somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আকাশে সাতটি তাঁরা

০৮ ই এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছেলে: আকাশে সাতটি তারা যখন উঠেছে ফুটে আমি এই ঘাসে

ব’সে থাকি; বাংলার নীল সন্ধ্যা-কেশবতী কন্যা যেন এসেছে আকাশে;

আমার চোখের পরে আমার মুখের পরে চুল তার ভাসে;

পৃথিবীর কোনো পথে এ কন্যারে দেখিনিকো-দেখি নাই অত

অজস্রচুলের চুমা হিজলে, কাঁঠালে , জামে ঝরে অবিরত,

জানি নাই এত স্নিগ্ধ গন্ধ ঝরে রূপসীর চুলের বিন্যাসে।



মেয়ে: পৃথিবীর কোনো পথে: নরম ধানের গন্ধ-কলমীর ঘ্রাণ,

কিশোরের পায়ের- দলা মুথাঘাস, – লাল লাল বটের ফলের

ব্যথিত গন্ধের ক্লান্ত নীরবতা- এরই মাঝে বাংলার প্রাণ ।

আকাশে সাতটি তারা যখন উঠেছে ফুটে আমি পাই টের।



ছেলে: আবার আকাশে অন্ধকার ঘন হয়ে উঠেছে :

যে আমাকে চিরদিন ভালোবেসেছে

অথচ যার মুখ আমি কোনোদিন দেখিনি, /সেই নারীর মতো

ফাল্গুন আকাশে অন্ধকার নিবিড় হয়ে উঠেছে।



মেয়ে: ফাল্গুনের অন্ধকার নিয়ে আসে সেই সমুদ্রপারের কাহিনী,

রামধনু রঙের কাচের জানালা,

ময়ূরের পেখমের মতো রঙিন পর্দায় পর্দায়

কক্ষ ও কক্ষান্তর থেকে আরো দুর কক্ষ ও কক্ষান্তরের

ক্ষণিক আভাস-



আয়ুহীন স্তব্ধতা ও বিস্ময়!

তোমার নগ্ন নির্জন হাত ।



ছেলে: রাতের বাতাস আসে

আকাশের নক্ষত্রগুলো জ্বলন্ত হয়ে ওঠে

যেন কারে ভালোবেসেছিলাম-

সমস্ত শরীর আকাশ রাত্রি নক্ষত্র-উজ্জ্বল হয়ে উঠছে তাই

আমি টের পাই সেই নগ্ন হাতের গন্ধের

সেই মহানুভব অনিঃশেষ আগুনের

রাতের বাতাসে শিখানীলাভ এই মানবহৃদয়ের

সেই অপর মানবীকে।

সে কে এক নারী এসে ডাকিল আমারে, বলিল:



মেয়ে: তোমারে চাই :

বেতের ফলের মতো নীলাভ ব্যথিত তোমার দুই চোখ

খুঁজেছি নক্ষত্রে আমি- কুয়াশার পাখনায়-

সন্ধ্যার নদীর জলে নামে যে আলোক

জোনাকির দেহ হতে- খুঁজেছি তোমারে সেইখানে-



ছেলে: নতুন সৌন্দর্য এক দেখিয়াছি- সকল অতীত

ঝেড়ে ফেলে- নতুন বসন্ত এক এসেছে জীবনে ;

শালিখেরা কাঁপিতেছে মাঠে মাঠে- সেইখানে শীত

শীত শুধু- তবুও আমার বুকে হৃদয়ের বনে

কখন অঘ্রান রাত শেষ হ’ল- পৌষ গেল চ’লে

যাহারে পাইনি রোমে বেবিলনে, সে এসেছে ব’লে।



মেয়ে: তুমি এই রাতের বাতাস ,বাতাসের সিন্ধু-ঢেউ

তোমার মতন কেউ নাই আর।

অন্ধকার নিঃসাড়তার মাঝখানে

তুমি আনো প্রাণে .সমুদ্রের ভাষা,

ব্যথিত জলের মতন,

রাতের বাতাস তুমি,- বাতাসের সিন্ধু- ঢেউ,

তোমার মতন কেউ নাই আর।



ছেলে: তোমার মুখের দিকে তাকালে এখনো

আমি সেই পৃথিবীর সমুদ্রের নীল,

নক্ষত্র, রাত্রির জল, যুবাদের ক্রন্দন সব-

শ্যামলী, করেছি অনুভব।

তোমার সৌন্দর্য নারি, অতীতের দানের মতন।

ধর্মাশোকের স্পষ্ট আহ্বানের মতো

আমাদের নিয়ে যায় ডেকে

তোমার মুখের স্নিগ্ধ প্রতিভার পানে।



মেয়ে: আমরা কিছু চেয়েছিলাম প্রিয়;

নক্ষত্র মেঘ আশা আলোর ঘরে

ঐ পৃথিবীর সূর্যসাগরে, ভেবেছিলাম,

পেয়ে যাবে প্রেমের স্পষ্ট গতি

সত্য সূর্যালোকের মতন;-



ছেলে: সবার ওপর তোমার আকাশপ্রতিম মুখে রয়েছে

সফল সকালের রৌদ্র।

সৃষ্টি ও সমাজের বিকেলের অন্ধকারের ভিতর

সকালবেলার প্রথম সূর্য-শিশিরের মতো সেই মুখ ;

জানে না কোথায় ছায়া পড়েছে আমার জীবনে,

সমস্ত অমৃতযোগের অন্তরীক্ষে।

আমাদের ভালোবাসা পথ কেটে নেবে এই পৃথিবীতে ;-

আমরা দুজনে এই বসে আছি আজ-ইচ্ছাহীন ;-

শালিক পায়রা মেঘ পড়ন্ত বেলার এই দিন

চারিদিকে ;-

এখানে গাছের পাতা যেতেছে হলুদ হ’য়ে- নিঃশব্দে উল্কার মতো ঝ’রে

একদিন তুমি এসে তবু এই হলুদ আঁচল রেখে ঘাসের ভিতরে শান্তি পাবে ।
ছেলে: আকাশে সাতটি তারা যখন উঠেছে ফুটে আমি এই ঘাসে

ব’সে থাকি; বাংলার নীল সন্ধ্যা-কেশবতী কন্যা যেন এসেছে আকাশে;

আমার চোখের পরে আমার মুখের পরে চুল তার ভাসে;

পৃথিবীর কোনো পথে এ কন্যারে দেখিনিকো-দেখি নাই অত

অজস্রচুলের চুমা হিজলে, কাঁঠালে , জামে ঝরে অবিরত,

জানি নাই এত স্নিগ্ধ গন্ধ ঝরে রূপসীর চুলের বিন্যাসে।



মেয়ে: পৃথিবীর কোনো পথে: নরম ধানের গন্ধ-কলমীর ঘ্রাণ,

কিশোরের পায়ের- দলা মুথাঘাস, – লাল লাল বটের ফলের

ব্যথিত গন্ধের ক্লান্ত নীরবতা- এরই মাঝে বাংলার প্রাণ ।

আকাশে সাতটি তারা যখন উঠেছে ফুটে আমি পাই টের।



ছেলে: আবার আকাশে অন্ধকার ঘন হয়ে উঠেছে :

যে আমাকে চিরদিন ভালোবেসেছে

অথচ যার মুখ আমি কোনোদিন দেখিনি, /সেই নারীর মতো

ফাল্গুন আকাশে অন্ধকার নিবিড় হয়ে উঠেছে।



মেয়ে: ফাল্গুনের অন্ধকার নিয়ে আসে সেই সমুদ্রপারের কাহিনী,

রামধনু রঙের কাচের জানালা,

ময়ূরের পেখমের মতো রঙিন পর্দায় পর্দায়

কক্ষ ও কক্ষান্তর থেকে আরো দুর কক্ষ ও কক্ষান্তরের

ক্ষণিক আভাস-



আয়ুহীন স্তব্ধতা ও বিস্ময়!

তোমার নগ্ন নির্জন হাত ।



ছেলে: রাতের বাতাস আসে

আকাশের নক্ষত্রগুলো জ্বলন্ত হয়ে ওঠে

যেন কারে ভালোবেসেছিলাম-

সমস্ত শরীর আকাশ রাত্রি নক্ষত্র-উজ্জ্বল হয়ে উঠছে তাই

আমি টের পাই সেই নগ্ন হাতের গন্ধের

সেই মহানুভব অনিঃশেষ আগুনের

রাতের বাতাসে শিখানীলাভ এই মানবহৃদয়ের

সেই অপর মানবীকে।

সে কে এক নারী এসে ডাকিল আমারে, বলিল:



মেয়ে: তোমারে চাই :

বেতের ফলের মতো নীলাভ ব্যথিত তোমার দুই চোখ

খুঁজেছি নক্ষত্রে আমি- কুয়াশার পাখনায়-

সন্ধ্যার নদীর জলে নামে যে আলোক

জোনাকির দেহ হতে- খুঁজেছি তোমারে সেইখানে-



ছেলে: নতুন সৌন্দর্য এক দেখিয়াছি- সকল অতীত

ঝেড়ে ফেলে- নতুন বসন্ত এক এসেছে জীবনে ;

শালিখেরা কাঁপিতেছে মাঠে মাঠে- সেইখানে শীত

শীত শুধু- তবুও আমার বুকে হৃদয়ের বনে

কখন অঘ্রান রাত শেষ হ’ল- পৌষ গেল চ’লে

যাহারে পাইনি রোমে বেবিলনে, সে এসেছে ব’লে।



মেয়ে: তুমি এই রাতের বাতাস ,বাতাসের সিন্ধু-ঢেউ

তোমার মতন কেউ নাই আর।

অন্ধকার নিঃসাড়তার মাঝখানে

তুমি আনো প্রাণে .সমুদ্রের ভাষা,

ব্যথিত জলের মতন,

রাতের বাতাস তুমি,- বাতাসের সিন্ধু- ঢেউ,

তোমার মতন কেউ নাই আর।



ছেলে: তোমার মুখের দিকে তাকালে এখনো

আমি সেই পৃথিবীর সমুদ্রের নীল,

নক্ষত্র, রাত্রির জল, যুবাদের ক্রন্দন সব-

শ্যামলী, করেছি অনুভব।

তোমার সৌন্দর্য নারি, অতীতের দানের মতন।

ধর্মাশোকের স্পষ্ট আহ্বানের মতো

আমাদের নিয়ে যায় ডেকে

তোমার মুখের স্নিগ্ধ প্রতিভার পানে।



মেয়ে: আমরা কিছু চেয়েছিলাম প্রিয়;

নক্ষত্র মেঘ আশা আলোর ঘরে

ঐ পৃথিবীর সূর্যসাগরে, ভেবেছিলাম,

পেয়ে যাবে প্রেমের স্পষ্ট গতি

সত্য সূর্যালোকের মতন;-



ছেলে: সবার ওপর তোমার আকাশপ্রতিম মুখে রয়েছে

সফল সকালের রৌদ্র।

সৃষ্টি ও সমাজের বিকেলের অন্ধকারের ভিতর

সকালবেলার প্রথম সূর্য-শিশিরের মতো সেই মুখ ;

জানে না কোথায় ছায়া পড়েছে আমার জীবনে,

সমস্ত অমৃতযোগের অন্তরীক্ষে।

আমাদের ভালোবাসা পথ কেটে নেবে এই পৃথিবীতে ;-

আমরা দুজনে এই বসে আছি আজ-ইচ্ছাহীন ;-

শালিক পায়রা মেঘ পড়ন্ত বেলার এই দিন

চারিদিকে ;-

এখানে গাছের পাতা যেতেছে হলুদ হ’য়ে- নিঃশব্দে উল্কার মতো ঝ’রে

একদিন তুমি এসে তবু এই হলুদ আঁচল রেখে ঘাসের ভিতরে শান্তি পাবে ।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×