somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আরেকটি অসাধারন মুভির সাদামাটা রিভিউ

০২ রা এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


*** This review may contain spoilers ***
বিশ্বকাপ ক্রিকেটের কারনে ইদানিং মুভি একেবারেই দেখা হয় না।আজকে খেলা নাই, তার উপর আবার শুক্রবার।এই ছুটির ঝিমানো সন্ধ্যাকে কাজে লাগাতে আমার হাতে আছে একটাই অস্ত্র, আর তা হলো,সেইরকম ঝাকানাকা একখান মুভি।হাতের কাছে বেশ কটি নাদেখা মুভি।ভাবলাম, গতবাঁধা টাইপের মুভি না দেখে একটু অন্যরকম কিছু দেখা যাক।ছাড়লাম The Secret in Their Eyes (2009) মুভিটি।যার অরিজিনাল টাইটেল হলো El secreto de sus ojos। এটি একটি আর্জেন্টাইন মুভি।আপনারা যদি অস্কার নিয়মিত ফলো করে থাকেন তাহলে এই মুভিটির নামঅবশ্যই শোনার কথা।কারন, এটি ২০০৯ সালের শ্রেষ্ঠ বিদেশী ভাষার ক্যাটাগরিতে একাডেমি অ্যাওয়ার্ড খেতাব পেয়েছে।১২৯ মিনিটের এই Mystery + Romance জেনারের মুভিটি এককথায় অসাধারন।যাকে বলে Deserving Oscar Winner।



এবারে আসি, মুভিটির প্লটের ব্যাপারে।মুভিটির শুরুর সময়কাল ১৯৯৯ সাল।একজন অবসরপ্রাপ্ত legal counselor একটি নভেল লেখা শুরু করেন যা ছিলো ২৫ বছর আগের তারই তত্ত্বাবধানে একটি মেয়ের রেপ এবং মার্ডার কেসের অমীমাংসিত ফলাফল নিয়ে, যাকে কেন্দ্র করে অবশেষে ঐ কেসের রহস্য চূড়ান্ত পরিনতির দিকে এগুতে থাকে।আর এই প্লটের প্যারালালে থাকে ঐ legal counselor এবং তার superior এর অসম্পুর্ণ এবং অসম ভালবাসার নানান চড়াই-উতরাই আর অপরিপূর্ণতার কাহিনী।
২৫ বছর আগে,১৯৭৪ সালের কাহিনীতে দেখা যায়,federal justice agent মানে ঐ legal counselor বেন্জামিন এবং তার assistant পাবলোর উপর, লিলিয়ানা নামের একটি মেয়ের brutal rape এবং murder কেসের তদন্তের ভার চাপে।তাদের superior হলো, department chief ইরিন।বেন্জামিন এবং তার assistant পাবলো একসময় কিলারকে ধরে ফেলতে সমর্থ হয়, কিন্তু আইনের মারপ্যাঁচে সে ছাড়া পায়, এবং উর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তার চাপে কেসটি ক্লোজ হয়ে যায়।বেন্জামিনের জীবনের উপর আঘাত আসে, সে পালিয়ে যায়।২৫ বছর পর সে ঐ ঘটনা নিয়ে নভেল লেখতে যায় এবং বিবেকের তাড়নায় সে ফিরে যায় ঘটনার তদন্তে।ততোদিনে অনেক কিছু বদলে যায়।কিছু সবকিছু বদলালেও বেন্জামিনের মনে পড়ে যায় তার assistant পাবলোর প্রিয় সেই উক্তিটি, "passion is one thing that cannot be changed in behavior"।আর এর রেশ ধরেই ইরিনের প্রতি তার অব্যক্ত ভালোবাসা আর ঐ কেসটির unsatisfactory resolution এর অন্যরকম পরিসমাপ্তি হয়।

এবার আসি, মুভিটির রিভিউ নিয়ে।স্প্যানিশ ভাষায় নির্মিত এই মুভিটি এককথায় অনবদ্য।মুভিটি যে ভালো এইটা জানতাম, কিন্তু এতোটা ভালো এইটা খানিকটা অপ্রত্যাশিতই ছিল।technical aspects এর দিক দিয়ে এই মুভিটি অসাধারন।বিশেষ করে মুভিটির screenplay, background music এতোটাই মানানসই যে নিঃসন্দেহে অন্যরকম প্রশংসার দাবিদার।কেন্দ্রীয় চরিত্রে বেন্জামিন আর ইরিনের অসাধারন অভিনয় আর তাদের মধ্যকার কেমিস্ট্রি দারুন লেগেছে।ক্যামেরার কাজ, ডিরেকশান এককথায় ফ্ললেস।

এই মুভিটি ৮.৩ রেটিং নিয়ে IMDb Top 250 তালিকায় 174 নাম্বারে রয়েছে।অস্কার জয়ে Truly Deserving এই মুভিটি আমার কাছে অসাধারন লেগেছে।আপনারাও দেখুন।এই টাইপের মুভি আমাদের সবার দেখা উচিৎ।তবে, এই মুভিটি Rated R for a rape scene, violent images, some graphic nudity and language.সুতরাং বুঝে শুনে দেখবার অনুরোধ জানাচ্ছি।

ধন্যবাদ।



Download Link (single) : http://www.megaupload.com/?d=QW8JI4U2
SUBTITLES [English]
http://www.megaupload.com/?d=UWV2T2QP

(Multiple) :
http://www.megaupload.com/?d=52YKGBVB
http://www.megaupload.com/?d=GEET6ZZP
http://www.megaupload.com/?d=8DTGIUFS
http://www.megaupload.com/?d=1K7VRCV9
http://www.megaupload.com/?d=N9V9892L
http://www.megaupload.com/?d=8FQYQ7NA
http://www.megaupload.com/?d=6SXB0J2H
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:০৬
১৫টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মাটির কাছে যেতেই..

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

মাটির কাছে
যেতেই..


ছবি কৃতজ্ঞতাঃ https://pixabay.com/

ঠিক যেন
খা খা রোদ্দুর চারদিকে
চৈত্রের দাবদাহ দাবানলে
জ্বলে জ্বলে অঙ্গার ছাই ভস্ম
গোটা প্রান্তর
বন্ধ স্তব্ধ
পাখিদের আনাগোনাও

স্বপ্নবোনা মন আজ
উদাস মরুভূমি
মরা নদীর মত
স্রোতহীন নিস্তেজ-
আজ আর স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বেলা ব‌য়ে যায়

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩০


সূর্যটা বল‌ছে সকাল
অথছ আমার সন্ধ্যা
টের পেলামনা ক‌বে কখন
ফু‌টে‌ছে রজনীগন্ধ্যা।

বাতা‌সে ক‌বে মি‌লি‌য়ে গে‌ছে
গোলাপ গোলাপ গন্ধ
ছু‌টে‌ছি কেবল ছু‌টে‌ছি কোথায়?
পথ হা‌রি‌য়ে অন্ধ।

সূর্যটা কাল উঠ‌বে আবার
আবা‌রো হ‌বে সকাল
পাকা চু‌ল ধবল সকলি
দেখ‌ছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পর্ণআসক্ত সেকুলার ঢাবি অধ্যাপকের কি আর হিজাব পছন্দ হবে!

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৩ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:২৭



ইন্দোনেশিয়ায় জাকার্তায় অনুষ্ঠিত একটা প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জিতেছে বাংলাদেশি নারীদের একটা রোবোটিক্স টিম। এই খবর শেয়ার করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপিকা। সেখানে কমেন্ট করে বসেছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্মস্মৃতি: কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ২৩ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:১৪


কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়
আমার বাবা-কাকারা সর্বমোট সাত ভাই, আর ফুফু দুইজন। সবমিলিয়ে নয়জন। একজন নাকি জন্মের পর মারা গিয়েছেন। এ কথা বলাই বাহুল্য যে, আমার পিতামহ কামেল লোক ছিলেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙালী মেয়েরা বোরখা পড়ছে আল্লাহর ভয়ে নাকি পুরুষের এটেনশান পেতে?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৩ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:২০


সকলে লক্ষ্য করেছেন যে,বেশ কিছু বছর যাবৎ বাঙালী মেয়েরা বোরখা হিজাব ইত্যাদি বেশি পড়ছে। কেউ জোর করে চাপিয়ে না দিলে অর্থাৎ মেয়েরা যদি নিজ নিজ ইচ্ছায় বোরখা পড়ে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×