বাংলার পথঘাট ঘুরে কখনো ইচ্ছা করে
জীবনানন্দ দাশের মতো ‘বাংলার মুখ’
কবিতাটি নতুন করে লেখার।
সে কী শক্তি আছে
জীবনানন্দ দাশ হয়ে উঠা!
আবার ভাবি—
নাই হোক জীবনানন্দ দাশের কবিতার মতো
হবে তো কোন একটা
কবিতা কিংবা অ—কবিতা
ভালো লাগা কিংবা না—ভালো লাগা।
আবার কখনো কখনো মনের মধ্যে খেলা করে
জীবনানন্দ দাশের সময়ে কী
এমন ছিল—এত রক্ত, এত খুন, এত দোলাদোলি
এত অস্ত্র, এত ধর্ষণ কিংবা এত ছাত্রীর উত্তত্তের
তাজা তাজা পত্রিকা ভরা খবর।
জানি না; তবে জানি শান্তি ছিল
বনলতার মতো ভালোবাসা ছিল
আসমানির মতো দু:খ ছিল
প্রীতিলতার মতো সাহসী কণ্ঠ ছিল
হাজী দানেশের মতো মানব ছিল।
এখনো তো—
সেই চাঁদ আছে
নদী আছে
কলা বাগান আছে
ফুলফল আছে
পাখির গুঞ্জরণ আছে
কচুরিপাতা, নারিকেল, পুকুরে মাছ আছে
আম-জাম-কাঁঠাল-তালগাছ—সবেই তো আছে
তবে কী নেই—
গভীর থেকে গভীরতা নেই
জীবনানন্দ দাশের আবেগ নেই
আদর করে মা শিশুকে চাঁদ দেখার উচ্ছ্বাস নেই
আছে শুধু্—বাণিজ্য, লালনীল দীপাবলির নাইটিং ড্যান্স।
আমার আর জীবনানন্দ দাশের
বাংলার মুখ কবিতাটি লেখা হলো না