somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রামছাগুদের জন্য মওদুদীর ছেলের মজাদার সাক্ষাৎকার (বাংলা তর্জমা সহ)

০৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

///"তিনি আমাদেরকে জামাত থেকে এমনভাবে দূরে রেখেছেন, যেভাবে মাদকদ্রব্যের পুরিয়া বিক্রি করে যে লোক- সে তার পুরিয়াভর্তি বস্তা বাসার বাইরে রেখে আসে। ... একজন মাদকব্যবসায়ীর মত। এবং সেজন্য আমি তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ, যে তিনি আমাদেরকে এসবের মধ্যে জড়াননি।"///



উপস্থাপক: আজ আমি আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে চাই- সাঈদ (আবুল আলা মওদুদী)’র ছেলে হায়দার ফারুক মওদুদীর সাথে, যিনি এদের (জামাত) সামনে একটা দেয়ালের মত প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন।
(সালাম বিনিময়)
উপস্থাপক: জনাব, বলুনতো, সমস্যা কী? চারদিকে যা কিছু হচ্ছে, কেন?
হায়দার ফারুক মওদুদী: আপনি একটু আগে বলেছেন, “জামাতের ওই লোক কারা, যারা সাঈদির সাথে কাজ করেছেন?” আজকের অবস্থা এই: কাজী হোসেইন আহমদ, মনোয়ার হোসেন, ***(নাম বুঝতে পারিনি) এরা সব জামাতের লোক। এরা আমাদের এলাকায় যতসব গুন্ডামী, ডাকাতী, তছনছ করেছে- সবকিছু এখন জামাতের পুরো নেতৃত্ব নিয়ে পুরো দেশজুড়ে করতে চায়। আপনার হয়তো মনে নেই, মুজিবের একটা সমাবেশে এরা হামলা করে সমাবেশ পন্ড করে দেয়, তাঁকে সমাবেশ করতে দেয়নি। সবকিছু আগুন লাগিয়ে দেয়। মুজিব যাবার সময় বলে গিয়েছিলেন, “মওদুদী, তুমি আমার দেশের মাটিতে পা রেখে দেখাও সাহস থাকলে।” তিনি (মওদুদী) সত্যি সত্যি ঢাকায় অবতরণ করেছিলেন, কিন্তু সমাবেশস্থল পর্যন্ত আর যেতে পারিননি। ভাসানীর গালে চড় মেরেছিলো, তার দাঁড়ি টেনে ছিড়ে ফেলেছিলো, চোখের মধ্যে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে দিয়েছিলো। তারপর ওরা আর্মি আর আইএসআই এর সাথে এক হয়ে আলবদর আর আলশামস গঠন করে বাংলাদেশে। খুররাম মুরাদ তার ইনচার্জ ছিলো। হামুদুর রহমান কমিশন সাক্ষী আছে- খুররাম মুরাদ শয়তান বদমাইশ, ১৫ জন করে বাঙালি এক লাইনে দাঁড় করিয়ে থ্রিনটথ্রি দিয়ে গুলি করে মেরেছে। ওরা এই দেশের বুনিয়াদ নড়বড়ে করে ফেলেছে এসব কাজ করে। ধর্মের নামে গুন্ডামী, বদমাশী, মারামারী- এসবের কারণেই এসব হয়েছে। আমরাও তার ফল ভোগ করছি।
উপস্থাপক: দেখুন, আসল বিষয়ে আসুন। আমরা যে বিষয়ে আজকের অনুষ্ঠান আয়োজন করেছি...
হায়দার: দেখুন, আমি সেই বিষয়েই কথা বলছি। আমাকে আমার কথা আগে শেষ করতে দিন। দেখুন, ওরা যেসব কাজ করেছে, যেভাবে মানুষ খুন করেছে, তারপর মানুষ যখন আমাদের কাছে বিচার চাইতে এসেছে, তখন তারা বলেছে- “আমাদের বিরোধিতা কোরোনা, দেশের বিরোধিতা কোরোনা। যদি করো, তাহলে এটাই হবে। যা হয়েছে ঠিকই হয়েছে।” ওই লোকগুলার অভিশাপ আজকে আমাদের কাছে এসে পৌঁছেছে। ওদের অভিশাপের কারণেই আজকে আমাদের দেশে এসবকিছু হচ্ছে। আর আমরা এসব দেখে চুপচাপ মেনে নিচ্ছি। আমাদের কুকুর আমাদেরকেই আঁচড়ে কামড়ে ছিন্নভিন্ন করে ফেলছে- আমাদের সাথে এটাই হওয়া উচিত।
উপস্থাপক: একটা কথা বলুন, যখন কাজী হোসেইন আহমেদ ছিলেন- তখন কি এরকম ছিলো?
হায়দার: প্রথম হামলা তো সেই করিয়েছিলো! আমি পাকিস্তানে ছিলাম না, তখন আমি ভারতে। ওদের দেড়-দুইশ ছেলে এসেছিলো, আমার বাসা থেকে আমার সব মালপত্র বাইরে ফেলে দিয়েছিলো। আমার বউ-বাচ্চাকে একটা বদ্ধ ঘরে আটকে রেখেছিলো তিনদিন, ওদেরকে বাইরে বেরোতে দেয়নি। তারপর যখন আমার স্ত্রী থানায় গিয়েছে, পুলিশ বলেছে- জামাতের আমীর নিষেধ করেছে এফআইআর লিখতে। এরপর আমি হাইকোর্টে গিয়েছিলাম, সেখানে গিয়ে এফআইআর লিখিয়েছি। সেটা নিয়ে পুলিশের কাছে গিয়েছি, পুলিশ বলেছে- জামাতের বিরুদ্ধে কাজ করতে হলে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হবে। আমার কাছে এত টাকা ছিলোনা। এরপরে ওরা ওই ফাইল গুম করে ফেলেছিলো, আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
উপস্থাপক: দেখুন, ব্যাপারটা খুব সামান্য। আজকে এই ঘরের মূল্য কত? খুব বেশি না। জামাত অনেক ধনী, ওদের অনেক টাকাপয়সা। ওরা আপনার ঘর নিয়ে কী করবে?
হায়দার: জামাত ধনী না গরীব আমি জানিনা। তবে আমি জানি- জামাতের নেতারা শত শত কোটি টাকার মালিক। ধর্মের নামে লুটপাট করে ওরা বড়লোক হয়েছে। আপনার সামনে ওদের ধনদৌলতের হিসাব নিয়ে বসলে আপনি নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারবেন না।
উপস্থাপক: আপনি কাদের কথা বলছেন?
হায়দার: আমি এসব লোকের কথাই বলছি। এমনকি, কাজী তার সাক্ষাতকারেও বলেছিলো- যে সে একজন মৌলভি ছিলো, আর তার ঘরে একটা মাত্র কুপি জ্বলতো। আজকে তার ইসলামাবাদের বাড়িটা কোত্থেকে আসলো? সে কি ব্যবসায়ী? কী ব্যবসা করে? আপনি আমাকে বলুন! সে তো নিজেই বলেছে- সে নওয়াজ শরীফের কাছ থেকে ১৪ কোটি টাকা নিয়েছে। প্রথমে অস্বীকার করেছিলো, পরে ফাঁস হয়ে যাওয়ার পরে স্বীকার করেছে। বলেছে, জিহাদ-ই-কাশমীর ফান্ডের জন্য নিয়েছে- কিন্তু সেই টাকা কোথায় কীভাবে খরচ হয়েছে তার কোনো হিসাব পাওয়া যায়নি।
উপস্থাপক: জামাতের যেসব নেতা এখন আর বেঁচে নেই- তাঁদের প্রসঙ্গে আসি। রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র চলে, নওয়াজ শরীফের ছেলেও রাজনীতিতে আসলে আমরা বলি- পার্টি কি নওয়াজ শরীফের পারিবারিক সম্পত্তি? তো, আপনি আমাকে বলুন, জামাত কি কাজী হোসেইন আহমদের ছেলের পারিবারিক সম্পত্তি? খলিল আহমদীর ছেলের পারিবারিক সম্পত্তি?
হায়দার: পারিবারিক সম্পত্তি যদি না হয়ে থাকে, শুধু মওদুদীর ছেলের পারিবারিক সম্পত্তি না, বাকি সবার সম্পত্তি।
উপস্থাপক: কেন?
হায়দার: তিনি আমাদেরকে জামাত থেকে এমনভাবে দূরে রেখেছেন, যেভাবে মাদকদ্রব্যের পুরিয়া বিক্রি করে যে লোক- সে তার পুরিয়াভর্তি বস্তা বাসার বাইরে রেখে আসে। ... একজন মাদকব্যবসায়ীর মত। এবং সেজন্য আমি তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ, যে তিনি আমাদেরকে এসবের মধ্যে জড়াননি। আমাদের প্রতি নির্দেশ ছিলো- আমাদের নয় ভাইবোনের কেউ যেন জামাতের কোনোকিছুর মধ্যে না যায়। একেবারে ড্রাগ ব্যবসায়ীর মত... সবকিছু ঘরের বাইরে রেখে তিনি ঘরে আসতেন... আমাদের কেউ যদি দূর থেকেও দাঁড়িয়ে জামাতের কোনো সমাবেশ দেখতাম- আমাদেরকে তিনি তাড়িয়ে দিতেন, সেখানে থাকতে দিতেন না।
উপস্থাপক: কেন? কেন তিনি এমন করতেন?
হায়দার: তিনি জানতেন- এর (জামাত) ফলাফল কী দাঁড়াবে শেষ পর্যন্ত। তারপরও দেখুন, গুন্ডা-বদমাশরা এখনও আমাদের উপর চড়াও হয়, আক্রমণ করে।
উপস্থাপক: তাহলে কি আপনি বলবেন, জামাত সাঈদি (মওদুদী)-র দর্শন ভুলে গেছে, পরিত্যাগ করেছে?
হায়দার: জামাতীদের মতে, জামাতের বিরুদ্ধে যারা যায় সবাই কাফের। আপনাকে মনে করিয়ে দিতে চাই, যখন জামাত গঠন করা হচ্ছিলো, ৪১ সালে, মওলানা আবুল কালাম আজাদ আমার বাবাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন- “তুমি জামাত যে বানাচ্ছো, তার সম্পর্কে আমাকে বলো।” তিনি জামাতের লিখিত ম্যানিফেস্টো তাঁকে দিলেন। মওলানা বললে, “কালকে তোমার সাথে এ বিষয়ে কথা বলবো।” পরদিন বাবা তাঁর সাথে দেখা করলে তিনি বলেন- “এই যে তুমি দল বানাচ্ছো, সেটা একটা ফ্যাসিস্ট দল হবে।” আপনি জামাতী বই পড়ে দেখেন- এটা একটা ফ্যাসিস্ট দর্শন। সবকিছু জামাতের আমীরের নির্দেশে হয়, সেনাবাহিনীর মত, কেউ চ্যালেঞ্জ করতে পারবে না। খুব জঘন্য ব্যবস্থা এটা। আল্লাহ আমাদেরকে রক্ষা করুন সে দিন থেকে, যেদিন এই ধর্মপিশাচদের হাতে এই দেশের ক্ষমতা চলে যায়।
উপস্থাপক: আমার মনে আছে, আমি একবার মিয়া তোফায়েল মোহাম্মদের ইন্টারভিউ করেছিলাম। সেটা পাকিস্তানের সমস্ত পত্রিকায় ছাপা হয়েছিলো। তিনি বলেছিলেন, কাজী হোসেইন আহমেদকে তিনি যখন জামাত দিয়েছিলেন, সেটা ছিলো দুধের মত বিশুদ্ধ। কাজী হোসেইন আহমেদ এটাকে অপবিত্র দূষিত করে ফেলেছে। তিনি এমন মনে করতেন কাজী সাহেবের সম্পর্কে। আপনি কি মনে করেন- মিয়া সাহেব বেঁচে থাকাকালিন সময়েই জামাত তার দর্শন থেকে বিচ্যুত হয়ে গিয়েছিলো?
হায়দার: আমার প্রচন্ড ক্ষোভ রয়েছে মিয়া সাহেবের প্রতি। আমার বাবা তাঁর জন্য অনেক কিছু করেছেন। কিন্তু আমার বাবা যখন অপারগ হয়ে তাঁর কাছে কিছু টাকা চেয়ে চিঠি লিখেছিলেন হাসপাতালের বিল দেওয়ার জন্য, তিনি বলেছিলেন, “জামাতের টাকা দল চালানোর জন্য, আপনার ব্যক্তিগত কাজের জন্য না।” তিনি সে চিঠিটা পড়ার পর তাঁর চোখ দিয়ে পানি পড়া শুরু হয়, আর তিনি বলেন, “ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন”। ডক্টর আহমদ ফারুক ছিলেন, তিনি বললেন, বাবা এখন ঠিক হয়ে গেছেন। পরদিন তাঁকে বাসায় ফেরত নিয়ে আসার কথা। তখন খুররাম মুরাদ আসলো, বললো জামাতের কিছু বিষয়ে বাবার সাথে কথা বলতে তাঁকে পাঠানো হয়েছে। আমি বললাম, তাঁর সাথে দেখা করা যাবেনা, ডাক্তারের নিষেধ আছে। তিনি বললেন, খুব জরুরী কথা আছে। বাবাকে গিয়ে বললাম, বাবাও অবাক হলেন- “এমন কী গুরুত্বপূর্ণ কথা থাকতে পারে? যাক, তাকে ডেকে আনো, দেখি কী বলতে চায়।” তিনি ভেতরে এসে আমাকে বের করে দিলেন। আমি বের হয়ে আসার দুই মিনিটের মধ্যে বাবা হার্ট এটাকে মারা যায়। এই শয়তানটা কী করেছিলো জানিনা, বাবার মুখে থুথু দিয়েছিলো, দাড়ি ধরে টেনেছিলো, না কলার ধরেছিলো, নাকি গালি দিয়েছিলো জানিনা। তাঁর জানাযার পরে আমি মিয়া সাহেবের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম- এমন কী কথা ছিলো, যেটা শুনে তিনি মারা গেলেন? মিয়া সাহেব বললেন, তিনি কোনো মেসেজ পাঠাননি। এরপর আমি খুররাম মুরাদের কাছে যাই, সে আমাকে যাচ্ছেতাই গালিগালাজ করে, বাবাকে গালি দেয়। বলে, “তোমার বাবার বই এখন পড়ে কে? সবাই আমার বই পড়ে এখন।” আমি এসব শুনে ওখান থেকে চলে আসি। এসব কথা অন রেকর্ড, আপনি খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন। আমি জানিনা, আমার বাবা এরকম কাজ কেন করেছিলো। তার পাপের ফল আমরা ভোগ করছি এখন। আমি কানে ধরছি, সবার কাছে হাতজোড় করছি।
উপস্থাপক: আচ্ছা বলুন তো, এখন পরিস্থিতি অনেক খারাপ হয়ে গেছে। আপনার বাসার তালা ভেঙে দিয়েছে, আপনার বাসায় যাবার আগেও মানুষ এখন দু’বার চিন্তা করে, সাহস পায় না।
হায়দার: সাংবাদিকরা আসতে চেয়েছিলো, ওরা হামলা চালায়। বলে- ভেতরে যেতে চাইলে ওরা ক্যামেরা ভেঙে ফেলবে। ভেতরে আসতে দেয়নি।
উপস্থাপক: আমি এখানে এসেছি, কীভাবে এসেছি- সেটা আমিও জানি, আপনিও জানেন। প্রশ্ন হচ্ছে, এ সমস্যার সমাধান কী? এটা আপনার পারিবারিক সম্পত্তি, নয় ভাইবোন আপনারা। এই সমস্যা সমাধানের জন্য কি মওদুদী সাহেবের পুরাতন বন্ধুরা, সহকর্মীরা একসাথে বসতে পারেন না?
হায়দার: আমি পাকিস্তানে আমার বাবার সব বন্ধুদের কাছে আপীল করি, তাঁরা আসুক, এসে জামাতকে এখান থেকে বাইরে সরিয়ে নিয়ে যাক। আমাদেরকে নিস্তার দিক। আমরা কারো সাথে ঝগড়া করতে চাইনা, আমরা কারো ক্ষতি করিনি।
উপস্থাপক: আদালতে কেস চলছে, সেটার ফয়সালা হয়নি কেন এখনও?
হায়দার: আদালতের রায় পাওয়ার জন্য তিনটা জিনিস দরকার। লম্বা আয়ু, অসীম ধৈর্য আর সাত রাজার ধন। ২৩ বছর হয়ে গেলো, এখনও প্রিলিমিনারী ডিক্রি পাস হয়নি। কেস যে অবস্থায় ছিলো, এখনও সেরকমই আছে। কোনো অগ্রগতি হয়নি। ছোটো প্রপার্টি, মালিক কে- সেটাও পরিষ্কার। তার উত্তরাধিকারী কারা- সেটাও পরিষ্কার। সোজাসাপ্টা কেস, কিন্তু তাও কিছু হচ্ছে না। যে লাইব্রেরিটার ব্যাপারে আদালতে স্টে-অর্ডার এসেছিলো, সেটাও জামাতের লোকজন তালা ভেঙে দখল করে নিয়েছে। সব বই নিয়ে গেছে, ফার্নিচারগুলোও দখল করেছে। থানায় গেলে ওরা বলে, আইএসআই আর সেনাবাহিনী ওদেরকে নিষেধ করেছে কোনোকিছু করতে। জামাতের বিরুদ্ধে কোনো কেস করা যায় না। পুলিশের এক্তিয়ার নেই। বলে, “আপনি হয় হাইকোর্ট যান, অথবা আইএসআইয়ের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে আসুন।” এখন বলুন, জামাত তো আইএসআইয়ের কাছ থেকেই পয়সা পায়, আইএসআইয়ের জন্যই কাজ করে। আইএসআই কেন আমার কথা শুনবে? এই *** (নাম বুঝতে পারিনি) আগে এনএসএফ করতো, পরে সিআইএ তাকে জামাতে ঢুকিয়েছে। তার আগে দাড়ি ছিলো না, সে গীটার বাজাতো। আপনার মনে আছে, মিয়া সাহেব যখন জামাতের আমীর ছিলেন, বলেছিলেন, পরবর্তী আমীর কাজী হোসেইন আহমেদ হবে।
উপস্থাপক: দেখুন, আপনি বলছেন, দেশের লোকও আপনার কথা শুনছে। দেশে আইন-আদালত আছে। আপনার কেস ২৩ বছর ধরে চলছে। কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। আপনি চীফ জাস্টিসের সাথে কথা বলেন না কেন?
হায়দার: হাই কোর্টের চীফ জাস্টিস জামাতের লোক, জামাতের সব গুন্ডামীতে তিনি সবার সামনে থাকতেন। তিনি এখন চীফ জাস্টিস। তাঁর কাছে যাবো জামাতের বিচার চাইতে? তাঁর কাছে আপীল করবো? পাকিস্তানের জনগণকে বলতে চাই, আজকে ওরা আমাদের সাথে যা করছে, কালকে আপনাদের সবার সাথেও তা-ই করবে। আল্লাহ আমাদের দেশকে জামাতে ইসলামীর শাসন থেকে রক্ষা করুন। শুধু জামাত না, আল্লাহ্‌র কাছে আমি প্রার্থনা করি, ধর্মের নামে যারা রাজনীতি করে, তাদের কাছ থেকে যেন তিনি এ দেশকে রক্ষা করেন।
উপস্থাপক: যারা আপনার সাথে সুবিচার করতে পারেনি...
হায়দার: ... তারা দেশকে কী দেবে, আর দেশের জনগণকে কী দেবে?
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:০৭
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মাটির কাছে যেতেই..

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

মাটির কাছে
যেতেই..


ছবি কৃতজ্ঞতাঃ https://pixabay.com/

ঠিক যেন
খা খা রোদ্দুর চারদিকে
চৈত্রের দাবদাহ দাবানলে
জ্বলে জ্বলে অঙ্গার ছাই ভস্ম
গোটা প্রান্তর
বন্ধ স্তব্ধ
পাখিদের আনাগোনাও

স্বপ্নবোনা মন আজ
উদাস মরুভূমি
মরা নদীর মত
স্রোতহীন নিস্তেজ-
আজ আর স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাকা ভাংতি করার মেশিন দরকার

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:১০

চলুন আজকে একটা সমস্যার কথা বলি৷ একটা সময় মানুষের মধ্যে আন্তরিকতা ছিল৷ চাইলেই টাকা ভাংতি পাওয়া যেতো৷ এখন কেউ টাকা ভাংতি দিতে চায়না৷ কারো হাতে অনেক খুচরা টাকা দেখছেন৷ তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

বেলা ব‌য়ে যায়

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩০


সূর্যটা বল‌ছে সকাল
অথছ আমার সন্ধ্যা
টের পেলামনা ক‌বে কখন
ফু‌টে‌ছে রজনীগন্ধ্যা।

বাতা‌সে ক‌বে মি‌লি‌য়ে গে‌ছে
গোলাপ গোলাপ গন্ধ
ছু‌টে‌ছি কেবল ছু‌টে‌ছি কোথায়?
পথ হা‌রি‌য়ে অন্ধ।

সূর্যটা কাল উঠ‌বে আবার
আবা‌রো হ‌বে সকাল
পাকা চু‌ল ধবল সকলি
দেখ‌ছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পর্ণআসক্ত সেকুলার ঢাবি অধ্যাপকের কি আর হিজাব পছন্দ হবে!

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৩ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:২৭



ইন্দোনেশিয়ায় জাকার্তায় অনুষ্ঠিত একটা প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জিতেছে বাংলাদেশি নারীদের একটা রোবোটিক্স টিম। এই খবর শেয়ার করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপিকা। সেখানে কমেন্ট করে বসেছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্মস্মৃতি: কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ২৩ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:১৪


কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়
আমার বাবা-কাকারা সর্বমোট সাত ভাই, আর ফুফু দুইজন। সবমিলিয়ে নয়জন। একজন নাকি জন্মের পর মারা গিয়েছেন। এ কথা বলাই বাহুল্য যে, আমার পিতামহ কামেল লোক ছিলেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×