা রয়েছে কিনা তা জানতে গতকাল প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. মোস্তফা কালামউদ্দিনের সঙ্গে দুপুর-থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়েছে। তিনি বারবারই ব্যস্ততা দেখিয়ে কথা বলেননি।
আলেমদের প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভ : এ বিষয়ে শোলাকিয়া ঈদগাহ-এর ইমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মসউদ বলেন, ইসলামে দেবদেবীর কোনো অবস্থান নেই। হালাল-হারাম বিষয়ে আল্লাহর নামেই পশু জবাই ও গোশত খাওয়া হালাল হবে। তিনি বলেন, পাঠ্য বইতে এরকম লিখে থাকলে তা দেখতে হবে। যদি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও বই রচনাকারিরা ভুল করে তা হলে সংশোধন করতে বলব। আর ইচ্ছাকৃতভাবে করলে কোনো ক্ষমা নেই। ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি মুহাম্মদ ফয়জুল্লাহ বলেন, বর্তমান সরকার মুসলমানদের দুশমন। সরকার যে শিক্ষানীতি করেছে এর উদ্দেশ্য হলো ইসলামকে নির্মূল ও বিকৃত করা। নবম-দশম শ্রেণীর ‘ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা’ বইয়ে দেবদেবীর যে কথা বলা হয়েছে তা সরকারের মহাপরিল্পনারই অংশ। তিনি বলেন, হালাল-হারাম নিয়ে সূরা আল মায়িদাহ ৩ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে- ‘তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত জীব, রক্ত, শূকরের মাংস, যেসব জন্তু আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে উত্সর্গকৃত হয়, যা কণ্ঠরোধে মারা যায়, যা আঘাত লেগে মারা যায়, যা উচ্চ স্থান থেকে পতনের ফলে মারা যায়, যা শিং এর আঘাতে মারা যায় এবং যাকে হিংস্র জন্তু ভক্ষণ করেছে, কিন্তু যাকে তোমরা যবেহ করেছ। যে জন্তু যজ্ঞবেদীতে যবেহ করা হয় এবং যা ভাগ্য নির্ধারক শর দ্বারা বণ্টন করা হয়। এসব গোনাহর কাজ। মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, ইসলামবিদ্বেষী এ সরকার সরাসরি আল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। আর আমরা সরকারের ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাচ্ছি। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব অধ্যাপক মাওলানা সালাউদ্দিনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি পরে এ বিষয়ে কথা বলবেন বলে জানান।

৩৯টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্যাড গাই গুড গাই

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

নেগোশিয়েশনে একটা কৌশল আছে৷ ব্যাড গাই, গুড গাই৷ বিষয়টা কী বিস্তারিত বুঝিয়ে বলছি৷ ধরুন, কোন একজন আসামীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে৷ পারিপার্শ্বিক অবস্থায় বুঝা যায় তার কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

টান

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:২২


কোথাও স্ব‌স্তি নেই আর
বিচ্যুতি ঠেকা‌তে ছু‌টির পাহাড়
দিগন্ত অদূর, ছ‌বি আঁকা মেঘ
হঠাৎ মৃদু হাওয়া বা‌ড়ে গ‌তি‌বেগ
ভাবনা‌দের ঘুরপাক শূণ্যতা তোমার..
কোথাও স্ব‌স্তি নেই আর।
:(
হাঁটুজ‌লে ঢেউ এ‌সে ভাসাইল বুক
সদ্যযাত্রা দম্প‌তি... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বল্প আয়ের লক্ষ্যে যে স্কিলগুলো জরুরী

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৯

স্বল্প আয়ের লক্ষ্যে যে স্কিলগুলো জরুরীঃ


১। নিজের সিভি নিজে লেখা শিখবেন। প্রয়োজন অনুযায়ী কাস্টোমাইজ করার অভ্যাস থাকতে হবে। কম্পিউটারের দোকান থেকে সিভি বানাবেন না। তবে চাইলে, প্রফেশনাল সিভি মেকারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৫

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না
অহনা বলেছিল, আমি জানি আমি তোমাকে পেয়েছি সবখানি
আমি তাই নিশ্চিন্তে হারিয়ে যাই যখন যেখানে খুশি

অহনা বলেছিল, যতটা উদাসীন আমাকে দেখো, তার চেয়ে
বহুগুণ উদাসীন আমি
তোমাকে পাওয়ার জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিয়াল ফিলিস্তিনীরা লেজ গুটিয়ে রাফা থেকে পালাচ্ছে কেন?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১১ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০



যখন সারা বিশ্বের মানুষ ফিলিস্তিনীদের পক্ষে ফেটে পড়েছে, যখন জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে সাধারণ সদস্য করার জন্য ভোট নিয়েছে, যখন আমেরিকা বলছে যে, ইসরায়েল সাধারণ ফিলিস্তিনীদের হত্যা করার জন্য আমেরিকান-যুদ্ধাস্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

×