তোমার নারীজনম স্বার্থক হয়ে ওঠার অনেক অনেক
আগে থেকেই বাতাস নিয়ে আলো নিয়ে বৃষ্টির শব্দ নিয়ে
কলতান আর মর্মরের মধ্যে গড়ানো গান নিয়ে আর
তোমার মাথার উপর রাশ রাশ ছায়া ঢেলে দেবার জন্য
তোমার পথের উপর দাঁড়িয়ে আছে একটি কৃঞ্চচূড়া।
কৃঞ্চচূড়ার শেকড়ে পা রেখে তার গায়ে হাত বোলোতে
বোলাতে মাথাটা রেখে গাছের চূড়ার দিকে তাকালেই
ফুলেল বৃষ্টিতে তোমাকে আকুল ভিজিয়ে দেয় সারা মন।
বৃষ্টি ভেজা মনটা পাবলিক লাইব্রেরীর বুক খোলা সিঁড়িতে
বন্ধু পরিত্যাক্ত বাতাসে হাটু ভাঁজ করে বসে রয় সন্ধ্যা পার,
ছেলেরা মেয়েরা বিপুল জনসংখ্যার চাপ সামাল দিতে চেয়ে
সমকামীতার ঘোড়দৌড়ের উৎসবে মেতেছে পরস্পর।
সমকামীতাতে সমর্থন করতে চাইলেও আমি সেই নারীকেই
ভালোবাসি আজো, যে বিশ্বাস করতে পেরেছে, নারীকে
কখনই পুরুষের বাম পাজড় থেকে সৃজন করা হয়নি,
সকল ধর্মগ্রন্থ ঝেড়ে ফেলে নারীরা নিজেরাই ঈশ্বর হয়েছে।
কোন এক নারীর তরে কৃঞ্চচূড়া হয়ে রইলাম পথের ধারে,
কোন এক ঈশ্বরকে পুষ্পের বৃষ্টিতে ভিজিয়ে দিতে চাই।
০১.০৪.২০১১, ঢাকা।