বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক এলাকায় মাছ ও চিংড়ি আহরণের জন্য ২৫টি নতুন ট্রলার নামানোর অনুমতি দিয়েছে সরকার।
Published : 29 Jul 2013, 02:21 PM
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রীসভার বৈঠকে এই প্রস্তাব অনুমোদন পায়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানান।
তিনি জানান, তটরেখা থেকে ৪০মিটার গভীরতা পর্যন্ত প্রথম পর্যায়ে ৩২ হাজার ৪৪০ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় ৪৩ হাজার জেলে নৌকা মৎস্য আহরণ করে। ওই এলাকায় কোনো লাইসেন্সপ্রাপ্ত বাণিজ্যিক ট্রলার মাছ ধরতে পারে না।
২০১০-১১ অর্থবছরের বঙ্গোপসাগর থেকে পাঁচ লাখ ৪৬ হাজার ৩৩৩ মেট্রিক টন মৎস্য সম্পদ আহরণ করা হয়, যার একটি বড় অংশ এসব ছোট জেলে নৌকার অবদান বলে সচিব জানান।
সাগরে মৎস্য আহরণের দ্বিতীয় স্তরটি হলো ৪০ মিটারের পর থেকে ২০০মিটার গভীরতা পর্যন্ত এলাকা। আর ২০০মিটার গভীরতার এলাকা থেকে একান্ত অর্থনৈতিক এলাকার সীমানা পর্যন্ত হলো তৃতীয় স্তর।
মোশাররাফ হোসেন বলেন, “ওই এলাকায় ২৯৯টি অনুমতিপ্রাপ্ত ট্রলার অপারেট করছে। কিছু সরকারের অনুমোদন নিয়ে; কিছু উচ্চ আদালতের অর্ডার নিয়ে।”
দ্বিতীয় স্তরে মৎস্য আহরণের জন্য ১৫টি ট্রলারকে অনুমোদন দেয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “সুষ্ঠু, টেকসই ও সহনশীল আহরণের জন্য ১৫টি মিডওয়াটার ট্রলার অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে।”
২০০ মিটার গভীরতা পর্যন্ত মাছ ধরার অনুমোদন নিয়েও যারা ‘অপারেট’ করছে না, তাদের কারণ দর্শানোর সময় দিয়ে অনুমোদন বাতিল করা হবে বলে সচিব জানান।
এছাড়া ২০০মিটার গভীরতা থেকে তৃতীয় স্তরে টুনা জাতীয় মাছ আহরণের জন্য ১০টি লংলাইনার ট্রলারের অনুমোদন দেয়ার কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি বলেন, “সামুদ্রিক মৎস্য আহরণের জন্য একটি বিস্তারিত নীতিমালা মন্ত্রিসভায় পেশ করার কথা বৈঠক থেকে বলা হয়েছে। সুষ্পষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে নতুন লাইসেন্স দেয়া হবে।”