সাড়া দিন ঘুমেই কাটছে। দুপুরে ফ্রেণ্ডদের ফোনের অত্যাচারে আর শুয়ে থাকা সম্ভব হলো না। তবে ক্যাম্পাসে যাব না পন করলাম। ল্যাংটাবেলার এক ফেন্ডের ফোন আসলো-
-মাসুদ কই রে তুই? কি করিস?
-কিছু না রে। কেবল ঘুম থিকা উঠলাম।
-ল্যাব এইডের সামনে আয় এক্টু।
-নারে দোস্ত এখন পারবো না,এখন বের হবো না, ভাল্লাগতেছে না।
আরেক বন্ধুর সরাসরি অনুরোধে ধানমণ্ডি ক্লাবের উদ্যেশে বের হলাম। ওকেও ফোন দিলাম উপস্থিত থাকতে। গেটে আবার চেকিং মেশিন ফিট করা। দেশ ডিজিটাল হৈগেছে মনেয়। আশঙ্কা ছিল ঢুকতে আবার টাহা লাগে কি'না। সবচেয়ে ভাল লাগলো চড়কি নামক বস্তুটা, চড়কিতে চড়তে মন্চায়। কিন্তু লাইন দেখলাম গেট পর্যন্ত বর্ধিত হইয়াছে, ১ ঘন্টার নিচে সিরিয়াল জুটবে না। ধুর চড়কিতে উঠলে যদি পড়ে যাই, উঠলাম না।(আঙ্গুর ফল না'কি টক)। কিন্তু ফুচকা টক না। কিন্তু ৪০ টাকা প্লেটের কথা শুইনা ঐটাও টক হৈগেলো। কয়েক দোকান যাচাই করে ৩ প্লেট(৩ জন) নিলাম ১০০ টাকা দিয়ে। হঠাত বিকট চিতকার শুনতে পেলাম। অনুষ্ঠানের(কনসার্ট) উপস্থাপিকা চিল্লান দিয়া উঠছে। এমন চিতকার যেন কেউ তার সম্ভ্রমহানি করছে। মাইয়া চিতকার দিচ্ছে আর পাবলিকে জাহুর দিয়া উঠতেছে। খুন হইয়া গেলাম। কততে উত্তেজিত হবি না পাব্লিক। পার্থ, আ: বাচ্চুর গান শুনলাম, ভালই লাগলো। কিন্তু ঐ মাইয়ার চিল্লানিটা মনে হয় এখনো কানে বাজতেছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:১৯