টুঙ্গিপাড়ায় দুদলের সংঘর্ষে আহত ২৫

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বর্তমান ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের সমর্থকদের দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে।

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 July 2013, 07:56 AM
Updated : 30 July 2013, 07:57 AM

সোমবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত বর্নি ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান খালিদ হোসেন জমাদ্দার ও সাবেক চেয়ারম্যান সাজেদুর রহমান মন্টুর সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।

এ সময় বেশ কয়েকরাউন্ড শটগানের গুলি বর্ষণ করে এ সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। আটক করা হয় ৫২ জনকে।

এ সময় বর্নিবাজারের দোকানপাট ও বাড়িঘরে ভাংচুর চালানো হয়।

আহতদের গোপালগঞ্জ হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সাতদিন আগে বর্তমান চেয়ারম্যান খালিদের সমর্থক গোপালগঞ্জ লাল মিয়া সিটি কলেজের ছাত্র ও বর্নি গ্রামের শাহজাহান ওরফে নুরু মোল্লার ছেলে আবিদ মোল্লার মোবাইল ফোন সেট একই গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান মন্টুর সমর্থক লিয়াকত মোল্লার ছেলে তাজুল ইসলাম আছাড় মেরে ভেঙে ফেলে।

এ ব্যাপারে ঘরোয়া সালিশ বৈঠকে তাজুলকে মোবাইলটি মেরামত বা  কিনে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পরে মোবাইল মেরামত করে দেয়। এতেও তারা সন্তুষ্ট না হয়ে নতুন সেট কিনে দেয়ার জন্য চাপ দেয়।

এ নিয়ে সোমবার সকালে দুপক্ষের লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায়  ইফতারের পর বর্নি বাজারে সালিশ বৈঠক বসে। বৈঠকে দুপক্ষের লোকজন বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে দেশি অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

এ সময় ওই বাজারের ৮/১০ টি দোকান ঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল ত্যাগ করার পর রাত ১০টার দিকে দু’পক্ষের লোকজন আবারও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

পরে পুলিশ গিয়ে শটগানের গুলি ছুড়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে।

টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি হাবিবুল্লাহ সরকার গুলি ছোঁড়ার কথা স্বীকার করে বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

আটক ৫২ জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।