somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"বেগম জিয়ার [শেখ হাসিনার] মনে রাখা উচিৎ, আমারও ভোট দেই। সামনে ইলেকশান আসছে"

০৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ফেসবুকে অনেক ধরনের ব্যক্তির সাথে আমি সংযুক্ত। আমরা সবাইই তাই। তবে আমাদের অনেক সময় ফেসবুক গ্রুপ বলে কিছু থাকে, যেখানে মোটামুটি এক মতের মানুষেরাই থাকেন। তাই দেখা যায় যে, সবাই সেই গ্রুপগুলোতে লেখালেখি করলেও মুল ফেসবুকে তারা অনেকটাই অনুপস্থিত।

কিন্তু তারপরেও বাইরে যে কিছুই লেখা হয় না, তাও ঠিক না। অনেকেই আছেন, যাঁরা নিয়মিত লেখেন। তার বাইরে কিছু প্রোপাগান্ডাও চলে। যেমন চলছে সাম্প্রতিক কালে।

এরই ফাঁকে আজকে একটা কমেন্ট চোখে আসল। এক ছাত্রী, রাজনীতি ব্যাপারে বিন্দুমাত্র আগ্রহী নয়, সে লিখেছে, "বেগম জিয়ার মনে রাখা উচিৎ, আমারও ভোট দেই। সামনে ইলেকশান আসছে"

কথাটা আমার খুব মনে গেঁথে গেছে। লেখা আকারে আমরা যাই ছাপাই না কেন বা প্রকাশ করি না কেন, আমি সব সময়ে কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদের একটি কথা ভুলতে পারি না। উনি বলেছিলেন, জনগণ যদি পেপারের কলাম পড়ে ভোট দিতে যেত, তা হলে ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামি লিগ অবশ্যই জিতে যেত

জনগণ কি ভাবছে, তা সর্বোচ্চ রাজনীতিবিদদের জানতে হয়। তাদের জনগণের কাছাকাছি যেতে হয়। আমাদের দেশের বিভিন্ন দলের প্রধানগণ উনাদের চারপাশের লোকদের কথা শুনেই সিদ্ধান্ত নেন। তা উনারা সরকার পরিচালনায় থাকুন বা বিরোধী শিবিরেই থাকুন। চিত্রটা একই ধরনের।

তার উপরে গেল পঁচিশ বছরে পাচ-বছর-মেয়াদের "লুটপাটের গণতন্ত্র" কায়মে হবার পরে যেন ব্রিটিশদের সেই চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রথার মত কিছু চালু হয়েছে এ দেশে। পাচ বছর পর পর মালিকানা বদল। তফাৎ হল, এখন আমার স্বেচ্ছায় গোলামীর দড়ি পছন্দ করে, সিল মেরে, রাষ্ট্রকে জানিয়ে দেই। আর রাষ্ট্র বেশি সিল পাওয়া লোকগুলোকে একসাথে করে বলে যে ভাই ও বোনেরা, এইবার আপনাদের পালা!

সেই হুইসেল বাজাও শেষ, পরে কি হবে, তা ভাব্বার সময় বা ফুরসত উনাদের কারোই থাকে না। সবাই তখন পরবর্তি যতকয় পুরুষ পর্যন্ত চালানো যায়, সেই পরিমাণ দূর্নীতি করা শুরু করে।

এভাবেই দেশ চলছে। জনগণের কিছুই হয় নাই। আমি তো দেখি, জনগণের চাপে না পড়লে সরকার বা রাষ্ট্র কিছুই করে না। আজ বাঙলাদেশ উন্নতি করছে, সরকার প্রধানরা সেই কৃতিত্ব প্রথমে তার সরকারের এবং উনাদের চেলাগুলো সেই কৃতিত্ব সরাসরি সরকার প্রধানকে দিয়ে দেন। জনগণের ভাঁড়ে পড়ে থাকে ফুটা পয়সা। কিংবা তাও থাকে না অনেক সময়ে।

সম্প্রতি তিন দিনে এতোগুলো প্রাণ ঝরে গেল, তার কোন জবাবদিহিতা নেই কোন পক্ষ থেকেই। সহিংসতা করাটা সভ্য দেশের কোন নাগরিকের আচরণ হতে পারে না। আর ধর্মের নামে করাটা তো রীতিমত ধর্ম বিরুদ্ধ কাজ। ইসলামের আদি কালেও শাসকরা ধর্মের ব্যাপারে জোর করেন নাই। আমাদের এই প্রেক্ষিতে প্রথম চার খলিফাদের উদাহরন দিলে উনাদের খাটো করা হবে।

কিন্তু উনাদের পরে বংশানুক্রমিক রাজতন্ত্রের নামে যে ইসলামি খলিফাতন্ত্র ছিল, তাতেও শাসকরা আমাদের দেশের যে কোন আমলের যে কোন সরকারের চেয়ে অনেক সভ্য ছিলেন। তাঁরা বিচক্ষন ছিলেন। বিচক্ষন ব্যক্তিদের সমাদর করতেন। প্রজাদের কথা শুনতেন। কেউ কেউ তো ছদ্মবেশে প্রজাদের খেদমত করেছেন বলে অনেক কাহিনীই চালু আছে।

শাসকদের অনেক গুণ থাকা লাগে। মেকিয়াভেলির বইয়ে সে সব গুণের কথা বিস্তারিত বলা আছে। আর অতি সংক্ষেপে আছে রবীন্দ্রনাথের "গান্ধারী আবেদন" বা "কর্ন-কুন্তি সংবাদ" নামে একটা কাহিনী কবিতায়।

সে সব মানলেও না হয় চলত। কিন্তু আমাদের দেশে এর কোন কিছুরই বালাই নাই। আছে অশিক্ষা বা কুশিক্ষা, মিথ্যা বলা, চুরি করে বড় লোক হবার বিভিন্ন কাহিনী। নতুন প্রজন্ম আমাদের পুরাতন প্রজন্ম থেকে অনেক মেধাবী, উদ্যোগী, কঠোর পরিশ্রমী। তারা একবার জেগেছে। তারা আবার জাগবে। আর সেই জাগরণে ভেসে যাবে সব পুরাতনি।

লেখার শুরুরে বেগম জিয়রা কথা বলেছি। শুধু উনিই না, শেখ হাসিনার জন্যও কিন্তু একই কথা প্রযোজ্য। তরুণ প্রজন্ম উনাদের কারুকেই ছাড়বে না। আর তখনই হবে আসল পরিবর্তন।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কোরআন কী পোড়ানো যায়!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৮

আমি বেশ কয়েকজন আরবীভাষী সহপাঠি পেয়েছি । তাদের মধ্যে দু'এক জন আবার নাস্তিক। একজনের সাথে কোরআন নিয়ে কথা হয়েছিল। সে আমাকে জানালো, কোরআনে অনেক ভুল আছে। তাকে বললাম, দেখাও কোথায় কোথায় ভুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেঞ্চুরী’তম

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


লাকী দার ৫০তম জন্মদিনের লাল গোপালের শুভেচ্ছা

দক্ষিণা জানালাটা খুলে গেছে আজ
৫০তম বছর উকি ঝুকি, যাকে বলে
হাফ সেঞ্চুরি-হাফ সেঞ্চুরি;
রোজ বট ছায়া তলে বসে থাকতাম
আর ভিন্ন বাতাসের গন্ধ
নাকের এক স্বাদে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরানের প্রেসিডেন্ট কি ইসরায়েলি হামলার শিকার? নাকি এর পিছে অতৃপ্ত আত্মা?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯


ইরানের প্রেসিডেন্ট হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত!?

বাঙালি মুমিনরা যেমন সারাদিন ইহুদিদের গালি দেয়, তাও আবার ইহুদির ফেসবুকে এসেই! ইসরায়েল আর।আমেরিকাকে হুমকি দেয়া ইরানের প্রেসিডেন্টও তেমন ৪৫+ বছরের পুরাতন আমেরিকান হেলিকপ্টারে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভণ্ড মুসলমান

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:২৬

ওরে মুসলিম ধর্ম তোমার টুপি পাঞ্জাবী মাথার মুকুট,
মনের ভেতর শয়তানি এক নিজের স্বার্থে চলে খুটখাট।
সবই যখন খোদার হুকুম শয়তানি করে কে?
খোদার উপর চাপিয়ে দিতেই খোদা কি-বলছে?

মানুষ ঠকিয়ে খোদার হুকুম শয়তানি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসবে তুমি কবে ?

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪২



আজি আমার আঙিনায়
তোমার দেখা নাই,
কোথায় তোমায় পাই?
বিশ্ব বিবেকের কাছে
প্রশ্ন রেখে যাই।
তুমি থাকো যে দূরে
আমার স্পর্শের বাহিরে,
আমি থাকিগো অপেক্ষায়।
আসবে যে তুমি কবে ?
কবে হবেগো ঠাঁই আমার ?
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×