somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমারা কি স্বাধীন দেশে বসবাস করছি?

০৮ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


যেখানে BSF এর গুলি করাতে দেশে এত তোলপার সেইখানে আমার দেশের ছেলেরা আমাদের ই শান্তিরক্ষা বাহিনী নামক RAB বাহিনী দ্বারা কেন বিনা বিচারে মারা পরছে ? আর কেনই বা সেটার কোন তদন্ত হচ্ছেনা?

প্রথম আলো তে এলাকায় আতঙ্ক ছড়াচ্ছে RAB এবং লিমনের কাটা পায়ের খোঁজে শিরোনামে লেখাটি পরে আমার শুধু একটি কথাই যান্তে ইচ্ছে কিরছে আমারা কি স্বাধীন দেশে বসবাস করছি?



[sbএলাকায় আতঙ্ক ছড়াচ্ছে র্যাধব]
কলেজছাত্র লিমন হোসেনের পায়ে র্যা বের গুলি করার ঘটনায় গণমাধ্যমে বক্তব্য দেওয়ায় ঝলকাঠির সাতুরিয়ায় লিমনের বাড়ির আশপাশের লোকদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে র্যারব। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে র্যায়ব ৮-এর সদস্যরা এলাকায় গিয়ে ভয়ভীতি দেখান বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, গতকাল সকাল আটটার দিকে আটটি মাইক্রোবাসে র্যাসব ৮-এর সদস্যরা এসে সাতুরিয়ার পুরান জমাদ্দারহাট সেতুসহ ওই গ্রামের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেন। তাঁরা বিভিন্ন লোকের নাম-পরিচয় জানতে চান। গণমাধ্যমকর্মীদেরও র্যাঁবের জেরার মুখে পড়তে হয়।
র্যা বের নিষ্ঠুরতার শিকার হয়ে পা হারানো কলেজছাত্র লিমনের মা হেনোয়ারা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, লিমনকে গুলি করার বিষয়ে স্থানীয় যাঁরা সাংবাদিকদের কাছে বক্তব্য দিয়েছেন, তাঁদের কাছে কৈফিয়ত চাওয়া হয়, কেন লিমনের পক্ষে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। এ সময় তাঁদের ভয়ভীতিও দেখানো হয়। র্যা ব গ্রামের অনেককে মুঠোফোনে ফোন করে তাদের কাছে আসতে বলে। এতে ফোন পাওয়া লোকজন একধরনের আত্মগোপনে চলে যান। এ অবস্থায় স্থানীয় লোকজন সাংবাদিকদের সঙ্গেও কথা বলতে ভয় পাচ্ছেন। গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত র্যাপবের সশস্ত্র সদস্যরা এলাকায় ঘোরাফেরা করেন।
র্যা ব ৮-এর অপর একটি দল গতকাল পিরোজপুরের কাউখালী সরকারি কলেজে যায়। তারা সেখানকার পরীক্ষাকেন্দ্রে কর্মরত কাঠালিয়া পিজিএস কারিগরি কলেজের অধ্যক্ষকে গাড়িতে তুলে ওই কলেজে নিয়ে আসে। র্যা বের সদস্যরা কলেজের হাজিরা খাতায় লিমনের উপস্থিতি কেমন ছিল তা দেখেন। অধ্যক্ষ নাসিরউদ্দিন মাহমুদ বলেন, লিমনের উপস্থিতি সন্তোষজনক ছিল। পরে র্যােব আবার কাউখালী সরকারি কলেজে তাঁকে পৌঁছে দেয়।
লিমনের বিরুদ্ধে র্যা বের দেওয়া দুটি মামলার তদন্তক কর্মকর্তা ঝালকাঠির রাজাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আরিফুল ইসলাম জানান, লিমন গুলিবিদ্ধ হওয়ার আগে তার বিরুদ্ধে থানায় একটি মারামারির মামলা ছিল। তবে মামলার বাদীর নাম, স্থান ও তারিখ সম্পর্কে তিনি বিস্তারিত তথ্য জানাতে পারেননি। দুই দিন আগে তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, লিমনের বিরুদ্ধে থানায় কোনো মামলা বা জিডি নেই।
জানতে চাইলে ঝালকাঠি জেলার পুলিশ সুপার মো. শামসুদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্ত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি নিজেও বিষয়টির খোঁজখবর নিচ্ছেন।
গত ২৩ মার্চ বিকেলে কলেজছাত্র লিমন হোসেন ঝালকাঠির সাতুরিয়া গ্রামের মাঠ থেকে গরু আনতে যায়। পথে স্থানীয় শহীদ জমাদ্দারের বাড়ির সামনে র্যা ব ৮-এর একটি দল তাকে সামনে পেয়ে জামার কলার ধরে নাম জিজ্ঞাসা করে। লিমন নিজেকে ছাত্র বলে পরিচয় দিলে র্যামবের এক সদস্য কোনো কথাবার্তা ছাড়াই তার বাঁ পায়ের ঊরুতে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করেন। লিমন পিরোজপুরের কাউখালির কাঠালিয়া পিজিএস কারিগরি কলেজের উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণীর ছাত্র। তার বাবা তোফাজ্জল হোসেন দিনমজুরি করে সংসার চালান। লিমন পড়ালেখার খরচ চালাতে স্থানীয় একটি ইটভাটায় কাজ করত


লিমনের কাটা পায়ের খোঁজে
সঙ্গের ছবিটি দেখুন, ভালো করে তাকান। ওখানে যেখানটায় সাদা ব্যান্ডেজের স্তূপ, সেখানটায় আস্ত একটা পা ছিল। পুত্রশোক বড় শোক। যে লোকটি ছেলেটিকে উঠে বসাচ্ছেন, তিনি বাবা। পেছনে যিনি দাঁড়িয়ে, তিনি মা। ছেলেটির বয়স বড়জোর আঠারো। সকালে সে গরু চরায়, দুপুরে কামলা খাটে ইটভাটায়, রাতে পড়তে বসে। প্রতিটি অক্ষর, প্রতিটি লাইন, প্রতিটি পৃষ্ঠার জন্য সারা দিন সে গতর খাটে। পড়ার সময়টাই তার স্বপ্নের সময়। তখন ভুলে যায় সে এক দরিদ্র রাখাল, সে এক ইটভাটার মজুর, সে এক অভাবী পরিবারের সন্তান; তখন সে রাখালরাজা। এ ধরনের ছেলেরা মাতৃমুখী হয়। গরিবের সন্তান সে, হিমালয়ে ওঠার স্বপ্ন তার নেই। স্বপ্ন কেবল দুঃখিনী মাকে সুখী করার, বাবার মুখের হাসি দেখার। তার সেই স্বপ্নের নাম: নিজের পায়ে দাঁড়ানো। পা-ই তার আত্মবিশ্বাসের খুঁটি, যাতে ভর দিয়ে সে উঠে দাঁড়াবে। হাঁটবে একবারের জন্য পাওয়া এই পৃথিবীর বুকে। সেই পায়েই বিনা দোষে গুলি করেছে র্যাবব।
সেই পা-টাই কাটা পড়েছে। ঊরুর কাছ থেকে কাটা পড়া বাঁ পা এখন লিমনের আঠারো বছরের স্বপ্নের সঙ্গে পচছে কোনো ভাগাড়ে। লিমন আর লিমন নেই, এই লিমন অর্ধেক লিমন, তার জীবন এক পায়ে দাঁড়ানো টলমল। আমরা তাকে ভুলে যাওয়ার পরও সে এক পায়ে জীবনের দৌড় চালিয়ে যাবে। যাওয়া ছাড়া তার উপায় নেই। এক পায়ে খোঁড়াতে খোঁড়াতে সে আবারও হাঁটবে পৃথিবীর পথে। আর কেবলই পিছিয়ে যাবে। পৃথিবীর তাতে দুঃখ হবে, কিন্তু সরকারযন্ত্রের কিছুই হবে না। রাষ্ট্র কী পাষাণ! পাথরে আঘাত লাগলে তো শব্দ হয়, আওয়াজ করলে প্রতিধ্বনি করে পাথর। রাষ্ট্র কি পাথরের থেকেও কঠিন? অনুভূতিহীন?
দুই দিন গেল, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নির্বাক। মন্ত্রীদের কি হূদয় নেই, বিবেক নেই? একজন তবু কেঁদেছেন। একজনের অশ্রু আর লিমনের অশ্রু তবু মিলতে পেরেছে। মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান লিমনকে দেখতে গিয়ে অঝোরে কেঁদেছেন, ফরিয়াদ করেছেন, তদন্ত চেয়েছেন। আর কী চাইতে পারেন তিনি? সহমর্মিতার কান্না মানুষকে মানুষ করে, মানবিক করে। যাত্রাপালায় কত রাজা-বাদশা-সেনাপতি আর উজির-নাজির। তারা হাসে আর ডায়ালগ ছাড়ে। কিন্তু কাঁদে কেবল দুয়োরানি আর তার হতভাগা সন্তানেরা। তাদের দুঃখে কাঁদে কেবল বিবেক। যেমন আমাদের গুমরানো কান্না মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের চোখের অশ্রু পেয়েছে। যাত্রার রাজা-উজিররা একসময় তাদের ভুল বুঝতে পারে। আমাদের রাজা-উজিররা কি তাঁদের ভুল বুঝতে পারছেন? তাঁরা একটু মানবিক হলে দেশটাকে মানুষের দেশ মনে হতো।
যে র্যাটব সদস্যটি লিমনের পায়ে গুলি করেছিল, তারও কি আনন্দের অভাব পড়েছিল? লিমন তো প্রাণে বেঁচে গেছে, কিন্তু কত লিমন যে পঙ্গু হয়েছে, কত নিরপরাধের যে লাশ পড়েছে, কত পরিবার যে পুত্রশোকে স্তব্ধ হয়েছে, কত নারী বিধবা হয়েছে, কত সন্তান বাবা হারিয়েছে, তার হিসাব কে দেবে? হিসাবের দায় কেবল মানবাধিকার সংস্থাগুলোর? সরকারি বাহিনী কিংবা খোদ সরকার কি তাহলে মানবাধিকারবিরোধী? তাঁদের বিবেকও কি লিমনের পায়ের মতো কাটা পড়েছে? লিমনের পঙ্গুত্ব পায়ে, তাঁদের পঙ্গুত্ব কি চেতনায়!
অনেক দুঃখে রাগ জাগে। রাগটা অক্ষম। যে গেছে, সে তো গেছেই। যেমন আজিজ মার্কেটের শফি চলে গেছে। শফি গিটার বাজিয়ে গান গাইত, কবিতা লিখত, কম্পিউটারের দোকানে কম্পোজ করত। অসম্ভব লাজুক আর শান্ত এক তরুণ ছিল সে। অনেক দিন তাকে দেখিনি। তারও অনেক দিন পরে শুনলাম, সিরাজগঞ্জে যমুনার পাড়ে তার ‘ক্রসফায়ার’ হয়েছে। শফি বা লিমনকে আমরা ভুলে যাব। যে দুঃখ সওয়া যায় না, তা ভুলে যেতে হয়। সেই দুঃখের লাশ নদী দিয়ে ভেসে যায়।
কিন্তু ভুলে যেতে যেতে কোথায় গিয়ে দাঁড়াচ্ছি আমরা? সবারই তো জীবন একটা, দেশও একটা। এক জীবনে সুস্থ-সভ্য একটা দেশ কি আমাদের পাওনা ছিল না? যশোরের সেই বুড়ির কথা ভেবে ভরসা পাই। প্রান্তরের মধ্যে বুড়ির ঘর। শুধু ঘর নয়, বেশ একটু জমির ওপর ঘর। তিন কুলে বুড়ির কেউ নেই। একা থাকেন, একা খান, একাই ঘুমান। জমিখেকোরা তক্কে তক্কে থাকে। বুড়ি মরলে কি আর জমি মরবে? ঘর ধসবে? বুড়ির ওয়ারিশান নেই, জোর যার এই জমি হবে তার। বুড়ি ভয়ে আর ঘুমান না। রাতে বাড়ির আশপাশে টর্চ জ্বলতে দেখেন। ঘরের চালে ঢিল পড়ে। তবু বুড়ি ঘর ছাড়েন না। তিনি বরং কুপির সলতেটা আরও চাগিয়ে দিয়ে উঠে বসেন। ভেবে ভেবে আত্মরক্ষার একটা বুদ্ধিও বের করেন। রাত হলে খেয়েদেয়ে কাঁসার একটা কলস আর বাঁশের ডালঘুঁটনিটা নিয়ে বসেন। তারপর সারা রাত দুলে দুলে সারা জীবনের জানা সব গীত গান আর তালে তালে কাঁসার কলসটা পেটান। পড়শিদের বলা আছে, ডাকাত এলে গীত থামবে, আমি মরলে বাজনা থামবে। তোমরা বুঝে নিয়ো, তোমরা সাড়া দিয়ো। বুড়ি গাইতে থাকেন আর ডঙ্কা বাজান। লোকে ঘুমের মধ্যেও কান পাতে: আওয়াজ আসছে, বুড়ি বাজছে। বুড়ি সশস্ত্র। বুড়ি সতর্ক। বুড়ি অতন্দ্র।
কোথাও ঘণ্টা বাজছে, কোথাও বীভৎস অন্যায় হচ্ছে, কোথাও কেউ পঙ্গু হচ্ছে, কোথাও কেউ মরে যাচ্ছে ক্রসফায়ারে। আমরা কি শুনতে পাই, আমরা কি আছি, আমরা কি বাজি? আমরা কি সাড়া দিই?
ফারুক ওয়াসিফ: সাংবাদিক।
৮টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেভাবে শরণার্থীরা একটি দেশের মালিক হয়ে গেলো!

লিখেছেন মাঈনউদ্দিন মইনুল, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৬



এবার একটি সেমিনারে প্রথমবারের মতো একজন জর্ডানির সাথে পরিচয় হয়। রাসেম আল-গুল। ঘনকালো মাথার চুল, বলিষ্ট দেহ, উজ্জ্বল বর্ণ, দাড়ি-গোঁফ সবই আছে। না খাটো, না লম্বা। বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। প্রতিটি সেশন... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ২

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২


Almost at half distance, on flight CX830.

পূর্বের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×