খাও খাও গাছের ফল, মাত্রই গাছ থেকে পাইরা আনছি। এমন কথা শুনলে সব সময়ই আমার সেই সব খাবার খাওয়ার জন্য বিশেষ আকর্ষণ তৈরি হয়। গত বছর একটা কেনা আম খাই। একটি টুকরা গলা দিয়ে নামার সাথে সাথে গলা চুলকানো শুরু হয়। এমনিই ওষুধ দিছে, আমের ওষুধের গন্ধ সারা ঘর ম ম করছে।
তার আগে থেকেই বাসার বাচ্চা-কাচ্চাদের জন্য কেনা ফল এর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। যার কারনে তারা শুধু মাত্র নিজেদের গাছের ফলই খায়। সব টাটকা। এই বছর আমার মনে হলো বাসার লিলিপুটদের একদম টাটকা আম খাওয়াতে হবে। যেই ভাবা সেই কাজ। ঘোষণা দেওয়া হলো, বিকালে সবাই রেডী থাকবা। ছাদে বিশেষ উপায়ে ১০০% টাটকা আম খাওয়ানো হবে।
প্রথমে কাসন্দি, লবণ মরিচের গুড়া, ছুরির ব্যবস্থা করা হলো।
এরপর তিন ধরনের পানীয়। ঠাণ্ডা, নরমাল, মিস্টি পানি (ফ্রুটো)। ঠান্ডা পানি এই কারনে যে, ঝাল লাগলে লিলিপুটদের চিৎকারে কানের ১৩ টা বাজবে। নরমাল পানি দিয়ে আম ধোয়া। মিস্টি পানি (ফ্রুটো) ইমারজেন্সি অবস্থায়। যদি কারো ঝাল বেশী লাগে তখন খাবে।
এর মধ্যে লিলিপুটরা আম নির্বাচন করে ফেলেছে। কোন আম তারা খেতে চায়।
এখন শুরু করা হলো টাটকা আম খাওয়ার প্রক্রিয়া। আমকে গাছ থেকে না পেড়ে, গাছে ঝুলিয়ে রেখেই চোকলা সম্পূর্ণ ছুলে ফেলা হলো। আমে মাখানো হলো একটু কাসন্দি। যেহেতু ছাদের পাশেই গাছ তাই কাজটা করা তেমন কঠিন ছিল না।
এরপর শিশুদের কাছে পরিবেশন করা হয় ১০০% টাটকা আম। পরিবেশনের পদ্ধতিটা একটু ভিন্ন। আম গাছেই ঝুলছিল। গাছ থেকে না ছিড়ে, গাছেই ঝুলন্ত অবস্তায় কামড় দিয়ে খেতে হবে। এর উপরে টাটকা আম আর হয় নাকি?
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:১৬