জনি তুমি বেঁচে থাকবে, মাত্র ৪/৫ লক্ষ টাকার কাছে আমরা তোমাকে পরাজিত হতে দেবো না।
চাঁদপুর সদর উপজেলার হতদরিদ্র রিক্সাচালক মোঃ মহসি কাজীর একমাত্র সন্তান মোঃ জনি কাজীর বয়স মাত্র ২বছর ১০ মাস। এই বয়সে জনির আধো আধো বুলি আর চপল পায়ে ছুটাছুটি তার বাবা-মায়ের শত কষ্টের জীবনে একমাত্র এক স্বর্গীয় আনন্দের কারণ হতে পারত; ভুলিয়ে দিতে পারত, জীবনের পরতে পরতে মিশে থাকা দুঃখ, কষ্ট আর বঞ্চনার ইতিহাস। কিন্তু না! বিধাতার বোধকরি সেরকম চাননি! জন্ম থেকেই জনি মারাত্মক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী। দরিদ্র পিতা পৈত্রিকসূত্রে প্রাপ্ত একখন্ড জমি বিক্রি করে ঢাকায় আসলেন, শুরু করলেন চিকিৎসা। সোহরাওয়ার্দী হৃদরোগ হাসপাতাল, হার্ট ফাউন্ডেশন ঘুরে বিশিষ্ট শিশু ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট কর্নেল (ডাঃ) নুরুন নাহার ফাতেমার কাছে। কিন্তু এ যে রাজ রোগ। জনির পিতা রুটিরুজির শেষসম্বল রিক্সাটিও বিক্রি করে রাজপথে ঘুরে ফেরেন হাত বাড়িয়ে, ভাই দয়া করেন, আমার বাচ্চাটারে বাঁচান। ল্যাবএইড কার্ডিয়াক হাসপাতাল-এ জনির পিতার এরকম আহাজারির সামনে দাঁড়িয়ে আমি সিদ্ধান্ত নিলাম, ডাঃ নুরুন নাহার ফাতেমার সাথে আলাপ করার। তাঁর সাথে আলাপে যা জানা গেল তা হলো, এ দেশে জনির পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবার চিকিৎসা করা সম্ভব না। তাঁর হৃৎপিন্ডটা আর দশটা প্রচলিত ক্রটির মতো না। তার আর কিছুদিন বেঁচে থাকবার জন্য যে অপারেশনটা দরকার ছিল, তিনি বিনা পয়সায় তা করে দিয়েছেন এবং যা ঔষধ লাগছে তাও তিনি নিজে বহন করছেন। কিন্তু শিশুটিকে বাঁচাতে হলে, ১ মাসের মধ্যে মাদ্রাজ কিংবা উন্নত কোনো দেশে নিয়ে যেতে হবে। দরকার হবে ৪/৫ লক্ষ টাকা। তিনিও আবেদন জানালেন, দেখুন না সাহায্য করতে পারেন কিনা? এমন ফুটফুটে বাচ্চা, দিন দিন কেমন মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তাঁর এ আকুলতা, আর্জি যেন জনির মায়ের আকুলতা, আর্জি। এখনো দেশে এমন চিকিৎসক আছেন!
হ্যাঁ, আছেন বৈকি, সারাদেশে এমন এমন সাদা মনের মানুষ আমাদের চারপাশেই ঘুরছেন, ফিরছেন। আমরা অন্ধ তাই দেখি না। সেই সাদামনের সকল মানুষদের প্রতি আবেদন- আসুন আমরা সবাই মিলে এই শিশুটিকে বাঁচাতে এগিয়ে আসি। এই স্বাধীনতার মাসে অসংখ্য বাবা-মায়ের বুকের আদরে সন্তান হারিয়ে গেছে হানাদার বাহিনীর তান্ডবে। আসুন না, তাঁদের কথা স্মরণ করে আরেক বাবার প্রায় হারিয়ে যাওয়া সন্তানকে তার বুকে তুলে দেই। কে না জানে, বাবার কাঁধে মৃত পুত্রের ভার পৃথিবীর সমান। আমরা কি সেই দরিদ্র রিক্সাচালককে তা বহন করতে দেবো? নিশ্চয় না। জনি তুমি বেঁচে থাকবে, মাত্র ৪/৫ লক্ষ টাকার কাছে আমরা তোমাকে পরাজিত হতে দেবো না। তুমি বেঁচে থাকা মানে একটি স্বপ্ন বেঁচে থাকা। তুমি একদিন বড় হবে। আর মানুষকে শোনাবে- মানুষের জয়গান। মানুষ কখনো হারে না। আমরাও হারবো না। আমাদের যার কাছে যতটুকু আছে তাই নিয়ে আমরা এগিয়ে আসছি। তুমি মা’র কোলে মাথা রেখে একটু অপেক্ষা করো, লক্ষ্মী ভাইটি আমার।
জনিকে সাহায্য পাঠানোর জন্য তাঁর বাবা মহসীন কাজীর সাথে কথা বলতে পারেন। মোবাইল নম্বর: ০১৮১১৯০৬৮৫১
কিংবা সরাসরি ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠাতে পারেন:
মো: হান্নান প্রধানীয়া, চলতি হিসাব নম্বর ১১৯৯/৬, ইসলামী ব্যাংক লিঃ, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট শাখা, ঢাকা।
জনি তুমি বেঁচে থাকবে, মাত্র ৪/৫ লক্ষ টাকার কাছে আমরা তোমাকে পরাজিত হতে দেবো না।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
কে কাকে বিশ্বাস করবে?
করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।
সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন
বিসিএস পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বসতে না পারার কষ্টটা সমালোচনার কোন বিষয়বস্তু নয়
গতকালের একটি ভাইরাল খবর হচ্ছে কয়েক মিনিটের জন্য বিসিএস পরীক্ষা দেয়া হলো না ২০ প্রার্থীর !! অনেক প্রার্থীর কান্নাকাটির ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।এ বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান এর নিয়ামানুবর্তিতার জ্ঞান বিতরনের... ...বাকিটুকু পড়ুন
বারবাজারে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা মসজিদ
ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নে মাটির নিচ থেকে মসজিদ পাওয়া গেছে। এরকম গল্প অনেকের কাছেই শুনেছিলাম। তারপর মনে হলো একদিন যেয়ে দেখি কি ঘটনা। চলে গেলাম বারবাজার। জানলাম আসল... ...বাকিটুকু পড়ুন
সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?
আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন
পরিবর্তন অপরিহার্য গত দেড়যুগের যন্ত্রণা জাতির ঘাড়ে,ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় অসহায় জানেন কি?
রমজানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বেপরোয়া হতে দেখা যায়। সবাই গালমন্দ ব্যবসায়ীকেই করেন। আপনি জানেন কি তাতে কোন ব্যবসায়ীই আপনার মুখের দিকেও তাকায় না? বরং মনে মনে একটা চরম গালিই দেয়! আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন