somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গুজব উস্কানি প্যানিক- জামায়াতী হামলার কৌশল

০৮ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



দেশ অচল করে দেয়ার লক্ষ্যে সহিংসতার বহুমুখী কৌশল নিয়ে জামায়াত মাঠে নেমেছে। সশস্ত্র আক্রমণের আগে বড় অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে গুজব। এর সঙ্গে যোগ করেছে উস্কানি ও প্যানিক। বহুমাত্রিক এই গুজবের শাখা প্রশাখা সাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার প্রথম পর্বের জন্য আছে একটি দল। গুজব কিভাবে দ্রুত শত মানুষের কাছে পৌঁছানো যায় তারও প্রশিক্ষণ নেয়া আছে ওই দলের। প্রথম সফলতার পর শুরু হয় দ্বিতীয় পর্ব। স্বাভাবিক অবস্থার মধ্যে অতি দ্রুত জোরাল ‘প্যানিক’ সৃষ্টি করে সাধারণকে তাড়িয়ে নেয়া হয় এক স্থান থেকে আরেক স্থানে। লোকজন দ্রুত নিজ ঘরে যায়। এই পর্বে ককটেল ফাটান হয়। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই হামলা ভাংচুর ও আগুন দেয়া শুরু হয় বড় স্থাপনাগুলোতে। পুলিশের ওপরও চলে হামলা। এ পর্যন্ত বগুড়ায় জামায়াতী সবচেয়ে বড় হামলার আগে তাদের তৈরি গুজবকেই কাজে লাগিয়েছিল। এই গুজব ছিল চাঁদে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মুখ। তৌহিদী জনতার মাঠে নামার ডাক এসেছে আকাশ থেকে। দিন রাত জামায়াতী বিভীষিকা তা-ব ও ধ্বংসের রেশ শেষ না হতেই একের পর এক নতুন গুজবের উদ্ভব হয়। কোন্্ থানা আক্রমণ করা হলো, কোথায় কোন্্ পুলিশ, কোন্্ সাংবাদিককে মারা হলো। কোথায় যুদ্ধ শুরু হলো। কোথায় আকাশ থেকে কি নেমে এলো। কার কী বাণী প্রচার হলো। এইসব গুজবের সঙ্গে সাধারণ মানুষ সহজে বিশ্বাস করে এমন কিছু গুজব ছড়ানো হয় শহরে ও মাঠ পর্যায়ে। (অনেক গুজব লিখে বলাও শিরেকী গুনাহ)। শহরের প্রগতিশীল ধারার শিক্ষিত মানুষ এইসব গুজবে পাত্তা দেয় না ঠিকই। তবে পরিবারের কোন প্রবীণ সদস্য গুজবের কোন উন্মাদনায় তা প্রচারও করতে থাকে আত্মীয়স্বজনের মধ্যে। আর গ্রামের মানুষ প্রথমে সহজেই গুজবকে গ্রহণ করে প্রচার করতে থাকে। এ ক্ষেত্রে মোবাইল ফোন ব্যবহার হয়। এভাবে গুজবের শাখা প্রশাখা মেলতে সময়ও নেয় না। এই গুজবের সঙ্গে প্রযুক্তির গুজবও ডালপালা মেলে। তবে ইন্টারনেটের কারসাজিগুলো হালে প্রকাশ হওয়ায় শিক্ষিত লোকজন তা আর সহজে বিশ্বাস করে না (তবে গ্রামের অনেক মানুষকে এখনও বিশ্বাস করান যায়)। জামায়াতী কৌশলীরা ওই পথ থেকে কিছুটা সরে এসে মাঠ পর্যায়ে সরাসরি কানে কানে (হুইসপারিং) গুজবের পথ বেছে নিয়েছে। বগুড়ার ঘটনায় দেখা যায় এমন গুজব ছড়িয়ে পুলিশকেও বিভ্রান্ত করা হয়েছিল। রাতে হঠাৎ রটিয়ে দেয়া হয় শীঘ্রই থানা আক্রমণ করা হচ্ছে। থানা লক্ষ্য করে ককটেল ফোটান হয়। পুলিশ সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেয়। তারপর থানা আক্রমণ হয়নি। তবে জামায়াত কোন্্ চাল চেলে পরবর্তী বড় কিছু ঘটানোর জন্য একটা গ্রাউন্ড তৈরি করে দেখল এই বিষয়টিও ভাবনায় আনা দরকার, এমনটি মনে করেন উর্ধতন এক কর্মকর্তা। গুজবের এ ধরনের নানা কৌশলের সঙ্গে যোগ হয়েছে উস্কানি। গুজব আর উস্কানির ভয়ঙ্কর থাবার মধ্যেই প্রস্তুতি নেয় সশস্ত্র ক্যাডাররা। উস্কানি দেয়ার জন্য চোখ কান খোলা রাখে জামায়াত। যেমন বগুড়ার শেরপুরে এক মানসিক প্রতিবন্ধী মাদ্রাসার শহীদ মিনারে গিয়ে উদ্বোধনী ফলকের স্টিলের পাইপ ধরে টানাটানি করার সময় ক্যাপ খুলে পড়ে। সেই ছেলের ভাই যুবলীগের নেতা। জামায়াতী মিডিয়া দ্রুত প্রচার করে শহীদ মিনার ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। যদিও এই উস্কানি দিয়ে কোন লাভ হয়নি। লোকজন দেখেছে কী ঘটেছে। এমন গুজব বড় কোন উস্কানির ক্ষেত্র তৈরি করছে কি না তা কি খতিয়ে দেখা হচ্ছে! খোঁজখবর করে জানা যায়, বিরাট সংখ্যক জামায়াতী সশস্ত্র ক্যাডারদের কয়েক ভাগে প্রস্তত রাখা হয়েছে। যখন যেখানে দরকার স্বল্প নোটিসে সেখানেই তাদের নেয়া হয়। ধ্বংসাত্মক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য এরা সাধারণের মধ্যেই মিশে থাকে। গুজব ছড়িয়ে ও উস্কানি দিয়ে শিশু কিশোর নারীসহ সাধারণ মানুষকে সামনে রেখে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সশস্ত্র ক্যাডাররা ধ্বংসাত্মক কাজ করে নির্দিষ্ট জায়গায় ফিরে যায়। এদের জন্য বড় অঙ্কের অর্থ বরাদ্দ আছে। যা বগুড়ার ধ্বংসাত্মক বিভীষিকার ঘটনাগুলো চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। ওই দিন গুজব রটিয়ে শিশু কিশোর নারীসহ তরুণ ও সাধারণ মানুষের মধ্যে উগ্রতা ও উন্মাদনা সৃষ্টি করে বাইরে থেকে আসা সশস্ত্র জামায়াতীরা একের পর এক ধ্বংসলীলা চালিয়েছে। টানা তিন দিন হরতালের পর বুধবার যারা শহরে ও উপজেলায় গিয়েছে তারা বিস্মিত ও স্তম্ভিত হয়েছে। জামায়াতীরা কতটা ভয়ঙ্কর তার প্রমাণ দিতে শুরু করেছে। এ জন্য ধ্বংসের অনেকে উপকরণের মধ্যে গুজবকেও বড় অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করেছে। গুজব উস্কানির সঙ্গে প্যানিক বা আতঙ্ক তাদের আরেক বড় অস্ত্র। লোকজনকে দ্রুত সরিয়ে দিয়ে পুলিশ এ্যাকশনে যাওয়ার আগেই যা করার তা করে ফেলে। এ জন্য বেছে নেয়া হয় হয় তরুণদের। যানবাহনসহ বিভিন্ন স্থাপনা ভাংচুর লুটপাট করে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। আরেক ধরনের কর্মীও তারা তৈরি করেছে। যাদের পিঠে থাকে স্কুল ব্যাগ। এই ব্যাগে বড় ঢিল পাটকেল ও ছোটখাটো অস্ত্র রাখা হয়। সময়মতো তাদেরও ব্যবহার করা হয়। জামায়াত নানাভাবে সশস্ত্র অবস্থায় মাঠে নেমেছে।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×