জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সালাম বরকত হলে ছাত্রদলকর্মী সন্দেহে বৃহস্পতিবার ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি নিয়ামুল পারভেজের অনুসারীরা রাতভর মারধর করে দুপুর পর্যন্ত হলের ৩৩০ নম্বর কক্ষে আটকে রাখে। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় সোহাগকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে নেওয়া হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। আহত কামরুল হাসান সোহাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ৩৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। শহীদ সালাম বরকত হলের ২১৪ নম্বর কক্ষে তিনি থাকতেন।
এ বিষয়ে শহীদ সাালাম বরকত হলের প্রাধ্যক্ষ কৌশিক শাহা বলেন, "দুপুর ২টার দিকে সোহাগ মোবাইল ফোনে আমাকে বলে যে সে খুব অসুস্থ। পরে চিকিৎসাকেন্দ্রে বিষয়টি জানানো হলে তাকে সেখানে নেওয়া হয়।" তবে মারধরের বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল জাবি শাখার সভাপতি জাকির হোসেন এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে বলেন, হলের সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা প্রশাসনকেই দিতে হবে।
অবশ্য ঘটনার সঙ্গে ছাত্রলীগের জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ছাত্রলীগ জাবি শাখার সহ-সভাপতি নিয়ামুল পারভেজ।