somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্থলপথে বাংলাদেশ-ভারত টেলিলিংক চালু হচ্ছে!!!! নিজের পাছায় কাপর নাই, অন্যরে পরাই জামদানি!!

১০ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজকে প্রথম আলোতে এই নিউজটা পরলাম। দেখলাম নিজেদের আত্নসন্মানবোধ না থাকলে, নিজের স্বার্থের কাছে দেশের স্বার্থ ছোট হলে আমরা কি না করতে পারি।X( প্রথম আলো অনুযায়ী

"ভারতের সঙ্গে ফাইবার অপটিক লিংকে যুক্ত হতে বিটিসিএল ও ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেডের (বিএসএনএল) মধ্যে ২০০৯ সালের ৯ নভেম্বর একটি চুক্তি হয়। এর আওতায় ঢাকা থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা সীমান্ত পর্যন্ত অপটিক্যাল ফাইবার কেবল স্থাপন করা হয়েছে। আর ভারতের কেবল কলকাতা হয়ে পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণনগর সীমান্তে পৌঁছেছে।
এ বিষয়ে গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর ভারতীয় দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিএসএনএল বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে টেলিযোগাযোগে পিছিয়ে থাকা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোকে বহির্বিশ্বের সঙ্গে যুক্ত করতে চায়। বাংলাদেশ ও ভারত টেলি-ট্রানজিটের প্রাথমিক পদক্ষেপ এটি। এর মাধ্যমে বিটিসিএলের ফাইবার অপটিক ব্যবহার করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবার প্রসার ঘটানো হবে।"


আর আমাদের দেশের রাজাকারে কথা ---" এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডাক ও টেলিযোগাযোগসচিব সুনীল কান্তি বোস প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি সম্পূর্ণ ভুল বোঝাবুঝি। কারণ, ভারত সরকার তাদের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোকে বহির্বিশ্বের সঙ্গে যুক্ত করতে চায় বাংলাদেশের কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে। এ জন্য ভারত বাংলাদেশকে অপটিক ফাইবারের ভাড়া পরিশোধ করবে, যা দিয়ে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা আমদানি হবে। :-/ আর বিএসএনএলের সঙ্গে বিটিসিএলের ফাইবার অপটিক সংযোগ শুধু ভয়েস পাঠানোর কাজে ব্যবহার করা হবে"

কি মজা খালি পয়সার ছরাছরি। বাংলাদেশ হইব সিঙ্গাপুর। :)

কিন্তু অনেক লাভের মধ্যে একটা লাভ (কিন্তু কার লাভ)----

"মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে, ভারতের সঙ্গে ফাইবার অপটিক সংযোগ চালু হলে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলো এ দেশের বাজার ধরতে প্রথমেই কম দামে ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করবে। এর ফলে লাভজনক সরকারি কোম্পানি বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) পক্ষে ব্যবসা চালানো অসম্ভব হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।"

এখন দেখেন আরেকদল রাজাকারে বক্তব্য

"তবে বিটিসিএল কর্তৃপক্ষ বিএসসিসিএলের প্রতিযোগিতাকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছে। বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সাঈদ বলেন, বিটিসিএলের খরচে তৈরি অবকাঠামো ব্যবহার করে বিএসসিসিএল ব্যবসা করছে। এ অবকাঠামো তৈরি ও সাবমেরিন কেবলে যুক্ত হতে বাংলাদেশের প্রায় ৭০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এখন এ ক্ষেত্রে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী বিএসসিসিএলের নেই। তবে প্রতিযোগিতা শুরু হলে সাধারণ মানুষ সুলভে আরও ভালো সেবা পাবে।"

বাহ খুব ভাল, আমরা এখানে অব্যাবহৃত রাখছি ব্যান্ডউইথ, ফলে সাধারন মানুষ ইন্টারনেট ব্যাবহার করতে পারি না উচ্চ মুল্যের কারনে, আর ওদিকে সকল মনযোগ কিভাবে খাল কেটে কুমির আনা যায়। সরকারি প্রতিষ্ঠানের সেবা বাড়ানোর জন্য কি বিদেশ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী আনতে হবে?

দেশে কত হাউকাউ, দেশপ্রেম, স্বাধিনতা, কতকিছু। কিন্তু একটা সামান্য চুক্তি করতে গেলেই আমাদের দেশ প্রেম কই যেন উধাও হইয়া যায়।X( তখন আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা মনে থাকে না, একাত্তরের কথা মনে থাকে না। সেটা ভারতের সাথে চুক্তিই হোক বা অন্য দেশের সাথেই হোক।

(সব শেষে একটা লাভ নিয়া সন্তুস্ট থাকতে পারেন যে এতে করে ভারতের সাথে আমাদের প্রতি মিনিট কথা বলার মুল্য কমে আসবে :D)

প্রথম আলোর লিঙ্ক
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১:১৬
১১টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তাঁর বোতলে আটকে আছে বিরোধী দল

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



সেই ২০০৯ সালে তিনি যে ক্ষমতার মসনদে বসলেন তারপর থেকে কেউ তাঁকে মসনদ থেকে ঠেলে ফেলতে পারেনি। যারা তাঁকে ঠেলে ফেলবে তাদের বড়টাকে তিনি বোতল বন্দ্বি করেছেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ১৬ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৪



কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?
আমার খুবই জরুরি তার ঠিকানাটা জানা,
আমি অনেক চেষ্টা করেও ওর ঠিকানা জোগাড় করতে পারছিনা।

আমি অনেক দিন যাবত ওকে খুঁজে বেড়াচ্ছি,
এই ধরুণ, বিশ-একুশ বছর।
আশ্চর্য্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ব্লগার ভাবনা:কথায় কথায় বয়কট এর ডাক দেয়া পিনাকীদের আইডি/পেইজ/চ্যানেল বাংলাদেশে হাইড করা উচিত কি? ব্লগাররা কি ভাবছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:১৩



অপূর্ব একজন চমৎকার অভিনেতা। ছোট পর্দার এই জনপ্রিয় মুখকে চেনেনা এমন কেউ নেই। সাধারণত অভিনেতা অভিনেত্রীদের রুজিরোজগার এর একটি মাধ্যম হইল বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়া। বাংলাদেশের কোন তারকা যদি বিদেশী... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×