somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমি অলটাইম জুনিয়র :((:-/

০৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি মনে হয় সবসময় জুনিয়র হয়েই রয়ে গেলাম । ছোটবেলায় যখন ক্রিকেট খেলতে যেতাম এলাকার বড় ভাইরা আমাকে সবার শেষে নামাইয়া দিতো, অনেকবারতো ব্যাটিং না পেয়ে কাদতে কাদতে ভাবতাম আমার থেকে দুখী মনে হয় আর দুনিয়াতে নাই ।

আমার প্রাইমারী স্কুল লাইফটা অনেকটা রাজার হালেই চালাইয়া গেছিলাম, কারন মা স্কুল টিচার হওয়াতে পোলাপাইন আমাকে ভীষন ভয় না পাইলেও সম্মান করে চলতো । তাই এখানে সিনিয়র জুনিয়র ব্যপারটা ছিলোনা, ক্লাস ওয়ান থেকে শুরু করে ফাইভের সব পোলাপাইনই জানতো আমার মা তাদের টিচার । সম্মান না কইরা আর যাইবো কই :P

স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে যখন হাই স্কুলে উঠলাম, ভাবলাম নাহ আমারে আর ঠেকায় কে ?? আমি এখন বড় হইয়া গেছি !! B-);) । কিন্তু সিক্সের প্রথম ক্লাশেই স্যাররা ঠিকই মনে করাইয়া দিলো, পাছায় চার পাচটা বেত্রাঘাত কইরা :((:((। অপরাধ আসিলো পলাইয়া সালমান শাহর ছবি দেখার ছোট্টখাটো mistake, আর কথায় কথায় খালি কইতো শরীর থেকে এখনো প্রাইমারীর গন্ধ যায় নাই । তখন দেখতাম নাইনের বড় ভাইরা হেব্বি মুডে থাকে আর মেলা ক্ষমতা, মাইয়াও থাকে ২-৩টা সাথে সাথে, আর যেহেতু টেনের পোলাপাইন পাশ কইরা কয়দিন পর চইলা যাইবো তাই তারা একটু চুপচাপ থাকে । তখন ভাবতাম কবে নাইনে উঠুম :P । নাইন থেকে একটা গল্প মনে পইরা গেলো, একবার পরীক্ষার সময় নাইনের এক বড় ভাইয়ের সিট পরলো আমার সাথে, সে দেখি আমার থেকে দেখে দেখে লিখতাছে । আমি কইলাম ভাই আমি পড়ি সিক্সে আপনে বড় ক্লাসে পইড়া আমার থেকে কি দেখে লিখেন ? সে কইলো তোমারো আসছে শব্দ কাকে বলে আর আমারো আসছে শব্দ কাকে বলে? আমি এটা মনে করতে পারতেছিনা তাই তোমার কাছ থেকে দেখতাছি । বুকটা কেমন যেনো গর্বে ভইরা গেলো, বড় ভাইরা যেটা পড়ে আমিও সেইটা পারি । আমি কইলাম আচ্ছা ভাই দেখেন “নো প্রব্লেম” । কিন্তু পরীক্ষা থেকে বাহির হইয়া শুনি বড় ভাইগো ছিলো বাংলা ২য় পত্র পরীক্ষা আর আমাদের ছিলো বিজ্ঞান পরীক্ষা ...হা হা হাহ হাহাহা । এইবার বুঝুক ঠেলা, শব্দের কত্ত ঝামেলা !!! ::P:P
তো পাশ করতে করতে নাইনে উঠেই গেলাম । যাহ শালা এইবারতো আমি সিনিয়র, সিনিয়র হবার ব্যপক ইচ্ছা জাগার কারন ছিলো আমরা পাইছিলাম টিনের রুম [সিনিয়ররা সবসময় পাকা আর মজবুত বেঞ্চে পড়াশোনা করিত] । সিনিয়র হওয়ার পরেও আমাদের পাকা রুম জুটিলো না, ভেরি সেড /:) । কেন জুটিলনা তার কারন এখনও খুজিয়া পাই নাই, তবে কিছু কিছু স্যারের মুখে শুনতাম বলতো “ তোমারা চলে যাইবা কয়দিন পর পাশ কইরা, পাকা রুম দিয়া কি করিবা, এতোদিন ত্যাগ স্বীকার করছো যখন এতোটুকু কস্ট মাইনা লও” । থাক স্যারদের নামে খারাপ কিছু বলার অভিপ্রায় থাকলেও বললামনা্‌...শত হইলেও গুরুমানুষ । হাইস্কুল লাইফেও সিনিয়র স্টুডেন্টের সুযোগ-সুবিধাদি থেকে বঞ্চিত হইলাম ।
কলেজ লাইফে কি আর বলমু দুঃখের কথা, মনে হইলো যেন আবার নতুন করে শুরু করা । এদিক-ওদিক আর চিপাচাপা দিয়া শুধু সিনিয়রের ছড়াছড়ি । রেগিং কি জিনিস সেটা দেখার দুর্ভাগ্য হলেও বড়ই মজা পাইছিলাম [ কি করা হইছিলো সেটা বলতে চাইতাছিনা ] । কলেজ লাইফটা কেন জানি সবকিছু বুঝতে বুঝতেই চইলা যায়, তখন চিন্তা-ভাবনা ছাড়া উড়াধুরাভাবে সময়টা দৌড় দিয়া পলাইয়া যায়, তাই সিনিয়র-জুনিয়র নিয়ে সময় কাটানোর বেইল নাই ।
ভার্সিটি লাইফে এইখানে কে সিনিয়র আর কে জুনিয়র সেটা বুঝতেই পারলামনা, আমার ব্যাচের সবাই দেখি আমার বয়স থেকে ৪-৫ বছরে বড় [একি আজুবারে বাবা !!] । এইখানে ২-৩টা গার্লফ্রেন্ড নিয়া না ঘুরলে কারো স্ট্যাটাসই থাকেনা !!![আমার নাইতো তাই একটু রেগে গেলাম আরকি] । আর মাইয়ারাও মেলা সেয়ানা পোলাপাইনগুলারে হাতের আঙ্গুলের ডগায় রেখে নাচায় । থাক আমার কি ?? আমি সিনিয়র-জুনিয়র নিয়াই প্যাচাল পারি । ভার্সিটিতে সিনিয়র ভাইদের কথা আর কি বলমু, এরাতো পারলে কথা দিয়াই দুনিয়ার একাংশ নিজের নামে দলিল কইরা ফালায়, অলটাইম সিনিয়র সিনিয়র ভাব নিয়া ফুটায় ।
এখন ওইরকম সিনিয়রদের ফুটানি দেখতে দেখতে আমিও সিনিয়র হইয়া গেলাম, মাগার ভাবসাবে এখনো জুনিয়র :((:(( । বহুত প্যাচাল পারছি আর ভালা লাগতাছেনা, আর যারা এইটা পড়ছেন তাদের ধন্যবাদ দিয়া খাটো করুমনা, আচ্ছা ধন্যবাদ দিয়াই দিলাম । আসলে এতোবড় লেখা আমি ব্লগে এই প্রথম লিখলাম, তাই হয়তোবা অগোছালো লেখা ...ওকে আমি এখন ঘুমাইই zzzzzzzzzzzzzzzzzzB-)B-)


সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:৩৭
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারতে পচা রুটি ভাত ও কাঠের গুঁড়ায় তৈরি হচ্ছে মসলা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩০

আমরা প্রচুর পরিমানে ভারতীয় রান্নার মশলা কিনি এবং নিত্য রান্নায় যোগ করে খাই । কিন্তু আমাদের জানা নেই কি অখাদ্য কুখাদ্য খাচ্ছি দিন কে দিন । এর কিছু বিবরন নিচে... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাফসান দ্য ছোট ভাই এর এক আউডি গাড়ি আপনাদের হৃদয় অশান্ত কইরা ফেলল!

লিখেছেন ব্রাত্য রাইসু, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫২

রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের প্রতি আপনাদের ঈর্ষার কোনো কারণ দেখি না।

আউডি গাড়ি কিনছে ইনফ্লুয়েন্সার হইয়া, তো তার বাবা ঋণখেলাপী কিনা এই লইয়া এখন আপনারা নিজেদের অক্ষমতারে জাস্টিফাই করতে নামছেন!

এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×