আজকে বাসার লিফটে আটকা পড়েছিলাম , আটকা পড়ে ২০ মিনিট ছিলাম এর ভিতরে।
আমি আব্বু আম্মু আর আমার বোন কে নিয়ে গেসিলাম গুলশান ১ এর আলমাস এ । বৃষ্টি হচ্ছিল। আমি তাদের রেখে একাই চলে আসি। আমার বাসা আলমাস থেকে খুব কাছে। বাসায় নিচে এসে দেখি কারেন্ট চলে গেল। জেনারেটর ছাড়ল। লিফট চালু হল। ঢুকলাম লিফট এ । লিফটে আমি একাই। উঠে যাওয়ার কিছুক্ষনের মধ্যেই দেখি লিফট আটকে গেল। নিচে জেনারেটর এর আওয়াজ বন্ধ হয়ে গেল। আমি প্রথমে ভাবলাম হয়ত কারেন্ট চলে এসেছে । সাথে সাথেই মনে হল আরেহ কারেন্ট তো গেলই একটু আগে। নিচে জেনারটর আবার চালু হওয়ার আওয়াজ পেলাম। তখন ভাবলাম যে এখনি চলে আসবে। কিন্তু দেখি যে কোন কিছুই হচ্ছে না। সাথে সাথে মাথায় কাজ করল হয়ত লিফটের কানেকশন এ সমস্যা হইসে। লিফট থেকে ইমারজেন্সী বেল বাজাইতে থাকলাম। এও বুঝতেসিলাম যে নিচে কেউ শুনতেসে না। কারন নিচে জেনারেটর এর অনেক শব্দ হচ্ছিল। নিচে ড্রাইভার ব্যাটাকে ফোন দিতেসি।শালাও ফোন ধরতেসিল না। লিফটের ইন্টারকম ও কাজ করতেসিলো না। এমন সময় আব্বুকে ফোন দিচ্ছিলাম । কিন্তু নেটওয়ার্ক এর সমস্যার কারনে (মুই এয়ারটেল ইউজার) তাকে বুঝাতে পারছিলাম না যে আমি লিফটে আটকা পরসি। এর একটু পর আম্মু কে ফোন দিলাম সেও ধরলো না। মনে তখন একটা জিনিসই আসতেসিল - যেদিন কপাল খারাপ থাকে সেদিন শালা সব দিক থেকেই খারাপ হয়।যাই হোক আমি হঠাত করে আম্মুর আওয়াজ পাই। বুঝলাম যে তারা লিফট বন্ধ দেখে সিড়ি দিয়ে উঠতেসে। চিল্লান দিলাম - " আম্মু বলে " । আম্মু তো সাথে সাথে কান্না শুরু করে দিল - বলতে লাগল " আমার ছেলে আটকা পড়সে" ও শ্বাস নিতে পারতেসে না ।" আম্মু আসলে ভাবতেসিল আগেকার দিনের কথা। অনেক আগের লিফটে এরকম সমস্যা হত। যাই হোক আম্মুর চিল্লানিতে এপার্টম্যান্টের অনেক আংকেল আর নিচের গার্ড রা ছুটাছুটি করে আসল। অতঃপর তারা ম্যানুয়ালী চাবি দিয়ে লিফট খুলল। লিফট থেকে বের হয়ে দেখি ৯/১০ জন লোক । খুব ইম্বেরাসিং লাগতেসিল ব্যাপারটা।
বাসায় ঢুকার পর নিজে কিছুক্ষন হাসলাম। আর আম্মু কে গিয়ে বুঝাইলাম যে আম্মু এখন আর আগেকার মত লিফট এ সমস্যা হয় না। ইজিলি শ্বাস প্রশ্বাস নেওয়া যায়।
বাসায় এসেই মনে হইল যে যাক আজকে সামুতে লিখার একটা জিনিস পেয়ে গেলাম।
যাই হোক কাহিনী শেষ। আমার সোনার বাংলা দেশ।