somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সত্যদ্রষ্টা, যুগাচার্য শ্রীমৎ স্বামী প্রণবানন্দজী মহারাজের বাণী

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

লক্ষ্য কি?- মহামুক্তি, আত্মতত্ত্বোপলব্ধি।
ধর্ম কি ?- ত্যাগ, সংযম, সত্য, বহ্মচর্য।
মহামৃত্যু কি ?- আত্মবিস্মৃতি।
প্রকৃত জীবন কি?- আত্মবোধ, আত্মস্মৃতি, আত্মানুভূতি।
মহাপূণ্য কি ?- বীরত্ব, পুরুষত্ব, মনুষ্যত্ব, মুমুক্ষত্ব (মুক্তি পাওয়ার ইচ্ছা)
মহা পাপ কি ?- দুর্বলতা, ভীরুতা, কাপুরুষতা, সংকীর্ণতা, স্বার্থপরতা।
মহাশক্তি কি ?- ধৈর্য, স্থৈর্য, সহিষ্ণুতা।
মহাসম্বল কি ?- আত্মবিশ্বাস, আত্মনির্ভরতা, আত্মমর্যদা।
মহাশত্রু কি?- আলস্য, নিদ্রা, তন্দ্রা, জড়তা, রিপু ও ইন্দ্রিয়গণ।
পরম মিত্র কি ?- উদ্যম, উৎসাহ, অধ্যাবসায়।


লক্ষ্য কি?
স্বামী প্রণবানন্দের কম্বুনিনাদ- “মহামুক্তি, আত্মতত্ত্বোপলব্ধিই সর্বমানবের অবিরোধী পরম লক্ষ্য।” মুক্তির স্বরূপ ব্যাখ্যায় যিনি যাহাই বন্ধন- স্বর্গ, অপবর্গ বেহেস্ত Heaven , বৈকুন্ঠ, কৈলাস, শিবলোক, ব্রহ্মলোক, ব্রহ্মনির্বাণ, শূন্যনির্র্বাণ- সকল সম্প্রদায়ই চাহেন অন্তিমে এমন এক শাশ্বত ভূমিতে অধিষ্ঠিত হইতে যেখানে হইতে জন্ম-মৃত্যুময় এই নশ্বর সংসারে আর পতন নাই। মুক্তি সম্বন্ধে ধারণাও কল্পনা যাহার যাহাই থাকুক, মুক্তির পরমানন্দ সকলেরই কাম্য। অবশ্য আত্মতত্ত্বোপলব্ধি ও মহামুক্তি সমার্থক। আত্মার স্বরূপ উপলব্ধি হইলেই জীব মুক্ত হয়। তবে যাহারা এই দর্শন অনুসরণ করেন না, তাঁহাদের ক্ষেত্রেও আত্মতত্ত্বোপলব্ধির সন্দেশ নিরর্থক নহে। কারণ, নিজের সম্বন্ধে নিজের কোনও বিরোধ কি কাহারো আছে? আপন সত্তার নিভৃতে যে অনন্ত জ্ঞান, অনন্ত শক্তি, অনন্ত আনন্দ, অনন্ত বীর্য, অমেয়া প্রতিভা ও দীপ্তি ঘুমাইয়া আছে, তাহার উদ্বোধন-প্রকাশ-বিকাশ কে না চাহিবেন? আত্মানুশীলন ও আত্মবিকাশের নিরন্তর সাধনা কোন্ ধর্মে বা কোন্ মত-পথে নাই ?



ধর্ম কি ?
স্বামী প্রণবানন্দের উত্তর – “ত্যাগ, সংযম, সত্য, ব্রহ্মচর্যই বিশ্বজনীন নিত্য ধর্ম। বলা বাহুল্য-ধর্মের এই অভিনব সংজ্ঞা সকল বিতর্কের অতীত। ধর্মের বহিরাবরণ বা খোসাভূষি বাদ দিলে সার বস্তু যাহা অবশিষ্ট থাকে, তাহা এই ত্যাগ, সংযম, , সত্য ও ব্রহ্মচর্যের নিষ্ঠা ধর্মীয় সাধনার শূন্যতা পূরণ করিবে আর ধর্মজগতে আনিবে এক নিঃশব্দ বিপ্লব। যেমন বর্ষার অশ্রান্ত বারিধারা মৃতকল্প বৃক্ষলতাগুল্মের ভিতরে নূতন সজীবতা আনয়ন করিয়া সেগুলিকে প্রভূত সতেজ করিয়া তোলে, তেমনি ত্যাগ, সংযম, সত্য ও ব্রহ্মচার্যের সাধনা সর্বস্তরের ও সর্সম্প্রদায়ের ধর্মমতের ভিতরেই নব প্রাণচেতনা সঞ্চারে সমর্থ আর এই ভূমিতেই ধর্মীয় দ্বন্দ্বের অবসানের অনুকূল ক্ষেত্র প্রস্তুত সম্ভব। কারণ, এক ধর্মের সহিত অন্য ধর্মের যে বিরোধ ও কলহ তা বস্তুতঃ খোসাভূষির প্রশ্ন। ধর্মের যথার্থ সার বস্তুর আস্বাদ পাইলে খোসাভূষি লইয়া কে কুরুক্ষেত্র বাধাইতে যাইবে ?


মহামৃত্যু কি ? প্রকৃত জীবন কি ?
স্বামী প্রণবানন্দ “আত্মবিস্মৃতি”কে বলিয়াছেন মহামৃত্যু। জড়দেহপিন্ড হইতে প্রাণ নামক বস্তুটি উৎক্রমণের নাম-মৃত্যু। কিন্তু আত্মবিবেক যদি চরিয়া যায়, তবে তাহা মহামৃত্যু। জড়দেহের জৈব মৃত্যু জীবনের একবার মাত্রই ঘটে। কিন্তু আত্মবিবেক জীবনের মহামৃত্যু প্রতি দিনের প্রতি মুহুর্তের বেদনাদায়ক ঘটনা। “আমি ঈশ্বরের সৃষ্ট শ্রেষ্ঠ জীব” অথবা “আমি চৈতন্যময় পরমাত্মারই অংশসম্ভুত” সুতরাং আমার স্বরূপ, স্বভাব, শক্তি, মহিমা দিব্য, ঐশ্বরীয়- এই স্মৃতি, এই অনুভূতি যখন পরিপূর্ণ মাত্রায় জাগ্রত ও জীবন্ত থাকে এবং ঈশ্বরমুখী চিন্তা-ভাবনা, কর্ম, আচরণাদি লইয়া মানুষ সুন্দর, সুশৃঙ্খল, পবিত্র ও দিব্য জীবনধারা লইয়া অবস্থান করে, তখনই লাভ হয় মহাজীবনের সর্বোত্তম পরম প্রসাদ। তাই আত্মবোধ, আত্মস্মৃতি ও আত্মানুভূতিকেই বলা হইয়াছে প্রকৃত জীবন। কস্তুরী মৃগ জানে না, যে চিত্তহারী গন্ধের বিকীরিত আনন্দে সে উন্মাদ; সেই গন্ধ বাহিরে নাই, আছে তাহার নিজেরই ভিতরে। মানুষ জানে না, যে আনন্দের আস্বাদনের সন্ধানে সে বাহিরে এত ছুটাছুটি করে, সে আনন্দ বস্তুতঃ বৈষয়িক কোন বাহ্য বস্তুতে নাই। আছে তাহার নিজের সত্তার অতি গভীরে। চিত্ত অর্ন্তমুখী বা ঈশ্বরমুখী হইলেই সেই দিব্য আনন্দের প্রমাণ পাওয়া যায়।
আত্মবিস্মৃতি মানুষকে ঈশ্বর-সান্নিধ্য হইতে দূরে- অতি দূরে সরাইয়া নিয়া পাপকর্মে প্ররোচিত করে এবং অন্তিমে তাহাকে নিরয়ে ডুবায়। আর আত্মস্মৃতি, আত্মবোধ ও আত্মানুভূতি মানুষকে ঈশ্বরীয় ভাব এবং ঈশ্বরীয় চেতনায় নিত্য জাগ্রৎ রাখিয়া ধর্মনিষ্ঠার অনুপ্রেরণার মাধ্যমে পরিণামে তাহাকে ঈশ্বর সান্নিধ্যে পৌঁছাইয়া দেয়। কি হিন্দু, কি অহিন্দু- প্রত্যেক ধর্মীয় দর্শনেই তো প্রায় এই একই কথা- হয়তো বিচারে কিঞ্চিৎ উনিশ-বিশ পার্থক্য থাকিলেও থাকিতে পারে।


মহাপুণ্য কি ? মহাপাপ কি ?

আচার্যের সিদ্ধান্ত- “বীরত্ব, পুরুষত্ব, মনুষ্যত্ব ও মুমুক্ষুত্বই মহাপুণ্য। আর দূর্বলতা, ভীরুতা, কাপুরুষতা, সঙ্কীর্ণতা ও স্বার্থপরতাই মহাপাপ। পাপ ও পুন্য- সকল ধর্মমতেই স্বীকৃত। স্বধর্মনিষ্ঠ হইয়া ঈশ্বরারাধনার সঙ্গে সঙ্গে সর্বদা নানা সদানুষ্ঠানে ব্রতী থাকাই পুন্য। কিন্তু বীরত্ব, পুরুষত্ব, মনুষ্যত্ব ও মুমুক্ষুত্বকে মহাপুণ্য বলা হইল, আর দূর্বলতা, ভীরুতা, কাপুরুষতা, সঙ্কীর্ণতা ও স্বার্থপরতাকে বলা হইল মহাপাপ। কারণ চুরি, ডাকাতি, অনাচার, ইন্দ্রিয়াসক্তি, ব্যভিচারাদি পাপ বটে। কিন্তু এই সকল অপপ্রবৃত্তি চিত্তদৌর্ল্য হইতে উদ্ভুত। ভীরুতা ও কাপুরুষতার বশে মানুষ এই সকল প্রলোভনের সহিত সংগ্রামে পরাভূত এবং পাপকর্মাদের শিকারে পরিণত। আর সঙ্কীণতা ও স্বার্থপরতার বশে মানুষ না পারে এমন নীচ কর্ম নাই। সকল পাপের মূল হইল দুর্বলতাদি দুর্গুণ, তাই এই সকল পাপের বিরুদ্ধে নিরন্তর সংগ্রাম পূর্বক আত্মজয়ী হইতে হয়। এজন্যই চাই অন্তর্নিহিত বীরত্ব ও পৌরুষের মহাজাগরণ। জৈবীভাব বা পশুভাবের নিরাকৃতির প্রয়োজনে মনুষ্যত্ববোধের অনুশীলন অপরিহার্য। আর তৎসহ চাই-মুক্তির ইচ্ছাকে চিত্তে নিরন্তর জাগরুক রাখা। বীরত্ব ও পুরুষত্ব পাপের ও পাপীর বিরুদ্ধে সংগ্রাম ব্রহ্মাস্ত্রস্বরূপ; আর মনুষ্যত্ব ও মুমুক্ষুত্ব নিরত্বর ধর্মনিষ্ঠা, ঈশ্বরানুরাগ এবং সৎকর্মানুষ্ঠানে মানুষকে অনুপ্রেরণা দেয়, পুণ্যময় জীবনে তাহাকে বিধৃত করিয়া রাখে। বীর্যবান ও পৌরুষদৃপ্ত সাধক মনুষ্যত্বের মহিমাকে জীবনে প্রতিষ্ঠা দিয়া অবশেষে অমিত পুণ্যপ্রভাবে দেবত্বের ভূমিতে পর্ন্ত উন্নীত হইতে পারে। “মানুষের মাঝে স্বর্গ-নরক, মানুষেতে সুরাসুর।” পাপে-নরক, পুণ্যে-স্বর্গ; পুণ্যকর্মা মানুষই দেবতা, আর পাপাচারীই অনুরপদবাচ্য। তাই পুন্য এবং পাপের উৎসটিকেই বুঝিতে হয়। মানুষ্য-জীবনের চূড়ান্ত লক্ষ্য সাধনে যাহা যাহা চূড়ান্ত সাহায্যকারী, তাহাই মহাপুণ্য; আর যাহা সেই লক্ষ্য সাধনের চূড়ান্ত প্রতিবন্ধক, যাহা লক্ষ্যচ্যুতি ঘটাইয়া মানুষের ইহকাল ও পরকালে সর্বনাশ আমন্ত্রণ করিয়া আনে, তাহাই মহাপাপ। যুগাচার্য স্বামী প্রণবানন্দ পাপ-পুণ্য সম্বন্ধে আমাদের প্রচলিত প্রত্যয় ও ধারণাকে পূর্ণতা ও বলিষ্ঠতা দিতেই বলিয়াছেন- বীরত্ব, পুরুষত্ব, মনুষ্যত্ব, মুমুক্ষুত্বই মহাপুন্য; আর দুর্বলতা, ভীরুতা, কাপুরুষতা, সঙ্কীর্ণতা ও স্বার্থপরতাই মহাপাপ।


মহাশক্তি কি ?
স্বামী প্রণবানন্দের ধর্মসিদ্ধান্তে ধৈর্য, স্থৈয্য ও সহিষ্ণুতা মহাশক্তি। শরীরের শক্তিও শক্তি বটে। সেই শক্তিও আবশ্যিক। কিন্তু শারীরিক শক্তি তো পশুতেই বিদ্যমান। একট হস্তী বা একটি সিংহ বা ব্যাঘ্রের শক্তি যে কোন মানুষ্যাপেক্ষা বহু গুণে অধিক, আর তাহাদের সাহসও অসাধারণ। কিন্তু মানুষ কি শুধু শারীরিক শক্তি লইয়াই অহঙ্কৃত হইবে? মানুষের ভিতরে নৈতিক ও আত্মিক শক্তিরও জাগরণ চাই। কিন্তু লক্ষ্য সাধনে প্রতিকূলতা- ভিতরে ও বাহিরে আছে সুখ-দুঃখ, ভাল-মন্দ, শীত-উষ্ণ, পাপ-পুণ্য, জয় পরাজয়াদি বিচিত্র দ্বন্দ্ব। এই সকল প্রতিকূলতার সহিত অবিরাম সংগ্রাম করিয়াই মানুষকে আত্মবিকাশের সাধনা করিতে হয়। এই দুর্দম প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে নিরন্তর ঘোর সংগ্রামে টিকিয়া থাকার যে বীর্য তাহাই ধৈর্য, স্থৈর্য ও সহিষ্ণুতা। সামান্য ঘাত-প্রতিঘাতেই যে সংগ্রামক্ষেত্র হইতে পশ্চাদপসরণ করে, তিষ্ঠিতে পারে না, সে তো ভীরু, কাপুরুষ, ক্লীব। সে কদাপি সংগ্রামজয়ী হইতে পারে কি ? পারে না।
প্রতিকূলতার আঘাত সহ্য করিতে হয়। আঘাতের পর আঘাত খাইয়াও স্থির অবিচল থাকিয়া সর্বশক্তি প্রয়োগে পাপবৃত্তির বিরুদ্ধে প্রত্যাঘাত হানিতে হয়। ইহাই জীবন-সংগ্রাম। এই জীবন-সংগ্রামে শক্তিদান করে ধৈর্য, স্থৈর্য ও সহিষ্ণুতা। তাই ধৈর্য, স্থৈর্য ও সহিষ্ণুতা মহাশক্তি।


মহাসম্বল কি ?
“জীবনের লক্ষ্য সাধনের-আত্মবিশ্বাস, আত্মনির্ভরতা ও আত্মমর্যাদা- মহাসম্বল।” স্বামী প্রণবানন্দের এই সিদ্ধান্তও সার্বভৌমিক সার্বদেশিক। আমি অকর্মণ্য বা অপদার্থ নহি। আমি অসাধ্য-সাধনেও সমর্থ, আমার ভিতরে অমিত তেজোবীর্য বিদ্যমান- এই প্রতীতির নামই আত্মবিশ্বাস। আর যে অন্যের মুখাপেক্ষী না হইয়া নিজের শক্তির উপর নির্ভরপূর্ক নিজে উঠিয়া দাঁড়াইবার যে অধ্যবসায় তাহাই আত্মনির্ভরতা। ইংরেজী বচনেও আছে Self help is the best help. নিজের চেষ্টা না থাকিলে কেহ কি তাহাকে তুঙ্গে তুলিয়া দিতে পারে? নিজের শক্তির উপর নিজের আস্থা, শ্রদ্ধা ও মর্যাদা পোষণের নামই আত্মমর্যদা। ইংরেজীতে যাহাকে বলা হয় self dignity. জীবনের বহু প্রলোভন ও পতন হইতে সতত রক্ষা করে এই আত্মমর্যদাবোধ। সমগ্রভাবে আত্মবিশ্বাস, আত্মনির্ভরতা ও আত্মমর্যাদার মহাসম্বলে যিনি দৃপ্ত, জীবনের সকল ক্ষেত্রেই তিনি সাফল্যের যোগ্য অধিকারী।

মহাশত্রু কি ? পরম মিত্র কি ?
যুগধর্মপ্রবক্তা আচার্য আলস্য, নিদ্রা, তন্দ্রা, জড়তা, রিপু ও ইন্দ্রিয়গণকে বলিয়াছেন মহাশত্রু। আর উদ্যম, উৎসাহ ও অধ্যবসায়কে বলিয়াছেন-পরমমিত্র। শত্রু ও মিত্র সম্বন্ধে নুতন পরিচয়। ব্যবহারিক ক্ষেত্রে ঘরে ও বাহিরে মানুষের শত্রু ও মিত্র বহু ও বিচিত্র। যাহারা প্রতিকূলতাকারী তাহারা শত্রু আর যাহারা আনুকূল্য করে তাহারা মিত্র। কিন্তু জীবনের সর্ববিধ অভীষ্টলাভের প্রচন্ড অন্তরায় হইয় আলস্য, নিদ্রা, তন্দ্রা, জড়তা, রিপু ও ইন্দ্রিয়গণ। তাই এগুলি মহাশত্রু। সাধারণ বহিঃশত্রুর অপেক্ষা বহুগুণ ক্ষতিসাধক বলিয়াই ইহারা মহাশত্রু অভিধায় চিহ্নিত। আলস্যাদি তমোগুণ মানুষকে কর্মকুণ্ঠা করিয়া গাছ-পাথরে পরিণত করে, আর রিপু ও ইন্দ্রিয়গণ ঘটায় তাহার চারিত্রিক অধঃপতন। কিন্তু বিশুদ্ধ রজোগুণদৃপ্ত উদ্যম, উৎসাহ ও অধ্যবসায় এই অবক্ষয় হইতে মুক্তি দিয়া মানুষকে অভীষ্টসাধনে সর্বাপেক্ষা তৎপর ও কর্মোদ্দীপ্ত করিয়া তোলে, তাহাকে অফুরন্ত সাহচর্য ও প্রাণপ্রাচুর্য যোগায়, গভীর নৈরাশ্যে আশার আলোক সঞ্চার করে, ক্ষণিক পরাজয়ে আবার উঠিয়া দাঁড়াইয়া কঠিন সংগ্রামের শক্তি জাগাইয়া দেয়। তাই ইহারা পরম মিত্র। যদি দেখ, তোমার চতুষ্টার্শ্বে তোমাকে সাহায্য করার মত আর কোন বান্ধব নাই, তবে ভীত ও মুহ্যমা হইও না। উদ্যম, উৎসাহ ও অধ্যবসায় অবলম্বন কর। “বিজয় অবশ্যম্ভাবী।”
(আচার্য স্বামী প্রণবানন্দ ও শ্রীশ্রীপ্রণব মঠ” – স্বামী নির্মলানন্দ।)
বিশদ আলোচনার জন্য সঙ্ঘপ্রকাশিত “ওঁ যুগমন্ত্র শ্রীশ্রী সঙ্ঘবাণী” পড়ুন।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

নিজে বাঁচো— আমাদেরও বাঁচাও ।

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ২৩ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:২০



ষোলকোটি মানুষের জন্য
যারা যোগাড় করে অন্ন
তাদের কথা ভাবি
তাদেরও যে আছে দাবি
ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য ।
উজানে আন্তনদী সংযোগে
ও নিত্য নতুন বাঁধ বিনির্মাণে
বদলে যায় নদী প্রবাহ— বাড়ে যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পর্ণআসক্ত সেকুলার ঢাবি অধ্যাপকের কি আর হিজাব পছন্দ হবে!

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৩ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:২৭



ইন্দোনেশিয়ায় জাকার্তায় অনুষ্ঠিত একটা প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জিতেছে বাংলাদেশি নারীদের একটা রোবোটিক্স টিম। এই খবর শেয়ার করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপিকা। সেখানে কমেন্ট করে বসেছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্মস্মৃতি: কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ২৩ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:১৪


কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়
আমার বাবা-কাকারা সর্বমোট সাত ভাই, আর ফুফু দুইজন। সবমিলিয়ে নয়জন। একজন নাকি জন্মের পর মারা গিয়েছেন। এ কথা বলাই বাহুল্য যে, আমার পিতামহ কামেল লোক ছিলেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বেনজিরের হালচাল

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:০৫

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।




স্ত্রী জিশান মির্জা এবং দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে অঢেল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙালী মেয়েরা বোরখা পড়ছে আল্লাহর ভয়ে নাকি পুরুষের এটেনশান পেতে?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৩ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:২০


সকলে লক্ষ্য করেছেন যে,বেশ কিছু বছর যাবৎ বাঙালী মেয়েরা বোরখা হিজাব ইত্যাদি বেশি পড়ছে। কেউ জোর করে চাপিয়ে না দিলে অর্থাৎ মেয়েরা যদি নিজ নিজ ইচ্ছায় বোরখা পড়ে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×