গালি গালাজ এক ধরনের প্রশান্তি আনে।হাসছেন, হাসলেও ব্যপারটা সত্যি।আপনি কাউকে অপছন্দ করেন, ব্যটাকে মারতে ইচ্ছ্বা করে? কিন্তু সামাজিক এবং নানা সমস্যার কথা চিন্তা করে মারতে পারেন না।ঠিক এ সময় আপনি তার নামে কিছু গালি উৎসগ করুন।দেখবেন কেমন যেন সুখ সুখ অনুভুতিতে মন ও শরীর ভরে উঠছে।আমি নিজের অভিজ্ঞতায় বলছি, আমি তো সকাল বিকাল আমাদের রাজনীতিবিদদের 14generation উদ্বার করি। এই উদ্বারে আমি সহযোগিতা পাই আমার কিছু বন্ধু,চা দোকানদার, বাসের যাত্রীসহ বাংলার আপামর জনতার।কারন বাংলার রাজনীতি করেন আর গালি খাবেন না এমন হয় না।মজার ব্যপার হল বাংলাদেশে যত মানুষ আছে (রাজনীতিবিদ ছাড়া),কেউ কি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন? যে কেউ কোনদিন, কোন রাজনীতিবিদকে, কখনও একটি গালিও দেননি।যদি এমন হয় তবে সেটাই তাদের ভাগ্য।তবে আমি বলতে পারি আমাদের যারা রাজনীতি করেন তারা নিশ্চয় গালি হজম বিষয়ক কোন কোচিং করে আসেন।তা না হলে কোন স্বাভাবিক মানুষের পক্ষে এত গালি হজম করা সম্ভব না। অবশ্যই আমার এক বুদ্বিজীবি বন্ধুর মতে বাংলাদেশে দু ধরনের প্রাণী আছে মানুষ আর রাজনীতিবিদ।
আমাদের চট্টগ্রামে ৭ নম্বর বাস নামক একটা বাস আছে।যে বাসের প্রধান উদ্দেশ্য হল কত আস্তে গন্তব্যে যাওয়া যায়।এবং সাথে সাথে যাত্রীদের কতরকম গালি হজম করা যায়।আমার এক বন্ধু আমাকে বলল সে নাকি গালি দিতে পারে না।আমি তাকে নিয়ে চড়লাম ৭ নম্বর বাসে।সে রীতিমত অভিভূত।আমি নিশ্চিত যদি কেউ ৭ নম্বর বাসে ভ্রমন করেন,প্রতিবার ভ্রমনে আপনি শিখবেন নতুন নতুন গালি।যাত্রীরা কত গালি কত ভাবে দেয়,দিতে দিতে যাত্রীরা ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।আর তখন ড্রাইভার কে দেখে মনে হয় তার দাদী মজার কোন কিসসা বলছেন।রাজপূত্র এল বলে।আহা কি সেই ধৈয্য।এমন সহনশীলতা কেবল বাংলা রচনায় দেখা যায়।শুধু ৭ নম্বর বাস নয়,প্রতিটি লোকাল বাসে উঠার আগে আমি চিন্তা করি ”আজ নতুন কিছু শিখব”
এবার আসুন আমরা ড্রাইভার এবং আমাদের রাজনীতিবিধদের একটা মেলবন্ধন রচনা করি।কেন ড্রাইভাররা রাজনীতিবিদদের চেয়ে ভাল?কারন হল খারাপ হলে ও ড্রাইভাররা দিনশেষে আমাদের উপকার করে।আর রাজনীতিবিদরা যে আমাদের কি কি করে এবং কি কি করতে পারে আমরা আবাল জনতা এখন ও পুরোটা দেখিনি।আমরা তাদের কিছুই করতে পারি না।খালি নিজের মনে মনে গালি দিতে পারি।তাতেও যদি ক্ষোভ না মেটে জোরে জোরে গালি দিই।গালিতে আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে দিই।
গালি খেয়ে যদি মরে যাওয়ার নিয়ম হত (ব্যপারটা এমন হতে পারে কোন ব্যক্তি ২ লাখ গালি শুনলে সে মারা যাবে) তাহলে আমদের রাজনীতিবিদরা এতদিনে পরপারের রাজনীতিতে নামত(ঢেঁকি বেহেশতে গেলেও ধান বানে)।আর আমরা গালি বিহীন একটা দেশ পেতাম।মাঝে মাঝে জানতে ইচ্ছা করে একটা গালি গননার আয়োজন করলে কেমন হত?? যেখানে সারা দেশের মানুষ ভোট দিবে কাকে সে গালি বেশি দেয়, কি কি গালি দেয়।SMS এর মাধ্যমে এই আয়োজন করা যেতে পারে।বছর শেষে দেয়া হবে শ্রেষ্ট গালি খাদকের পুরস্কার।সেখানে রাজনীতিবিদদের আশে পাশে ও কেউ যাবে কিনা আমার প্রশ্ন।
আসুন মনের ক্ষোভ মেটানোর জন্য গালি দিই,তবে কখনও গালির Miss Use করবেন না।আমাদের ক্রিকেট দলকে গালি দিবেন না।তারা আমদের অত্যন্ত প্রিয়।আরেকটা ব্যপার কিছু কিছু ব্যক্তির জন্য গালি খারাপ না,বরং ভাল।কারা।সে ব্যক্তি হল আপনার বন্ধু।প্রিয় বন্ধুকে গালি দিয়ে সম্বোধন করা আমাদের সংস্কৃতির মধ্যে পড়ে।কেউ মানেন আর না মানেন প্রিয় বন্ধুকে গালি দিয়ে কথা বলার মধ্যে খারাপ কিছু নেই।আমি দিই হরমামেশাই,এবং খাই হরহামেশাই।