মুক্তি
জাহির হুসেন
সুশৃঙ্খলতার শিকল জড়িয়ে জীবনের আদ্যপ্রান্ত একরকম কাটানো যায়।তাতে কি মুক্তি মেলে?না।সত্যি তাতে না আছে সুখ না আছে মুক্তি।আত্নতৃপ্তির প্রত্যাশায় মানুষ ছুটে যায় প্রান্তর থেকে প্রান্তে।জীবনের মুক্তির প্রত্যাশায় প্রকৃতি রুপ বদলায়,সারা অঙ্গে জড়িয়ে আনে বৈচিত্রতা।যেখানে নিয়ম নেই।নদীর পার ভেঙ্গে পার গড়ে।মহাপ্লাবন ধুয়ে দিয়ে যায় মৃত্তিকার দেহ।প্রকিতির খেয়ালে, জন্মের পর মানুষকে কতবার বদলাতে হয়।প্রতিবার বদলের পর বদলে যায় নিয়ম নিতি।জন্মের পর কোন নিয়মনিতি, ইচ্ছার আবদ্ধতার বাইরে থেকে একটা সাচ্ছন্দ্য পাওয়া যায়।ইচ্ছের দলাবাঁধা পুটলিটা বুকে চেপে সমস্ত শৃঙ্খল নিয়ম নিতির শিকলগুলো ষাষ্টাঙ্গে অলংকার করে পরে থাকতে হয় পৃথীবির মৃত্যু অবধি।মায়ের বুক থেকে পরে যে নিয়মগুলো বেধে নিলে তাতে সারাজীবন বন্দি হয়ে থাকো।এই নিয়ম।সুবোধ ছেলের মত নিয়ম করে পড়াশুনা করবে।আপন ঘর পৃথীবিরির বাইরের পৃথীবি দেখবার আগে তোমার দারস্থ হল কোন গৌড়ী জীবন ,তো হয়ে গেলো।উৎপাদন কর আর ব্যয় কর।এসে গেলো জীবনের মুক্তি।এক সময় ঢুস করে মরে চলে যাও ওপাড়ে।কেউ হয়তো জানলো, কি জানলো না।দুদিন কাক ডেকে ক্লান্ত অনাহারী পাকস্থলীর যন্ত্রনায় ফিরে গেল ডাস্টবিনে।সৃঙ্খলা তার মনুষ্য অনুভুতীকে পিষে মেরে যদি যান্ত্রিক মানুষ করে ফেলে তো কি দরকার সেই সৃঙ্খলার?................................
আমি কি স্ঙ্খলার কোন অলংকার আপন অঙ্গে সাজিয়ে দেখেছি?হ্যাঁ।সেই ছেলেবেলায় মা কত যত্ন করে বুকের কাছে নিয়ে ঘুম পাড়িয়েছে।নিয়ম করে ভোরবেলা ঘুম থেকে ওঠা।রৌদ্রে বাইরে যাওয়া যাবে না।দুপুরে খাওয়ার আগে গোসল করতে হবে।খাওয়ার পর বাইরে যাওয়ার কথা ভাবতে পারতাম না।বিকেলে খেলাধুলা করে সন্ধ্যার আগে ঘরে ঢুকতে হবে।নিজেকে বুঝে নেওয়ার পর কোথায় গেল সে নিয়মের দলেরা?
কতরাত যে জেগে কেটে গেছে,কেটে যাচ্চে..কেউ তো তার খবরও রাখেনি।কত সন্ধ্যা চলে গেছে,রাত কেটে গেছে,ঘরে ফেরার সুযোগ হয়নি।কতদিন দুপুরে একবেলা খেতে না পারায় অন্যের খাবারের পানে চেয়ে থেকে চোখের খুধা মিটিয়েছি।কতদিন গোসল করাই হয় নাই,খাবার আগে দুরে থাক।কে জানে সে কথা?সমস্ত নিয়ম শৃঙ্খল এর বাইরে থেকে যে মুক্তির প্রত্যাশায় জীবনের দগ্ধতায় কাটিয়েছে ,সে কি পেয়েছে মুক্তি?
তবে সত্যিকারের মুক্তি কোথায়?.....কিসে?
না।মানুষের মুক্তি নেই।জন্মে মুক্তি নেই,মৃত্যুতে মুক্তি নেই,সংসারে মুক্তি নেই,বৈরাগ্যে মুক্তি নেই।কারন সে মানুষ।আমি মানুষ।তাই মুক্তির সহস্র চিন্তাই বৃথা।সবকিছু ঝেড়ে ফেলে একবেলা ঘুমানোই মুক্তি।