দেশের মধ্যব্ত্তি এবং নিম্নমধ্যবিত্ত তরুন সমাজের একটা বড় অংশ শেয়ার বাজারের সাথে জড়িত। হয়ত হাতে গোনা খুব অল্প পুঁজি খাটিয়ে তারা ব্যাবসা করেছে। তাদের সেলফ ডেভেলপমেন্টর জন্য। আর তাদের এ ব্যাবসায় অর্থমন্ত্রী নিজে মুখে দাওয়াত দিয়েছেন। বলেছেন, "আপনারা আসেন বিনিয়োগ করেন।" এইসব বিনিয়োগকারীদের এখন বুক ভেঙ্গে গেছে। চোখের পানিতে আর হতাশার তপ্ত নিঃশ্বাসে ভারী হয়েছে তাদের ভবিষ্যত।
নিলর্জ্জের মত সরকার কেমন করে বলে যে, জড়িতদের নাম প্রকাশ করা যাবে না। আমার মতে ৯৬ এর গ্যাং এবার পকেটে টাকা ঢুকাতে পারেনি। তাদের চেয়েও অনেক বড় রাঘোব বোয়াল এবার ব্যাবসা করেছে। পুরো টাকা হাতিয়ে নিয়ে দেশের বাহিরে চলে গেছে। এরা সংখ্যায় খুব অল্প মানে দুই/একজন। এরা দেশে থাকে না। এদের আছে বিদেশী পাসপোর্ট। এরা এদেশের হয়েও অন্য দেশের নাগরিক। এদের সাহায্য করেছে স্থানীয় সেই ৯৬ এর নীল নকশাকারীরা।
অন্ততঃ আমার এতটুকু বিশ্বাস আছে সরকারের উপরে যে, দেশের যেকোন ক্ষুদে রাঘব বোয়ালের নাম (যারা এবার ছাড়াও ৯৬ কেলেংকারী সাথে জড়িত) তারা অবলিলায় প্রকাশ করতেই পারে। যদিও তাদের শাস্তির কোন ব্যাবস্থা তারা করবেও না আর করার দরকারও নাই।
সরকার সমর্থক আরেক বর্ষীয়ান নেতা এই কেলেংকারীর সাথে জড়িতদের ব্যাপারে বলেছেন, "এরা ঠান্ডা মাথার খুনী"। এর অর্থ সরকারের সাথে থাকা দাপুটে লোকজনও তাদের ক্ষমতার কাছে নিশ্চুপ। অন্ততঃ গত এই কয়েকমাসে অর্থমন্ত্রীর চেহারা দেখে তাই মনে হয়েছে। মাঝে মাঝে তাকে হতাশ হতে দেখা গেছে। তাকে দেখে মনে হয়েছে, সে কোন জায়গায় বাঁধা, কিছু বলতে গিয়েও পারছেন না। তার এই ক্রোধ চাপিয়ে রাখতে না পেরে গত পরশুদিনও তিনি তিন বার দুহাত দিয়ে টেবিল চাপড়িয়ে বলেছেন, "দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা অনেক ভালো আছে।" তার এইসব আচরণ তার অসহায়ত্বকেই প্রকাশ করেছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:১০