somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

টাটা নেনো-এটা কি একটা গাড়ি না পালকি না ভেলকি?

০৩ রা এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

চীন যে কোন জিনিষ যেকোন মূল্যে তৈরী করে দিতে পারে, এবং দেয়, এরকম একটা কথা আমাদের ব্যবসায়ীক মহলে ব্যপক প্রচলিত। কিন্তু ভারত যেটা করে সেটা আরও বেশি হাস্যকর, আরো বেশি বালখিল্য। ওনাদের গাড়ি নির্মাতা প্রতিস্ঠান টাটা, এমন সব বালছাল অঙ্গিকার নিয়ে রাস্তায় নামে যে সেটা দেশের জন্য কোন কমিটমেণ্ট নয় বরং হয়ে যায় মরনফাঁদ। গতবছর ওনারা বেশ ঢাঁকঢোল বাজিয়ে এক লক্ষ টাকায় একটা গাড়ি পাবলিকের হাতে তুলে দেয়ার অঙ্গিকার নিয়ে ছাড়লেন নেনো। যার সর্বোচ্চ গতি ১০৫ কিমি(৬৫ মাইল), ওজন ৬০০ কেজি এবং ইঞ্জিনের ক্ষমতা ৬২৩ সিসি। এর মধ্যে বিক্রি হয়েছে ৭ লাখ গাড়ি আরো ২ লাখের মত অর্ডার পাইপলাইনে আছে এবছর। ওনাদের কথা, " ইন্ডিয়ার রাস্তায় যখন দেখা যায় একটা মটরবাইকে ঠাসাঠাসি করে মা-বাব এবং আরো দুই সন্তান জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় চলছে, তখন তাদের কস্টের কথা চিন্তা করে আমরা এনেছি এই নেনো স্যলুশন।" এটা কি বালের স্যলুশন? এতে না আছে এ্যারকন্ডিশন, না আছে এ্যারব্যাগ, না আছে শক্ত কোন বাম্পার। এর সাথে ঐ মটরবাইকের পার্থক্য থাকল কোথায়? পার্থক্য শুধু একটা জায়গাতে-মটরবাইক চলে দু চাকার উপর ওপেন এয়ারে আর নেনো চলে চার চাকায় ক্লোজ ডোরে। এক্সিডেন্ট হলে রিস্ক অব ফ্যাটালিটি দুটোতেই সমান। বরং আমার মনে হয় নেনোতেই বেশি।কারন এর বডি বানান হয়েছে পাতলা ব্লেডের মত টিন দিয়ে, উয়িন্ড শিল্ডটা হবে হয়ত হারিকেনের কাঁচের মত পাতলা, আর অন্যান্য বাকিসব আর. এফ. এল এর প্লাস্টিক দিয়ে তৈরী। সুতরাং দূর্ঘটনা ঘটলে ভিতরের মানুষ ছিটকিনি খুলে (অটো লক নেই) বেরতো বেরোতে হায়াত অর্ধেক শেষ।এরপর রেস্কুটিম আসতে আসতে হায়াতের বাকি অর্ধেক নাই। সবশেষে গাড়ি যাবে কটকটিআলার দোকানে, মানুষগুলো যাবে গোরস্তানে অথবা শশানে।

এর ধরনের গাড়িতে পাবলিকে সল্পপয়সায় চড়ানোর কি কোন দরকার আছে? গাড়ি কি সার্কাসের নাগোরদোলা যে অসাবধানে কেউ পড়ে গেলে ব্যাথা পাবে কিন্তু আহত বা নিহত হবে না? যে জিনিষটি চলে এত গতিতে, সেটা নিয়ে ফাজলামোর কি দরকার? যার সামর্থ আছে সে চড়বে প্রাইভেটে আর যার সামর্থ নেই সে চড়বে পাবলিকে। সহজ কথা। গরিবকে চাঁদে নেয়ার কথা বলে অক্সিজেন বিহীন অন্ধকার ঘরে ঢুকিয়ে ভারসম্যহীনতার মজা দেখিয়ে ধোকা দেয়ার মানে কি?

আজকের খরবে দেখলাম, বেশ কয়েকটি নেনো গাড়িতে আটো আগুন ধরে গেছে। এরজন্য টাটা মশাই কোন দুঃচিন্তা না করেই বললেন, " Nano is a safe car with a robust design and state-of-the-art components. We are not recalling the cars and are merely providing customers with additional safety features. ".
সরলার্থ, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং অকল্পনীয় সব মালমসলা দিয়ে এই নেনো গাড়ি তৈরী। (এই সমান্য দুর্ঘটনার কারনে)সব গাড়ি বাজার থেকে তুলে নেয়ার কোন মানে নেই। আমারা কাস্টমারকে কিছু এডিশনাল সেফটি ফিচারের অফার দেব।
ঠিক যেমন আমাদের মোবাইল কোম্পানিগুলা অফার দেয়, আগে একটা সিম কেন, তারপর দেখ মাগনা কথা বলায় কি সুখ!!!।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:৫৯
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বর্গের নন্দনকাননের শ্বেতশুভ্র ফুল কুর্চি

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ২২ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৫:১৭


কুর্চি
অন্যান্য ও আঞ্চলিক নাম : কুরচি, কুড়চী, কূটজ, কোটী, ইন্দ্রযব, ইন্দ্রজৌ, বৎসক, বৃক্ষক, কলিঙ্গ, প্রাবৃষ্য, শক্রিভুরুহ, শত্রুপাদপ, সংগ্রাহী, পান্ডুরদ্রুম, মহাগন্ধ, মল্লিকাপুষ্প, গিরিমল্লিকা।
Common Name : Bitter Oleander, Easter Tree, Connessi Bark,... ...বাকিটুকু পড়ুন

সচলের (সচলায়তন ব্লগ ) অচল হয়ে যাওয়াটই স্বাভাবিক

লিখেছেন সোনাগাজী, ২২ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬



যেকোন ব্লগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর, একটি ভয়ংকর খারাপ খবর; ইহা দেশের লেখকদের অদক্ষতা, অপ্রয়োজনীয় ও নীচু মানের লেখার সরাসরি প্রমাণ।

সচল নাকি অচল হয়ে গেছে; এতে সামুর... ...বাকিটুকু পড়ুন

হরিপ্রভা তাকেদা! প্রায় ভুলে যাওয়া এক অভিযাত্রীর নাম।

লিখেছেন মনিরা সুলতানা, ২২ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৩


১৯৪৩ সাল, চলছে মানব সভ্যতার ইতিহাসের ভয়াবহ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। টোকিও শহর নিস্তব্ধ। যে কোন সময়ে বিমান আক্রমনের সাইরেন, বোমা হামলা। তার মাঝে মাথায় হেলমেট সহ এক বাঙালী... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছেলেবেলার বন্ধু ও ব্যবসায়িক পার্টনারই মেরেছে এমপি আনারকে।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২২ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


ঝিনাইদহ-৪ আসনের সরকারদলীয় এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ছিল তারই ছোটবেলার বন্ধু ও ব্যবসায়িক পার্টনার আক্তারুজ্জামান শাহীন!

এই হত্যার পরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আরেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাকা ভাংতি করার মেশিন দরকার

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:১০

চলুন আজকে একটা সমস্যার কথা বলি৷ একটা সময় মানুষের মধ্যে আন্তরিকতা ছিল৷ চাইলেই টাকা ভাংতি পাওয়া যেতো৷ এখন কেউ টাকা ভাংতি দিতে চায়না৷ কারো হাতে অনেক খুচরা টাকা দেখছেন৷ তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×