somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমাদের রানার নিউরন

২২ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মশাটা বসে আছে ঠিক গালের উপরে। কামড়টি দিল। টের পেয়ে সাথে সাথে হাত দিয়ে গালে মারল অনু। তাতে কপোকাত মশাটা গালের উপর যেন পিষে গেল। হঠাৎ অনু মাথায় চিন্তা হল আমি এত দ্রুত মশাটাকে মারলাম কিভাবে?



এই ঘটনার ব্যাখ্যা দুই ভাবেই দিতে পারে অনু একটি সহজ ভাবে একটি কঠিন ভাবে। সহজ ভাবে এই ঘটনার ব্যাখ্যাটা হল মশা কামড় মারেছে আর ব্রেন তা সহ্য করতে না পেড়ে দ্রুত হাতকে নির্দেশ যে ওরে মেরে ফেল। ব্যাস। আর কঠিন ভাবে বলতে গেলে.........।



যাক এবার মূল আলোচনায় আসি। উপরে ঘটনাটা যদি একটা রোবেটের জন্য ঘটত তাহলে কি হত। আমি নিশ্চিত তাকে আমরা মশা মারার রোবট বলতাম। এই মশা মারা রোবট তৈরী করতে হলে আমাদের কি করতে হবে?(আমারে বেকুব ভাইবেন না, আমি জানি কয়েল বা স্প্রে দিলেই মশারা ভাগে। মশা মারতে কামান আই মিন রোবটের কি দরকার? প্রশ্নটা মনেই রাইখেন আপাতত।)
মানুষের চিন্তা বা কাজ আর কিছুই না আপনার আমার মস্তিকের কাজের ফলাফলই। আর এই মস্তিক নামের প্রসেসর কে কাজ দেয় মানে ইনপুন দেয় আমাদের রানার বা নিওরন গুলো। নিওরন গুলো যে নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত তার আমার বলি নিউরাল নেটওয়ার্ক। নিউরাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমেই ওই মশাটা যে কামড় দিয়েছে সেই তথ্য আমাদের প্রসেসরে চলে যায়। আর উনি হাতের সব গুলো হাড়কে নিদের্শ দেন গালে এই মশাটার অবস্থানে থাপ্পড় মারতে। (অনুর গালে মনে হয় পাচঁ আঙ্গুলের দাগ বসেছে।X()

নিউরনে গঠন আমাদের কেন জানা দরকার?

(হে হে ভাল প্রশ্ন ;) ) রোবট বানাই আর যে কোন সেন্সরিং ডিভাইস বানাই আমাদের ভবিষৎতে কিন্তু এই নিউরন পদ্ধতিটাই ধার করতে হবে। অর্থাৎত নিউরন কিভাবে কাজ করে তা কিভাবে প্রসেস হয় ব্রেইনে আবার তার থেকে কিভাবে আউটপুট বের হয় তা সঠিক এবং বিষদ ভাবে জানতে পারলে এই টেকনিক টা আমরা রোবোটিকস এর কাজে আর সুন্দর ভাবে কাজে লাগাতে পারব।
নিউরনের গঠনটা আমাদের ক্লাস নাইন-টেনএর বিজ্ঞান বইয়ে থাকার কথা। তাই এইখানে আর বেশি কথা বাড়াইলাম না। (শুধু একখান ফোটু দিলাম)



নিউরন কিভাবে ডাটা ট্রাসফার করে?


হ্যাঁ এইটি হল আমার আজকের টপিক। একটা নিউরন সেল তার আশেপাশের ১০০০ বা ১০০০০টি নিউরনের সাথে সংযোগ থাকতে পারে। এই সংযোগ স্থলটিকে বলা হয় সাইনেপস(Synapse)। কোন নিউরনে সিগনাল উৎপাদন হলে সব গুলো তার সাথে সংযোগ থাকা সব নিউরনে সে সিগনাল পাঠায় না (যদি পাঠাইতো তো বুঝতেন ব্যাথ্যা কারে কয়)। এই সিগন্যাল টি কিছু বাহকের মধ্যামে এক্সন এর শেষমাথা পর্যন্ত পৌছাঁয়। এই বাহকে বলা হয় নিউরোট্রান্সমিটার(Neurotransmitter), এই নিউরোট্রান্সমিটার গুলো আবার ভেসিকল(Vesicles) নামের এক আবরনের ভিতর থাকে । নিউরোট্রান্সমিটার এক নিউরন থেকে অন্য নিউরনে যায় ডেনড্রাইটের মাধ্যমে। সাইনেপসের সংযোগ যত ভাল হবে সিগন্যাল তত তাড়াতাড়ি ট্রান্সমিট হবে।
এই ভাবে সিগনাল বা তথ্য মস্তিকে পৌছায়। আর মস্তিকের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত সে্ন্টার গুলো বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহন করে। বিষয়টি কিন্তু আর জটিল।

তো ভেবে দেখুন আপনার এই রানার গুলো আপনার তথ্য গুলো কত দ্রুত আদান প্রদান করে। এই মস্তিককেই আমরা আবার গালি দেই কিছু পারে না বলে।

নিউরন ফ্যাক্ট:
ফ্যাক্ট মানেই মজা তাই দিলাম:
১. মানুষের ব্রেইনে নিউরনের সংখ্যা ১০০ বিলিয়ন
২. একটি নিউরন আকারে ৪ থেকে ১০০ মাইক্রোন হতে পারে
৩. নিউরনের সিগন্যাল ট্রান্সফারের গতি প্রায় ১.২ থেকে ২৫০ মাইল পার আওয়ার হতে পারে।

মস্তিক সম্পর্ক আমাদের বিজ্ঞানীরা সাধারন যে প্রশ্ন গুলো করে থাকেন:
১. কিভাবে মানুষের এই নিউরাল নেটওয়ার্কের এবং ব্রেন এর ডিজাইন করা হয়েছে?
২. ব্রেন কিভাবে ডাটা প্রসেস করে ইনফরমেশন প্রস্তুত করে?
৩. কি এলগরিদম ব্যবহার করা হয় ক্যালকুলেট বা ডাটা প্রসেসের কাজে?
৪. ব্রেন কিভাবে কল্পনা করে?
৫. ব্রেন কিভাবে নতুন কিছু আবিষ্কার করে?
৬. চিন্তা কি?
৭. অনুভুতি কি?

আপাত দৃষ্টিতে সহজ প্রশ্ন মনে হলেও এই জটিল প্রশ্নের উওর গুলো জানা খুবই গুরুত্বপূর্ন।

থাক আজ আর পেচাইলাম না। ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য।



তথ্যসূএ: প্যার্টান রিকগনিশন বই
http://serendip.brynmawr.edu
আরও কিছু ওয়েব সাইট

সর্বশেষ এডিট : ২২ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১:৫৮
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তোমাকে লিখলাম প্রিয়

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ০২ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০১


ছবি : নেট

আবার ফিরে আসি তোমাতে
আমার প্রকৃতি তুমি,
যার ভাঁজে আমার বসবাস,
প্রতিটি খাঁজে আমার নিশ্বাস,
আমার কবিতা তুমি,
যাকে বারবার পড়ি,
বারবার লিখি,
বারবার সাজাই নতুন ছন্দে,
অমিল গদ্যে, হাজার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ মিসড কল

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ৮:০২

গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।


... ...বাকিটুকু পড়ুন

×