somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পার্বত্য চট্রগ্রামকে পুর্ব-তিমুর/দক্ষিণ সুদানের মতো বিচ্ছিন্ন করে আরেকটি ইসরাইল বানানো হবে ?

১১ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছবিঃ পার্বত্য চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ভূমি কমিশানে লর্ড এরিক এভেরি্র সাথে আছেন এদেশীয় ড. জাফর ইকবাল (উপরে), এ্যাড সুলতানা কামাল চক্রবর্তী (স্বামী শ্রী রঞ্জন চক্রবর্তী) (২য় ছবি), ড. স্বপন আদনান (সিঙ্গাপুর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়), ব্যারিষ্টার সারা হোসেন (স্বামী ডেভিড বার্গমান) (৩য় ছবি), ড. মেঘনা গুহ ঠাকুরদা (শেষের ছবিতে বাম পাশের মহিলা) প্রমুখ

এর সাথে যোগ হয়েছে মুক্তমনা নামের পার্শ্ববর্তী দেশের গোয়েন্দা সংস্থার অর্থে পরিচালিত কিছু গ্রুপ, যাদের মুল কাজেই হচ্ছে বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানো। সম্প্রীতি মঞ্চ ও অজয় রায়রা (বামপন্থি বুদ্ধিজীবী অজয় রায় ইন্টারনেট ভিত্তিক গ্রুপ মুক্ত-মনার প্রধান উপদেষ্টা। এদের মুল কাজেই হচ্ছে বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্বেষী ছড়ানো) হচ্ছেন সেই গ্রুপ গুলোর বাংলাদেশী সহযোগী। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে বলা যায়, পার্বত্য অঞ্চলে সেনাবাহিনীর সদস্যদের রাখা হয়েছে শুধু নিরাপত্তার জন্য, সেখানে কোনো উপনিবেশ কায়েমের জন্য নয়। তারা সেখানে কোনো ধরনের অন্যায় কাজেও লিপ্ত নয়। একটি দেশের সেনাবাহিনী নিজের দেশের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করতে পারবে না। �এ কেমন দাবি!

ভারতীয় সেভেন সিস্টার্সে ৪০ বছর ধরে প্রায় ৪ লাখ সৈন্য মোতায়েন আছে। কাশ্মীরে গত দুই দশক ধরে পাচ লাখেরও বেশী ভারতীয় সেনা মোতায়েন আছে। এসবের বিরুদ্ধে কথিত কোন মানবাধিকার গ্রুপ টু শব্দ করতেও দেখা যায় না। আর পাহাড়ে আমাদের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কোনো গুরুতর অভিযোগও নেই। তাহলে কেন তাদের সেখান থেকে প্রত্যাহার করা হবে? তাহলে সম্প্রীতি মঞ্চের এ দাবির উদ্দেশ্য কী? তারা কি দেশের এক-দশমাংশ ভূমির নিরাপত্তা চায় না? তারা কী বাংলাদেশের এক-দশমাংশ এলাকা অরক্ষিত অবস্থায় পেলেই খুশি হবে?

ঙ. ১/১১ কি একটি রিহার্সেল ছিল?

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উপস্থিতির কারনেই গত তিন দশকে সন্তু লারমাদের ব্যাপক সন্ত্রাসী কার্যকলাপের পরেও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিছিন্নতাবাদীদের স্বর্গ রাজ্য হতে পারেনি। এক্ষেত্রে পাহাড়ী ও বাংগালীরা সেনাবাহিনীর কারনে নিরাপদে নিজস্ব জীবনযাত্রা, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি নিয়ে পাশা পাশি বসবাস করছে। বলতে গেলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীই অনেক ত্যাগের বিনিময় পার্বত্য চট্টগ্রামকে রক্ষা করেছে। সুতরাং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ অঞ্চলটি রক্ষার অন্যতম শক্তি। তাই তাদেরই মেরুদন্ড ভেঙ্গে দিতে হবে। এ কাজ করা হয়েছে মুলত ১/১১ আগে ও পরে। জাতি সংঘের শান্তি মিশন থেকে সেনা ফিরিয়ে দেওয়া হবে এই ভয়ে (যদিও অনেকে বলছেন ভয়টি ছিল ভুয়া) যদি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মইন টাইপের উচ্চাভিলাষী ব্যক্তি বিদেশী কূটনৈতিক সহায়তায় ১/১১ তৈরী করতে পারে, তাহলে তো সত্যি সত্যি শান্তি মিশন থেকে সেনা ফিরিয়ে দিলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সব সেনা পার্বত্য চট্টগ্রামের অস্থায়ী ক্যাম্প থেকে তো বটেই খোদ স্থায়ী ক্যান্টনমেন্ট ছেড়েই চলে আসবে।

মজার ব্যাপার হলো, ১/১১ পরপরেই পাচ ইউরোপীয় রাষ্ট্রদূত গোপন সফরে পার্বত্য চট্টগ্রাম গেছেন। ১/১১ পর থেকেই উপজাতিদের আদিবাসী হিসেবে মিডিয়াতে ব্যাপক প্রচার করা হচ্ছে। লর্ড এরিক এভেরি নেতৃতে গঠিত কথিত পার্বত্য চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ভূমি কমিশানও বেশ জোরে শোরে সারা বিশ্বে চিতকার শুরু করেছে সেখানে মানবাধিকার গেল বলে। তাহলে কি বলা যায় ১/১১ শুধু বাংলাদেশে বিদেশী কুটনৈতিকদের অবাদ বিচরণ ক্ষেত্রই করেনি, পার্বত্য চট্টগ্রামকে আরেকটি পুর্ব তিমূর, দক্ষিণ বা ইসরাইল করার পথও সুগম করে দিয়েছে?
১৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

---অভিনন্দন চট্টগ্রামের বাবর আলী পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয়ী---

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫৫





পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছেন বাবর আলী। আজ বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায় এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন তিনি।

রোববার বেসক্যাম্প টিমের বরাতে এ তথ্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সমাধান দিন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩১




সকালে কন্যা বলল তার কলিগরা ছবি দিচ্ছে রিকশাবিহীন রাস্তায় শিশু আর গার্জেনরা পায়ে হেটে যাচ্ছে । একটু বাদেই আবাসিক মোড় থেকে মিছিলের আওয়াজ । আজ রিকশাযাত্রীদের বেশ দুর্ভোগ পোয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে গরু দুধ দেয় সেই গরু লাথি মারলেও ভাল।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১২:১৮


০,০,০,২,৩,৫,১৬, ৭,৮,৮,০,৩,৭,৮ কি ভাবছেন? এগুলো কিসের সংখ্যা জানেন কি? দু:খজনক হলেও সত্য যে, এগুলো আজকে ব্লগে আসা প্রথম পাতার ১৪ টি পোস্টের মন্তব্য। ৮,২৭,৯,১২,২২,৪০,৭১,৭১,১২১,৬৭,৯৪,১৯,৬৮, ৯৫,৯৯ এগুলো বিগত ২৪ ঘণ্টায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×