ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করেছেন দুই আইনজীবী।
Published : 28 Jul 2013, 03:53 PM
বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের বেঞ্চ রোববার আবেদনটি শুনলেও আদেশ অপেক্ষমাণ রেখেছেন।
মো. আলমগীর হোসেন ও মো. মোস্তফা আহমেদ নামের দুই আইনজীবী সকালে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট দুটি দায়ের করেন। আলমগীর আবেদন করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের জন্য। আর মোস্তফা আহমেতের আদেবন দক্ষিণের জন্য।
তারা দুজনই নির্বাচন অনু্ষ্ঠানের তফসিল ঘোষণার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না- তা জানতে রুল চেয়েছেন।
একইসঙ্গে নির্বাচনের কাজের অগ্রগতি জানাতে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ চেয়েছেন তারা।
স্থানীয় সরকার সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, অপর তিন নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনারের সচিব ও অর্থ সচিবকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
ওই নোটিস অনুসারে ব্যবস্থা না নেয়ায় তারা হাই কোর্টে রিট করেন। নোটিসেও বলা হয়েছিল, বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে কোনো ব্যবস্থা না নিলে তারা হাই কোর্টে রিট করবেন।
ওই সময় গোলাম নবী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “স্থানীয় সরকারের আইন সংশোধন করে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনকে দুই ভাগ করা হয়েছে। আইনে ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার কথা বলা হলেও দীর্ঘ দিন এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তার মানে প্রতি মুহূর্তেই এর মাধ্যমে আইনের লঙ্ঘন হচ্ছে।”
আদালতে আবেদনকারী পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মো. বদরুদ্দোজা বাদল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আল আমিন সরকার।
বাদল শুনানিতে বলেন, সংবিধানের ৫৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে স্থানীয় সরকারগুলো নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে পরিচালিত হওয়ার কথা। আইনের সময়সীমা অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও সংশ্লিষ্টরা ডিসিসি নির্বাচন দেয়নি; যা সংবিধান ও স্থানীয় সরকার আইনের লঙ্ঘন।
২০১১ সালের ৩০ নভেম্বর ঢাকা সিটি কর্পোরেশনকে উত্তর ও দক্ষিণে দুই ভাগ করা হয়। পরের বছরের মে মাসে তফসিল ঘোষণা করা হলেও আইনি জটিলতায় তা স্থগিত হয়ে যায়। চলতি বছরের মে মাসে নির্বাচনের ওপর স্থগিতাদেশ উঠে যায়। এরপরই তফসিল ঘোষণার উদ্যোগ নেয় নির্বাচন কমিশন। তবে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে একটি নতুন ওয়ার্ড যুক্ত হওয়ায় সীমানা জটিলতায় নির্বাচন আবারো ঝুলে যায়।
সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, সীমানা নিয়ে জটিলতা নিরসণে তারা স্থানীয় সরকারের পরামর্শ চেয়েছেন। এ বিষয়ে নির্দেশনা পেলেই তফসিল ঘোষণা করা হবে।