somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্মৃতির মেঘ

১০ ই এপ্রিল, ২০১১ ভোর ৫:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

"Could it be Love?"

I used to count the stars and wonder,
If any of them sparkled just for me..
Then one day we met, and i knew,
You were special. We had so much in
Common - our dreams, thoughts and values...
Even when we're apart, you're on my
mind, on my heart. Now all the stars
in the sky shine for us and my
dreams for the future have never been
sweeter.

So, are you thinking what i'm thinking?

Is it okay to let my feelings show?

I think we have something beautiful together.....

Could it be Love?

...

মনটা হঠাৎ করে কেমন হয়ে গেল। অনুভূতিটা ঠিক ঠিক ধরতে পারছিনা।

জিনিসপত্তর পরিষ্কার করছিলাম। সেগুলো ঠিকঠাক করে রাখতে যেয়ে এমন কিছু কিছু জিনিস বেরুলো যেগুলো অনেক যত্নে আগলে রেখেছিলাম আমি। অনেক অনেক স্মৃতি, প্রিয় মানুষের মুখ, কণ্ঠ জড়িয়ে রয়েছে জিনিসগুলোর সাথে। স্মৃতিগুলো ঝাপি খুলে বসতে লাগলো একটা একটা করে। আর উদাস করে দিল মনটা। সময়গুলো যে কত দ্রুত চলে যায়!

উপরের কবিতাটাও বেরুলো একটা ডায়েরী থেকে। প্রায় সাত বছর আগের ডায়েরী। উপহার হিসেবে পেয়েছিলাম আমার প্রিয় একজন বন্ধুর কাছ থেকে। সে তার ভালো লাগা কথাগুলো, কবিতাগুলো একটা ডায়েরিতে লিখে আমাকে উপহার দিয়েছিল। খুব সুন্দর হাতের অক্ষরে নানান রঙের কালিতে লেখা। ডায়েরির শুরুতে আর শেষে আছে তার কথা, আমার কথা, আমাদের দুজনের পরিচয়ের কথা, তার ছোট্ট পৃথিবীর মানুষগুলোর কথা, আর আছে ডায়েরির পাতাগুলোর মাঝে গুঁজে দেওয়া দু-পৃষ্ঠার একটা চিঠি। এই একটু আগে আবার সবটা পড়ছিলাম। ক্ষণিকের জন্য হারিয়ে গিয়েছিলাম সেই সময়টাতে, সেই দিনগুলোতে, পুরোনো সেই আমিতে। আমার জীবনের দারুণ কিছু সময়ের সাক্ষী হয়ে আছে ডায়েরিটা।

আর বেরুলো একটা উইন্ডচাইম। সেই একি জনের দেওয়া। ব্যাবহার করা হয়নি এদ্দিনে ও। ডায়েরির সাথে সেটিও স্বযত্নে রাখা ছিল। উইন্ডচাইমের টুংটাং শুনতে দারুণ লাগে আমার। হাওয়াঘন্টা নাম দিয়েছিলাম মনে পড়ে। ঠান্ডার কারণে জানালা খোলবার উপায় নেই এইখানে। অবশ্য সামার আসছে সামনে, বের করে ভাবছিলাম জানালার ঐখানটায় লাগাবো কিনা। কিন্তু যা শব্দ, কানে লাগে খুব। মনে হচ্ছিল এই জিনিস লাগালে আর ঘুম আসবে না সহজে। তাই আবার আগের জায়গায় ঢুকিয়ে রাখলাম সেটিকেও।

একটা আপু আর ভাইয়ার দেওয়া কিছু উপহারও বেরুলো। বছর চারেক আগের। ভাইয়াটা গান করে, অধ্যাপনা করে, আরও কত কিছু করে। তাও ব্যস্ততা থেকে সময় নিয়ে আপুটার সাথে ফন্দী করে ঠিক ঠিক আমার জন্মদিনের সময়টাতে গিফট পাঠালো। বেশ অনেক কিছু। উনার গানের সিডি বেরিয়েছিল তখন-সেটি, উনার অ্যালবামের একটা পোষ্টার, আমার জন্মদিন উপলক্ষ্যে Archies এর কার্ড, চিঠি আর একটা ফতুয়া। রবিঠাকুরের কবিতা লেখা ছিল ফতুয়াটিতে। ভাইয়া অনুরোধ করেছিল, আমার কোন প্রিয় অনুষ্ঠানে যেন পরি। পরেছিলাম বেশ কবার ফতুয়াটা, মনে পড়ছে কিছু বাঙ্গালী অনুষ্ঠানে।

আমি যেই কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন করেছি সেখানে শেষের এক সেমিষ্টারে বাংলাদেশী স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ছিলাম। তো সেই সময় আমরা একটা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলাম। জিনিসপত্তর গুলো থেকে বেরুলো সেই অনুষ্ঠানের সময় ব্যবহৃত কিছু ব্যাকস্টেজ পাস। পাস বলতে হাতে বাধার জন্য কাপড়ের ব্যান্ড। আর তাতে আমাদেরই কজন নকশা করেছিল। আমারটাতে সোনালী হরফে নকশার মাঝে লেখা আছে, President। আহ্‌ কি মধুর সব স্মৃতি।

ইচ্ছে করছিল স্মৃতির মেঘে চড়ে যদি ঘুরে আসতে পারতাম সেই সময়টাতে। সেই মানুষগুলোর সাথে আবার পুরোনো সেই আমিটা হয়ে...
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৪
২৩টি মন্তব্য ২৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি ভালো আছি

লিখেছেন জানা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯



প্রিয় ব্লগার,

আপনাদের সবাইকে জানাই অশেষ কৃতঞ্গতা, শুভেচ্ছা এবং আন্তরিক ভালোবাসা। আপনাদের সবার দোয়া, সহমর্মিতা এবং ভালোবাসা সবসময়ই আমাকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে শক্তি এবং সাহস যুগিয়েছে। আমি সবসময়ই অনুভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আমার ড্রোন ছবি।

লিখেছেন হাশেম, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩

বৃহত্তর প্যারিস তুষারপাত।

ফ্রান্সের তুলুজ শহরে বাংলাদেশের প্রথম স্থায়ী শহীদ মিনার।

হ্যাসল্ট, বেলজিয়াম।

ভূমধ্যসাগর তীরবর্তী ফ্রান্সের ফ্রিওল আইল্যান্ড।


রোডেসিয়াম এম রেইন, জার্মানি।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতার সুফল কতটুকু পাচ্ছে সাধারণ মানুষ

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:২৮

(১) আমলা /সরকারের কর্মকর্তা, কর্মচারীর সন্তানদের জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব হতাশাজনক। মুক্তিযুদ্ধের ১৯৭১ সালের রক্ত দেওয়া দেশের এমন কিছু কখনো আশা কি করছে? বঙ্গবন্ধু এমন কিছু কি আশা... ...বাকিটুকু পড়ুন

এলজিবিটি নিয়ে আমার অবস্থান কী!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১০ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:১৫

অনেকেই আমাকে ট্রান্স জেন্ডার ইস্যু নিয়ে কথা বলতে অনুরোধ করেছেন। এ বিষয়ে একজন সাধারণ মানুষের ভূমিকা কী হওয়া উচিত- সে বিষয়ে মতামত চেয়েছেন। কারণ আমি মধ্যপন্থার মতামত দিয়ে থাকি। এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুসলমানদের বিভিন্ন রকম ফতোয়া দিতেছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩


আপন খালাতো, মামাতো, চাচাতো, ফুফাতো বোনের বা ছেলের, মেয়েকে বিবাহ করা যায়, এ সম্পর্কে আমি জানতে ইউটিউবে সার্চ দিলাম, দেখলাম শায়খ আব্দুল্লাহ, তারপর এই মামুনুল হক ( জেল থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×